সারপ্রাইজ
জ.ই. আকাশ
১.
সন্ধ্যা বয়ে গেছে ঘণ্টা তিনেক হতে চলল। বিকেল থেকে ধুম বেগে বৃষ্টি ঝড়ছে। থমকে গেছে পুরো রাজধানী। বৃষ্টির কারণে অফিস থেকে বিকেলে আর কোথাও বের হতে পারেনি অরণ্য। ফোনে ফোনে বসেই কাজগুলো সেরে নিচ্ছে। পুরানা পল্টনে দুই রুমের ছোট্টও একটা ফ্ল্যাট নিয়ে এক রুমে অফিস অন্য রুমটা বেডরুম হিসেবেই ব্যবহার করে। অরণ্য এ্যাড মিডিয়া নামেই অরণ্যের অফিস। টুকটাক ব্যবসার পাশাপাশি লেখালেখি করে। অফিসে অরণ্য ছাড়াও ওর এক কাজিন আছে। নাম নিলয়। নিলয় আর অরণ্য দুজন মিলেই সংসার। নিলয় অফিস ও বাসার দায়িত্বে মোটামোটি দেখাশুনা করে। অরণ্য ফোনের পর্ব শেষ করে ল্যাপটপটা নিয়ে বসে আছে ফেস বুকের পাতা খুলে। নিলয় সামনে বসে আছে। অরণ্য নিলয়ের দিকে এক নজর তাকিয়ে বলে,
কিরে এমন ভূতুমপেঁচার মতো মুখ করে বসে আছিস কেন? যা এক কাপ চা করে নিয়ে আয়।
দশ মিনিটও হয় নাই চা খাইলা।
তাতে কি? বাংলাদেশের সংবিধানে কি লেখা আছে, তিন ঘণ্টার আগে চা খাওয়া যাবে না। তবে পাবলিক প্লেসে বিড়ি সিগারেট খাওয়া যাবে না, এমন একটা আইন হইছিল। কিন্তু কেউ কি মানছে? মানে নাই।
তাই বইলা মিনিটে মিনিটে চা খাইবা?।
জ্ঞানী লোকেরা কথা কম বলে, কাজ বেশি করে। তোরে যা বললাম তাই কর। চা করে দিয়ে ছাতাটা নিয়ে সিগারেট নিয়ে আয়। সিগারেটও প্রায় শেষ।
নিলয় হা করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে উঠে চলে গেল।
অরণ্য ফেস বুকে মনের আনন্দে চ্যাটিং করছে বিভিন্ন ফ্রেন্ডদের সাথে। নিলয় পাঁচ মিনিটের মধ্যে ইয়া বড় এক মগ চা এনে অরণ্যের সামনে নামিয়ে দিল। অরণ্য নিলয়ের মুখের দিকে এক নজর তাকিয়ে ঠোঁটে মুসকি হাসির রেখা টেনে ছোট্ট করে বলল,
থ্যাঙ্ক্স। স্যরি তোকে অনেক বিরক্ত করার জন্য। মানিব্যাগ থেকে একশ টাকার একটা নোট বের করে দিয়ে বলল, আর একটু কষ্ট কর। দশটা সিগারেট এনে দে। তারপর আজকের মতো তোর ছুটি।
নিলয় টাকাটা নিয়ে অরণ্যেও দিকে একনজর তাকিয়ে বের হয়ে গেল। অরণ্য ওর যাওয়ার তাকিয়ে মুসকি হাসল। তারপর চায়ের কাপের একটা চুমুক বসিয়ে বিড় বিড় করে বলল, শালা ইন্ডিয়ান গীতিকাররা গান লিখছে কফি নিয়ে ‘কফি হাউজের সেই আড্ডটা আজ আর নেই।’ কেন গানটা চা নিয়েও তো লিখতে পারতো। ইন্ডিয়ায় কি চা বাগানের উপর ঠাটা পড়ছে নাকি? চায়ে আর একটা চুমুক দিয়ে প্যাকেটে থাকা সর্বশেষ সিগারেটটা জ্বালিয়ে একটা টান দিতেই ফেসবুকের ইনবক্সে মেসেজ এর সাউন্ড কানে ভেসে এলো। অরণ্য ব্যস্ত হয়ে পড়ল চ্যাটিং-এ।
রাত প্রায় এগারোটা। ‘এক পশলা কষ্ট’ নামে একটি কবিতার কয়েকটি লাইন লিখে তাতে চোখ বুলাচ্ছে-
শরতের এক পশলা বৃষ্টির মতো
কেউ একদিন আমায় ভিজিয়ে দিয়েছিল
ভালবাসার গোধূলি রঙে ॥
দেখেছিলাম স্বপ্ন ওই দিগন্তের কোলঘেঁষে
মুক্ত বলাকার মত উড়বে সে
আমার হাতটি ধরে ॥
বৃষ্টির ফোঁটার মত সেই স্বপ্নগুলো আজ
হৃদয়ের সাদা পাতায় ধারণ করেছে
এক একটি তিলক বর্ণ রূপে ॥
আজো দক্ষিণা বাতাস বহে
পাখিরাও আগের মতোই গোধূলী বেলায়
ডানা মেলে ফিরে নীড়ে॥
আমি কেবল বসে থাকি ওই দূর দিগন্তের পানে,
গুনি শুধু তাঁরই অপেক্ষার প্রহর
এক পশলা কষ্ট নিয়ে সাথে ॥
কবিতাটি দেখে ফেসবুকে পোস্ট করে দিল। মুর্হূতের মাধ্যেই একের পর এক লাইকের টুংটাং শব্দ অরণ্যের কানে বাজতে লাগল। নিলয় মুখ মুছতে মুছতে অফিস রুমে প্রবেশ করেই বলল,
কি ব্যাপার খাবে না? এগারোটা পার হয়ে গেছে। সেদিকে খেয়াল করেছো?
হুম, করছি। তুই খেয়ে নে। আমার দেরি হবে।
আচ্ছা ঠিক আছে।
নিলয় চলে গেল। অরণ্য একটা সিগারেট জ্বালিয়ে চেয়ারে পিঠটা ঠেকিয়ে দিয়ে সিগারেট ফুঁকতে থাকল। কিছুকক্ষণ যেতে না যেতেই সামনে থাকা মোবাইলটা বেজে উঠল। মোবাইলটা হাতে নিয়ে দেখল, আনন্যূন নাম্বার। ফোনটা রিসিভ করে কানের কাছে নিতেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো একটা মিষ্টি কণ্ঠ,
হ্যালো..
জ্বি কে বলছেন?
আপনি কি মিঃ অরণ্য?
জ্বি বলছি। আপনি..?
আমাকে চিনবেন না। তবে আমি আপনার অনেক বড় একজন ফ্যান।
অবাক হয় অরণ্য।
ফ্যান? বুঝলাম না।
একজন কবি হয়ে এ প্রশ্ন আপনার সাজে না।
মানে কি?
মানে আমি আপনার কবিতার ফ্যান। ফেস বুকে আপনার একাধিক কবিতা পড়লাম।
কিন্তু আপনি আমার নাম্বার পেলেন কোথোয়?
হাঃ হাঃ হাঃ হাঃ শব্দে এক মিনিট দীর্ঘস্থায়ী একটা হাসি হাসল মেয়েটি। অরণ্য যেন মেয়েটির হাসিতে বোকাবনে গেল। মেয়েটি হাসি থামিয়ে বলল,
কবিতা লিখতে লিখতে তো আপনার পুরা মাথাটাই আউলা ঝাউলা হয়ে গেছে। আপনার টাইম লাইনে যে আপনার সেল নাম্বার আছে, তা কি আপনার মনে আছে?
অরণ্য যেন এবার আসলেই বোকার পরিচয় দিল। নিজে নিজেই লজ্জা পেল এবার। কাচুমাচু করে বলল,
স্যরি। আসলে..
ইটস ওকে। আর স্যরি বলতে হবে না।
কিন্ত আপনি কে? কি নাম?
এতো তাড়াতাড়ি বলা যাবে না। রাখছি। বাই।
বলেই লাইনটা কেটে দিল। অরণ্য আর কোনো কথা বলার সুযোগ পেল না। মোবাইলটা টেবিলের উপর রেখে একটা সিগারেট জ্বালিয়ে মেয়েটিকে চেনার চেষ্টা করল। কথা বলার ধরণটা অনেকটা পরিচিত মনে হচ্ছে। কিন্তু মনে করতে পারছে না। ভাবনার বেড়াজালে আবৃত হয়ে অরণ্য যেন অন্য জগতে পর্দাপণ করল।
২.
হঠাৎ মোবাইল ফোনের ক্রিং ক্রিং শব্দে ঘুম ভাঙল অরণ্যের। ঘুম জড়িত চোখেই ফোনটা রিসিভ করে কানের কাছে নিতেই ভেসে এলো,
গুড মর্নিং।
অরণ্য যেন বিস্মিত হয়ে চুপসে গেল। চোখটা ভাল মতো মেলে নাম্বারটা দেখে অবাক হয়। গতকাল রাতের সেই মেয়েটি। অরণ্য একটু বিরক্তি কণ্ঠে বলে উঠল,
আপনি, এতো সকালে?
হ্যাঁ আমি এতো সকালে। এতো সকাল বলতে এখন সাড়ে দশটা বাজে। বাংলাদেশে সাড়ে দশটা মানে অনেক বেলা। অফিস আওয়ারের দেড় ঘণ্টা অতিক্রম হয়ে গেছে। উঠুন পরে কথা হবে। বাই।
অরণ্য কি জানি বলতে গিয়েই থেমে গেল। তার মানে লাইনটা ওপাশ থেকে কেটে দেয়া হয়েছে। ফোনটা রাখল। অরণ্য ভাবতে লাগল, কে এই পাগলটা আমাকে জানতেই হবে।
বিছানা ছেড়ে তোয়ালেটা ঘাড়ে নিয়ে ওয়াশ রুমে ঢুকল।
অরণ্য যখন অফিসে এসে বসল, তখন বেলা সাড়ে বারোটা। নিলয় অফিসে নেই। তাই নিজেই চা করে নিয়ে চেয়ারে শরীরটা পুরোপুরি হেলিয়ে দিয়ে চায়ের কাপে একটা চুমুক দিল। হঠাৎ মনে হলো ফোনের মেয়েটির কথা। মোবাইলটা হাতে নিয়ে নাম্বারটা বের করে ফোন দিল। ও পাশ থেকে রিসিভ করেই মেয়েটি মিষ্টি সুরেলায় বলল,
কেমন আছেন?
হুম ভাল। বাট আমি বুঝতে পারছি না, আপনি আসলে কে? আমার পেছনেই বা লেগেছেন কেন?
স্যরি ভুল বললেন। পেছনে লাগেনি। আপনার খোঁজ খবর নিচ্ছি। তাছাড়া প্রথমেই বলেছি, আমি আপনার একজন শুভাকাঙ্খী।
কিন্তু আপনি তো আপনার পরিচয় দিচ্ছেন না।
দিব। কাল একবার আমার সাথে দেখা করেন।
মানে?
মানে সারপ্রাইজ। ফোনে পরিচয় বললে তো আর সারপ্রাইজ হবে না।
কেমন সারপ্রাইজ?
আমার সাথে আপনার দেখাটাই সারপ্রাইজ। ভয় পাচ্ছেন দেখা করতে।
না। কোথায় আসবেন?
আপনিই ডিসাইড করুন, কোথায় আসব? আমি বললে হয়তো আপনার মনের মাঝে আঁতশবাজি ফুঁটতে পারে। কোনো বিপদে পড়েন কিনা সেই ভয়ে।
তাই! আমাকে আপনি ভয় করেন না?
না।
ওকে। কাল বিকেল ঠিক পাঁচটায় শিল্প কলার উত্তর গেইটে আমি থাকব।
ওকে। ডান।
ফোনটা কেটে দিয়ে ভাবতে লাগল অরণ্য আসলে মেয়েটি কে?
৩.
বিকেল পাঁচটা। শিল্প কলার উত্তর গেইটের দোতলায় এক কোণে হালকা নীল রঙের একটা শাড়ি পড়া একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে পশ্চিম দিকে মুখ করে। মোবাইলে কল করে আস্তে আস্তে অরণ্য মেয়েটিকে ফলো করে ঠিক মেয়েটির পেছনে দাঁড়িয়ে আলতো করে বলে,
এক্সিউজমি!
তানহ্া ঘুরে দাঁড়ায়। অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে অরণ্য। আমতা আমতা সুরে অরণ্য বলে,
আপনি! মানে তুমি...!
হ্যাঁ আমি। তানহ্া। বারো বছর আগে যার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে, কখন আমি প্রাইভেটে আসব।
মনে আছে। ভুলিনি। কিন্ত তুমি, ফোনে তো পরিচয়টা দিতে পারতে নাকি?
হুম পারতাম। তাহলে তো আর সারপ্রাইজটা হতো না।
হুম তা ঠিক। তারপর এতো দিন পর এই অধমের কথা মনে হলো?
হ্যাঁ হলো। আমি অনেক তোমাকে খুঁজেছি কিন্তু পাইনি। তা কেমন আছো?
আছি বেশ ভালই আছি। কবিতার মাঝে যেমন থাকা যায়। তুমি, তুমি কেমন আছো?
সৃষ্টি কর্তার অশেষ মেহেরবানীতে চলছে মোটোমুটি।
বিয়ে করেছো?
হ্যাঁ। তিন বছর হলো? তুমি?
এখনো ওই চ্যাপ্টারটাই যেতে পারিনি।
কেন?
হয়নি ইচ্ছে করেনি তাই।
তাই কবিতা নিয়ে পড়ে আছো।
বলতে পার ওই রকমই। যার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেছি, তাকে যেহেতু হারিয়ে ফেললাম তাই আর তেমন ভাবিনি।
তাই! শুধু তো অপেক্ষায় করে গেলে। কিছু তো করতে পারলে না।
পৃথিবী সবাই সব কিছু করতে পারে না। এই যেমন অপেক্ষা এটাই বা কয়জনে করতে পারে।
বাহ্ ভাল বলেছো তো?
ওহ তাই চলো কোথাও বসি। প্রোভলেম নাই তো?
কোনো প্রকার প্রোভলেম ফিল করলে কি আসতাম?
ওহ স্যরি। চলো কোথাও বসি।
ওকে চলো।
তানহা ও অরণ্য শিল্প কলা থেকে বের হয়ে সোজা রমনার দিকে পাশাপাশি হাঁটতে লাগল।
৪.
রাত প্রায় বারোটা বাজতে চলল। অরণ্য ছাদের উপর দিয়ে পায়চারী করছে, তার সিগারেট টানছে। রাতের ঢাকাকে এই বেশ ভাল লাগছে অরণ্যের। কিন্তু মনটা বেশ ভারাক্রান্ত। আজ দু’দিন তানহার কোনো ফোন পায় না অরণ্য। অরণ্য ফোন দিয়ে দেখে নাম্বার বন্ধ। প্রায় পনের দিন তানহার সাথে সময় কাটিয়ে দুজই বেশ কাছাকাছি চলে আসে। হুট করেই তানহার ফোন বন্ধ থাকার অরণ্যে মনে যেন কালো মেঘের দানাবেঁধে গেল। ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে ওই আকাশের দিকে অপরক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। হঠাৎ করেই মোবাইলে মেসেজ টোনের সাউন্ড ভেসে আসে অরণ্যের কানে। মেসেজ অপশনে গিয়ে দেখে নাম্বারটা বিদেশী। ভিউতে গিয়ে মেসেজটি বের করে পড়তে থাকে অরণ্য।
‘‘স্যরি অরণ্য তোমাকে না জানিয়ে আমি অস্ট্রিলিয়াতে চলে আসলাম। আমার বর এখানেই থাকে। ভিসা প্রোভলেমের কারণেই আমি বাংলাদেশে ছিলাম। হঠাৎ ভিসার ঝামেলা চুকে যাওয়ায় আমি চলে আসলাম। আরো কিছু দিন পরে হয়তো আসতে পারতাম। বাট ইচ্ছে করেই চলে আসলাম। কারণ পনের দিনেই আমি যেন তোমার মাঝে হারিয়ে যেতে বসে ছিলাম। আমি যে তোমাকে মনে মনে ভালবাসি না তা নয়, কিন্তু যে মানুষটি বর্তমানে আমার সাথে জড়িয়ে আছে তার তো কোনো দোষ নেই। তাই তো নিজের সাথে অনেক যুদ্ধ করেই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম। তোমাকে বলে আসলে তুমি হয়তো অনেক কষ্ট পেতে তাই তোমাকে না জানিয়েই আমি চলে আসি। তার জন্য আমি স্যরি। প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দিও। প্লিজ প্লিজ প্লিজ...।’’
অরণ্য মেসেজটা পড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়ল। মনে মনে ভাবতে লাগল, তানহা এ তুমি কেমন সারপ্রাইজ দিলে আমাকে? কেমন সারপ্রাইজ? ভাবতে ভাবতে অরণ্য ওই আকাশের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকল। তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে অরণ্যের দুচোখের কোণ দিয়ে ফোঁটায় ফোঁটায় পানি ঝরতে লাগল, অরণ্য যেন তা মোটেই বুঝতে পারল না।
০৭ জুলাই - ২০১৫
গল্প/কবিতা:
৪ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“ ” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ , থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী