সভ্য হও! মায়ের আঁচল খুলে ফেলো না

বিশ্বকাপ ক্রিকেট / নববর্ষ (এপ্রিল ২০১১)

রংধনু
  • ৬৬
  • 0
  • ১১২
মৌঁ-ললাটের ক্যাফেটেরিয়ার সামনে বিছানো ভাড়া করা চাঁদরে বসে গান আর আড্ডায় মেতেছি ঘন্টা দেড়েক হল । তাপস্ টা এলে সবাই মিলে এবারের নববর্ষ বিভু বাজার ব্রীজে উজ্জাপন করব বলে ঠিক হয়েছে । সারি সারি মেহগনি গাছ যেন রাস্তার দু’পাশে দাঁড়িয়ে স্বাগত জানাচ্ছে আগত সকল অতিথিদের । দুরে টিলার দিকে হাত দেখিয়ে রুমেল বলল “দোস্ত চল দেখি কেস তা কি?”।দেখলাম টিলার ধারে উৎসুক জনতার ঢল নেমেছে । অনেক্ ক্ষন ধরে বসে থাকা মনে আবিষ্কারের ভূত মাথায় উঁকি দিল ।কাছে গিয়ে ভীড় ঠেলে বেশিদুর এগুতে পারলাম না । তবে কেউ একজন কিছু কথা বলছে আর মাঝে মাঝে করতালিতে তাকে স্বাধুবাদ জানাচ্ছে জমাট জনতা, বেশ উপভোগ করছিলাম । কিছুক্ষণ পর রুমেলকে হারিয়ে ফেললাম তবু কথার মন্ত্রজালে আটকে গেলাম, আমি নির্বাক শ্রোতা হয়ে শুনে যাচ্ছি আর লোকটা বলে যাচ্ছে…
সময়ের স্রোতে কালের বিবর্তনে উন্নতির সিঁড়ি বেয়ে ক্রমাগত এগিয়ে চলেছে মানব-সম্প্রদায় । উন্নতির পিছনে রয়েছে সভ্যতা আর সভ্যতার অন্তর্নিহিত চালিকাশক্তি শিক্ষা ও সংস্কৃতি । সৃস্টির আদিকালে মানুষ ছিল বস্ত্রহীন লজ্জা তখনো স্রস্টা হতে সৃস্ট হয়নি বলে ।মহাকালের স্রোতে মস্তিস্কের পুরিপুষ্টতায় বেছে নেয়া পাতা-লতা আর গাছের ছাল ই আজ মানব কায়ায় জড়িয়ে দিয়েছে সংস্কৃতির চাঁদর ।
জাতিগত ভেদাভেদে সমগ্র মানবকুল গড়ে তুলেছে স্ব-স্ব সাম্রাজ্য ,সম্প্রদায় ও সংস্কৃতি । ধারাবাহিকতার রেশ ধরে আজ ও পৃথিবীর মানচিত্রে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে আমরা , বাংলা মা ও মায়ের সংস্কৃতির আঁচল ।
সৌন্দর্যের সম্রাজ্ঞী ঋতুর আবাহনে মা বহুরুপে ধরা দেয় বর্ষ জুড়ে । মায়ের বকে এঁকে বেঁকে গেছে কত নদী ।যে নদীর জলে তেস্টা মেটায়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে তুলেছে হিন্দু-মুসলিম ।কি ঈঁদ? কি পুঁজা-পার্বন? সবখানে সবার সমান অংশগ্রহন ।
বাংলা মাকে যুগে যুগে অলংকিত করে গেছে রবী-নজরুল আর জয়নুল-হাসেমের লেখা ও আঁকা । একতাঁরা আর আব্দুল আলিম-আব্বাস উদ্দিনের গান আজো চিত্ত জুড়ায় সকল বাঙ্গালী প্রান । পিঠা-পুঁলির স্বাদে চোখ বুঁজে আসে বারংবার ।হালখাতার নেমন্ত্রন যেন ভুলিয়ে দেয় পুরনো সব লেন-দেন ।বাহারি মেলা,বাঁশির মোহন মাতানো সুর,পান্তা-ইঁলিশ মনের কোনে জমা করে নতুন এক মাত্রা ।
বিশ্বজুড়ে যেথায় সবাই উন্নতির জয়গান করছে বাংলা মা তখন ঢুকরে কাঁদছে আপন ঘরকোনে ।কারন মায়ের কিছু পথব্রষ্ট সন্তান আজ অপ্সংস্কৃতির আহবানে সাড়া দিয়ে একতারা ছুঁড়ে হাতে নিয়েছে গীটার,ডিস্কো নাচে-গানে ব্যঙ্গ করছে তার সত্ত্বাকে ।পিঠা-পুলির স্বাদ ভুলে বেছে নিয়েছে কৃত্রিম ফার্ষ্ট ফুড,শাড়ী খুলে আজ লুফে নিয়েছে বর্বর পোষাক ।যারা আমাদের সংস্কৃতির চাঁদর খুলে ফেলতে চাইছ তাদেরকে বলছি “সভ্য হও! মায়ের আঁচল খুলে ফেলো না”।
কেউ লোকটার কথাকে পাগলের প্রলাপ বলে চলে যাচ্ছে, কেউ চমৎকার বলে বাহ্বা দিচ্ছে ।কিন্তু নিজেকে কেন জানি খুব অপরাধী মনে হল তাই কোন দিকে না তাকিয়ে সোজা বাড়ীমুখে রওয়ানা হয়ে গেলাম তবে কানে শুধু একটা কথাই বাঝছিল “সভ্য হও! মায়ের আঁচল খুলে ফেলো না” ।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মাহাতাব রশীদ (অতুল) ভোট দেও শেষ দিন।সবাইকে উতসাহিত করছি।১ম থেকে ৫ম এর ভিতরে না থাকতে পারলে দুকখ করার মানে নেই।কারণ একদিন সবারি জিত হবে।
রংধনু সৌরভ শুভ (কৌশিক ), এই রে এভাবে দয়াকরে বলো না, নিজেকে খুব লেখক লেখক লাগে...
রংধনু এস, এম, ফজলুল হাসান, ধন্যবাদ লেখাটা পড়ার জন্য তবে আপনার কাছ থেকে বিস্তারিত মন্তব্য আশা করতেই পারি...
সৌরভ শুভ (কৌশিক ) রংধনু ছড়িয়ে,দিলে মন ভড়িয়ে ...
এস, এম, ফজলুল হাসান ভালো লেগেছে সুন্দর গল্প
রংধনু মাহমুদা রহমান, ধন্যবাদ নতুনের কেতনে বাতাস দিয়েছেন বলে...
রংধনু ফাতেমা প্রমি, পাঠক বেশে অবশেষে আমার দেশে,মন্তব্য পড়ে বেশ মজা পেলাম তবে নামের মধ্যে কোথায় পিচ্চি বাচ্চা কে নিয়ে লেখা বলে বুঝা যায় তা বোঝলাম না, তাও ভালো কারো ভুল ভাঙ্গতে পেরেছি, জেনে ভালো লাগলো...
রংধনু নাজমুল হাসান, আপনার মন্তব্যের ধরন তাই যথেষ্ট সাহিত্য সম্পর্কে আপনার ধারণা কতটা উচু . ভবিষ্যতে এধরনের ভুল কাটিয়ে উঠতে পারবো আশাকরি, আর হে আপনার মন্তব্যের জন্য অসংখ ধন্যবাদ...
রংধনু শুহানা রাহমান, ধন্যবাদ আপনার অনুপ্রেরণামূলক মন্তব্যের জন্য...

০৪ ফেব্রুয়ারী - ২০১১ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“মে ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ মে, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী