শেষ সম্বল রমিজ মিয়ার এক বিঘা মোটে জমি সে তো জমি নয়, যেন সোনা ফলা প্রিয় মাটি, অভিন্ন দাগের পৈত্রিক জমি খাজনাও পরিশোধ সারা জীবনের সম্পদ তার, এতদিনও ছিল খাঁটি ।
এক ছেলে তার, রাজন বেকার মনে নেই আজ সুখ বিয়েও করেছে খুব ভালবেসে ফুট-ফুটে চাঁদ মুখ, গার্মেন্টসে কাজ করে খেত, ছিল না তাদের দুখ কোন মতে দিন গুজরান হ’তো তাতেই ভরতো বুক
হঠাৎ করিয়া অজানা কারণে পুড়ে গেল কারখানা চাকরী যেন সোনার হরিণ, ভাগ্যে জোটে না আর, দারুন কষ্টে রাজন ভাবিল, বিদেশে জমাবে পাড়ি কষ্ট হলেও অভাব ঘুঁচবে, চলবে তো সংসার ।
মাত্র এক বিঘা জমি তার, বারো লাখ টাকা দাম, সবকিছু শেষে ঠিকঠাক হলো, কথা হলো পাকাপাকি, ভূমি দস্যুর কারসাজি শেষে অর্দ্ধেক হলো খাস অর্দ্ধেক দাম দিলো রমিজেরে, অর্দ্ধেক দিল ফাঁকি !
আহা রুবন
কবিতাটি পড়ে মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেল। এমন ঘটনা অহরহ ঘটছে। আমার গ্রামের একটি ঘটনা। এক মহিলা চার বছরের একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বিধবা হলেন। অন্যের বাড়ি কাজ করে ছেলেকে এইচ এস সি পাশ করালেন। তারপর বাড়িটুকু বিক্রি করে মালয়েশিয়া যাত্রা করল। তারপর আপনার কবিতার ঘটনা। যে মা-টি সব ত্যাগ করে ছেলেকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন, একদিন জানলেন ছেলের মৃত্যুর সংবাদ। লাশটাও দেখার ভাগ্য হয়নি। কবিতা খুব ভাল লাগল।
জসিম উদ্দিন আহমেদ
কবিতাটি পড়ে রবীন্দ্রনাথের দুই বিঘা জমি'র কথা মনে পড়ে গেল। আসলেই আমাদের সমাজে এরকম ঘটনা ঘটছে। আপনি একজন সব্যসাচী লেখক। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কবিতার জন্য এরকম রিয়েলিস্টিক সাবজেক্ট বেছে নেওয়ার জন্য!
সেলিনা ইসলাম
কবিতায় শব্দ ছন্দ কাব্যে বাস্তব চিত্রটি সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন। আদম ব্যাপারীসহ বিদেশে যাওয়ার যে কোনো ব্যাপারে সকলেরই সচেতন হওয়া উচিৎ। ধন্যবাদ একটি মূল্যবান বিষয় কবিতায় তুলে ধরার জন্য। নিরন্তর শুভকামনা।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।