ভালোবাসার মানে

ঘৃণা (সেপ্টেম্বর ২০১৬)

Sujon Biswas
  • 0
  • ৪৭
সময় কত দ্রুত চলে যায়! ভাবতেই অবাক লাগে! মনে হয়, এই তো সেদিন জন্ম নিয়েছিলো আমার বোনটা। মায়ের পাশে নকশা করা ছোট্ট কাঁথায় গুটিসুটি মেরে শুয়ে থাকা আমাদের বাসার এই মায়ার পুতুলটা এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। এই বছর থেকে রীতিমতো কলেজে পড়ে! তাতে কী? আচার-আচরণে এখনও সেই ছোট্টই রয়ে গেছে মেয়েটা। ভীষণ রাগি আর অভিমানী! আমাকে মোটামুটি বড় বোনের মতো শাসন করে!
কাল এই পিচ্চির জন্মদিন! মা-বাবার কাছে এই নিয়ে ওর কোনই চাওয়া নেই। বিশাল বিশাল আবদার নিয়ে হাজির শুধু আমার কাছে! রীতিমতো কাগজে লিখে লিস্ট তৈরি করা। আমার কাছে এসে খুশিতে বাকবাকুম করতে করতে সেই লিস্টটা আমার হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলল, “ভাইয়া, আমার বেশি কিছু না লাগবে না। শুধু, এগুলো হলেই চলবে!”
সেই লিস্ট-এ কী কী ছিল, তা আর নাই বা শুনলেন। আমি বললাম...... এতোগুলো জিনিস! তাও আবার “শুধু”? এটা কি বাজারের লিস্ট নাকি ঘুড্ডির লেজ? ফাজলামি নাকি?
চোখে জলের সাগরটা হয়তো কানায় কানায় সবসময় টইটুম্বুর থাকে এই মায়াবতী মেয়েটার! কিছু বললেই হল! চোখভরা শুধু জল; উপচে পড়ার অপেক্ষায়! ওকে ক্ষ্যাপাতে ভীষণ মজা পাই আমি! তাই, ইচ্ছে করেই লাগিয়ে দিলাম হুলুস্থুল এক ঝগড়া! কাঁদতে কাঁদতে মেয়েটা আমার রুম থেকে চলে গেলো! মুখ লুকিয়ে এখনও কাঁদছে। এক ফাঁকে যা দেখলাম, চোখদুটো মোটামুটি রক্তবর্ণ! অল্প কিছুক্ষণ আগেই, মা-বাবা দুই দফায় বকে গেছে আমাকে। তাতে কী? আমি তো আমিই!
হুমায়ূন আহমেদ স্যার বলে গেছেন, “দূরের মানুষদের সহিত তুমি মিষ্ট ব্যবহার করিবে। কাছের মানুষদের সহিত তোমার আচরণ হইবে সর্বদা রূঢ়! যাতে, কখনোই তাহারা তোমার স্বরূপ বুঝিতে না পারে!”
এই কারণেই হয়তো হুমায়ূন স্যারের লেখা আমার এতো পছন্দের! আচ্ছা, হুমায়ূন স্যার কি জানতেন...... কাছের মানুষের সাথে রূঢ় আচরণের আনন্দ এবং কষ্ট দুটোই অন্যরকম? আচ্ছা, আমার বোনটা কি জানে......ওর ভাইয়া এভাবে গোপনে এক বুক ভালোবাসা জমিয়ে রেখেছে শুধু তার একমাত্র বোনটার জন্যে? অবশ্য মা, বাবা কিংবা বোন কাউকে কখনোই বলা হয়নি...... তোমাদের অনেক ভালোবাসি। একইভাবে, দেশকে কতটা ভালোবাসি...... কেউ এটা জানতে চাইলেও আমি নিশ্চিত, জবাব দিতে পারবো না। সত্যিকার ভালোবাসাগুলো হয়তো এমনই হয়...... কখনোই প্রকাশ করা যায় না! আমার বোনটাকে বলতে ভীষণ ইচ্ছে করছে, “তোকে অনেক কষ্ট দেই রে পাগলি! ভালোবাসি বলেই হয়তো কষ্ট দেই! তবুও, তুই কাঁদিস না। যে মায়া নিয়ে তুই পৃথিবীতে এসেছিস, তোর আশেপাশের মানুষগুলোর তার প্রয়োজন আছে!” আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম কোথায় যেন একটা অদ্ভুত বাধা! ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও, কিছুতেই বলতে পারছি না! কে জানে! ভালোবাসি বলেই হয়তো!
কষ্টের পর প্রাপ্তি নাকি আনন্দটাকে অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়। আপনারাই বলুন...... ভাই হয়ে আমার কি উচিৎ না, একমাত্র বোনটার জন্যে এই আনন্দটুকুর ব্যবস্থা করা? ভাবতে তো আমার নিজেরই অনেক আনন্দ হচ্ছে! কাল সকালে ঘুম ভাঙ্গার পর হয়তো ও নিজেই চমকে যাবে যখন দেখবে, শুধু ওর জন্যেই বালিশের পাশে রাখা নতুন কেনা ওর প্রিয় লেখকের বইগুলো! কান মলে দিয়ে ঘুম থেকে উঠানোর পর যখন বলবো, “এই ফাজিল, চল! তোর ঘুড্ডির লেজটা নিয়ে বের হই! যা যা লাগবে, সব কিনে দেব আজ! আজকের দিনটা শুধুই তোর জন্যে!” ...... তখন ওর চেহারাটা কেমন হয়, একটু দেখার ইচ্ছে আমার!
আচ্ছা, সকালটা এতো দেরিতে আসে কেন?
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
জলধারা মোহনা দারুণ লিখেছেন... এগিয়ে যান :)
ভালো লাগেনি ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
Lutful Bari Panna ভালোলাগা রইলো।
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
Rashed Chowdhury প্রার্থনা হে কবি ,ভোরে উঠুক স্বর্গীয় সুখে আপনার জীবন।
ভালো লাগেনি ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
Sujon Biswas ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬
পন্ডিত মাহী এমন ভালোবাসা আমিও অনুভব করি, আমার প্রিয়জনের জন্য। ভালো লাগল
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৬

১১ ডিসেম্বর - ২০১৫ গল্প/কবিতা: ২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪