একটি স্বপ্ন, একটি সম্ভাবনা আহাদের চোখে। শত কষ্ট ঝড়-ঝাপটা বুকে চেপে রেখে এগিয়ে চলছে আগামী স্বপ্ন রচনায়। তাই ছোট ভাই রাহাতকে কিছুই বুঝতে দেয় না আহাদ। দুই ভাইয়ের মধ্যে বয়সের পার্থক্য অনেক। যে আবদার রাহাত করবে বাবার কাছে সে আবদার করে বড় ভাইয়ের কাছে। কারণ বাবা ষাটোর্ধ। বয়সের ভারে ন্যুজ। তার উপর আয়-রোজগারহীন।
আহাদ সবই বুঝে। সংসারে অভাব। লেখা পড়া যতটুকু করেছে তার বদৌলতে নিজের এলাকায় দিনমজুরের কাজ করতে পারে না। এদিকে অবস্থা এমন যে এখনি ঘরে চাল দরকার। অগত্যা দুই গ্রাম দূরে যেখানে আহাদকে সহজে কেউ চিনে উঠতে পারবে না সেখানে দিন মজুরের কাজ নেয়। এক দুপুর কাজ করলে পাবে ৩০ টাকা। ৫ টাকা কেজি চাল । বাকি টাকা দিয়ে তেল নুন তরকারিসহ অন্যান্য জিনিষ নিয়ে আহাদ বাড়ি ফিরে। এই দেখে আহাদের মা বেজায় খুশি। এই কর্মওয়ালা কর্তার বয়স তখন মাত্র ২০ বছর। আর রাহাতের বয়স ৫ বছর।
আমাদের দেশের সামাজিক রীতিটাই এরকম। শিক্ষিত মানুষ মানেই তাকে কোন অফিসে চাকরী করতে হবে। সেখানে সে কলমের খোঁচায় অগনন অর্থকড়ি চুরি করুক তাতে কিছু যায় আসে না। কিন্তু সে কিছুতেই দিনমজুরি করে হালাল উপার্জন করতে পারবে না। এতে তার শিক্ষিতের উপর অবিচার করা হবে।
আহাদ কাজ করে মাঠে। মাঠ ভর্তি সবুজ ফসলের ঢেউ। সবুজের সেই ঢেউ আহাদের মন ছাপিয়ে চলে যায় কল্পনার দূর বহু দূরে। যে কল্পনাকে আহাদ বাস্তবে দেখতে চায়। সবুজ টগবগে লতার মতো আহাদের নিস্কলুস মন। যা দিয়ে সে জয় করতে চায় অজেয়কে। এক সোনালী নীড়ের আশায়।
এখন রাহাত স্কুল গামী। নিয়মিত স্কুলে যায়। প্রতি ক্লাশে ভাল রেজাল্ট করে। আহাদকে স্কুলের শিক্ষকরা উৎসাহ দেয় ছোট ভাইকে লেখা পড়ায় এগিয়ে নেয়ার জন্য। উৎসাহ দিয়ে বলে আপনার ভাই এক সময় অনেক বড় মাপের কিছু হবে। আবার কেউ কেউ বাকা চোখে কথা বলতেও ছাড়েনি। প্রতিবেশীর কেউ কউে কখনো আহাদকে বলতো- আরে মিয়া ছোট ভাইয়ের পিছনে এত খরচ করে লাভ কি ? সে এক সময় তোমাদেরকে চিনবেই না।
আহাদ কারো কথায় কান দেয় না। তার স্বপ্ন, ছোট ভাই অনেক বড় হবে। উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হবে। সে এটাকে দায়িত্ব মনে করে। ছোট ভাই বড় মাপের ইঞ্জিনিয়ার হবে। জনসেবা করবে। দেশের সেবা করবে। মানুষ তার জন্য জয় জয়কার করবে। এমনি নানা আশাবাদি স্বপ্ন তাকে ছোট ভাই রাহাতের লেখাপড়ার রশদ জোগাতে সাহায্য করতে লাগলো।
দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাহাত ছোট। বোন রাহাতের বড়। সবার বড় আহাদ। বোনের সাথে রাহাতের খুবই বোঝাপড়া। যেন এক মুহুর্ত একজনকে ছাড়া অন্যজন থাকতে পারে না। নিজেদের সকল সুখ-দু:খ ভাগাভাগি করে নেয়। আসলে তারা দু‘জন ভাল বন্ধুও বটে। সংসারের সবাই এই দুই ভাই-বোনের সম্পর্ক খুবই উপভোগ করে। ব্যতিক্রম বড় ভাইয়ের সাথে। বড় ভাইকে ছোট দু‘ভাই-বোন খুবই ভয় পায়। আসলে এই ভয় নিতান্তই শ্রদ্ধার। ছোট দুই অনুজের এই অনুভ‚তিতে বড় ভাই আহাদের বুক তৃপ্তিতে ভরে যায়। সে তার স্বাভাবিক কাজকর্মে নতুন করে প্রেরণা লাভ করে।
সময়ের গন্ডি পেরিয়ে রাহাত এস. এস. সি পাশ করে। রাহাতের ফলাফল পেয়ে সবাই খুব খুশি। কারণ সে সকল বিষয়ে লেটার মার্কসহ প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হয়েছে। এ যেন পূর্ণিমার চাঁদ হাতে পাওয়া। স্বল্প সামর্থ দিয়ে আতœীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার মাঝে আহাদ তার খুশির অনুভ‚তি প্রকাশ করছে মনের আনন্দে।
রাহাত গ্রামের বাড়ি ছেড়ে শহরে উচ্চ শিক্ষার জন্য পাড়ি জমায়। পরিচিত হতে থাকে নতুন পরিবেশের সাথে। একমাত্র বোন রুবিনা শহরে যাবার আগে রাহাতকে সাবধান করে দেয়, গ্রামের সুশীতল ছায়ার বিপরিতে শহরের ইট-কাঠের শক্ত পরিবেশে থেকে যেন তার মনটা কঠিন হয়ে না যায়।
বোনের কথায় অট্রহাসি হাসে রাহাত। ‘কি যে বলিস তুই। যেখানেই থাকি, তুই না দেখলেও আমি ঠিকই তোর কাছাকাছি ছায়ার মতো থেকে তোর সাথেই খুনসুটি করে যাবে।’
রাহাতের এই কথায় সায় দেয় বোন।
রাহাত যখন বাড়ি থেকে শহরে যাচ্ছে নিজেকে মেলে ধরার চুড়ান্ত শেখরে আরোহণের জন্য, তখন বাড়ির সবাই সম্পর্কের নানা কারণে বিমর্ষ হচ্ছে। আর বোনটি বিমর্ষ হচ্ছে সম্পর্কের পাশাপাশি একজন খেলার সাথিকে হারানোর বেদনায়।
সময় থেমে থাকে না। আজ বড় ভাই আহাদ বিবাহীত। তার একটি ছেলে আছে। পুরোদস্তুর সংসারি। কিন্তু আলাদা নয়। সংসারের ঘানি টানতে টানতে আহাদ সংসারি অনেক আগে থেকেই। আগে রাহাতকে যেমন দেখতো এখনো তেমনি দেখছে। বরং সংসারি ভাই আগের ভাইয়ের তুলনায় অনেক সতর্ক। এজন্য যে যাতে রাহাত এ কথা বলতে না পারে ভাই বিয়ে করে অন্যরকম হয়ে গেছে।
রাহাত হওয়ার কথা ছিল ইঞ্জিনিয়ার। কিন্তু হয়েছে বৈমানিক। সে এখন বিমান চালায়। বিজ্ঞান বিভাগ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে সিভিল এভিয়েশন থেকে ডিপ্লোমা পাশ করে যাত্রি বাহী বিমানের পাইলট হিসেবে যোগদান করেছে। বাতাসের ঢেউ কেটে রাহাতের বিমান তর তর করে নীল আকাশের দিগন্তে হারিয়ে যায় । তার বৃদ্ধ মা-বাবা বাড়ির উপর দিয়ে কোন বিমান উড়ে যেতে দেখলে বলে উঠে এই বুঝি রাহাতের বিমান যাচ্ছে। নীল আকাশে বিমান উড়ার মতোই রাহাতের পরিবারের সদস্যদের মন স্বপ্নের সিঁড়িতে উড়াউড়ি করে।
স্কুল থেকে বিমানের পাইলট হওয়া পর্যন্ত বর্ণনা খুব সহজে দেয়া গেলেও এই সময়টুকু খুব সহজে পাড়ি দেয়া সম্ভব হয় নি। পথটি ছিল খুবই বন্ধুর। এর মধ্যে অনেক কষ্ট স্বীকার করতে হয়েছে রাহাত ও তার পরিবারকে। অদম্য ইচ্ছা শক্তি, লক্ষ্যে পৌঁছার দৃঢ় সংকল্প, আন্তরিক সদিচ্ছা আর বাবা-মার দোয়া এই দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে সাহায্য করেছে রাহাতকে।
আহাদ আজ নিজেকে স্বার্থক মনে করে। তার পরিশ্রম ছোট ভাই স্বার্থকতার সাথে মূল্যায়ন করেছে। একজন সফল বৈমানিক হিসেবে সে নিজেকে ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। অপর দিকে আহাদ আত্মিয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে উদারতার এক জীবন্ত মডেল হিসেবে স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। প্রতিবেশীরা আহাদকে সমীহ করে কথা বলে। এ সবই ছোট ভাই রাহাতের ঈর্শনীয় সাফল্যের প্রতিফল। সমাজে আহাদ বৈমানিক গড়ার কারিগর হিসেবে পরিচিত। যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে আহাদ সাহেবের ডাক পড়ে। যে আহাদকে দেখলে প্রতিবেশীরা বসার জন্য সামান্য জল চৌকি দিত না; সে আহাদকে দেখে এখন চেয়ার এগিয়ে দিচ্ছে।
সমাজ, সংসার, পরিবার, কর্মজীবন সবকিছুর হিসেব নিকেশ এক কঠিন বাস্তবতার মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলে। শান্ত সুবোধ রাহাত এখন দায়িত্ববান ব্যক্তি। এক সময় রাহাত ব্যক্তিগত, সামাজিক বা কর্মজীবনের কাজে যে কোন সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে বড় ভাই আহাদকে জানাত। কিন্তু ইদানিং রাহাত কেমন যেন একটু আলাদা। বড় ভাই এটাকে ছোট ভাইয়ের নতুন দায়িত্ববোধের অনুভ‚তির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করে। বাস্তবতা হলো নিজেকে নিজের মতো সাজিয়ে নেয়ার আত্ববিশ্বাস এখন রাহাতের চোখে মুখে।
দীর্ঘ ছয়মাস কর্মস্থলে হাওয়াই ঘোড়া বাতাসে ভাসিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ ঘুরেছে রাহাত। দীগন্ত জোড়া পাহাড়, অথৈই নীল জলরাশি, শুন্যে মেঘমালার বিচিত্র আচরণ, অন্ধকার রাতে নিচের আলোর শহর আরো নানান অভিজ্ঞতা রাহাতের ঝুলিতে। মহান ¯্রষ্টার এক অপূর্ব অবদান এ মহাবিশ্ব যা নয়ন ভরে দেখেছে রাহাত।
এক সপ্তাহের ছুটিতে রাহাত বাড়িতে এসেছে। সেই শান্ত সুবোধ অতি সাধারণ ভাব ভঙ্গিতে সবার সাথে কথা বলছে রাহাত। এই ছেলেটি যে বিমান চালায় তা দেখে বোঝার কোন উপায় নেই। তার এই আচরণে প্রতিবেশীরা খুবই খুশি। রাতে রাহাত বাবার সাথে বিভিন্ন দেশ, মহাদেশ, শহর-বন্দর ঘুরে বেড়ানোর অভিজ্ঞতা বিনিময় করার জন্য বসে। বাবা খুবই সদালাপি। রাহাত তার ভ্রমণের বিভিন্ন দৃশ্য যা সে ভিডিও করে এনেছে তা বাবাকে অতি যতেœর সাথে দেখাচ্ছে। আহাদ এই মাত্র বাড়িতে প্রবেশ করেছে। জানালার ফাঁক দিয়ে বাবা এবং রাহাতের এক আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশ দেখে আনন্দে আবেগ আপ্লুত হয়।
রাতে সবাই এক সাথে খেতে বসে। মায়ের হাতের রকমারি খাবার খেয়ে তৃপ্তির অনুভ‚তি প্রকাশ করে রাহাত।
খেতে খেতে রুবিনা বলে ‘মা অনেক দিন পর তোমার হাতের মজার রান্নার স্বাদ পেলাম। তুমি এত দিন এত মজা করে রান্না করনি কেন?’
মা বলেন- ‘তোরা শুধু আমার ছোট ছেলের সাথে হিংসা করিস। প্রতিদিনই তো তোরা আমার হাতের রান্নার স্বাদ নিচ্ছিস। আজ না হয় একটু আলাদা কিছু।’
মা বড় ছেলে আহাদকে লক্ষ্য করে বলেন- তোর বাবার শরীরের যা অবস্থা তাতে কখন কি হয়ে যায় বলা যায় না। রাহাতের সাথে মানাবে এমন একটি মিষ্টি মেয়ে দেখে বিয়ে দেবার ব্যবস্থা কর।’
আহাদ বলে- ‘মা রাহাত তো এখন বড় হয়েছে। তার তো একটা মতামতের ব্যাপার রয়েছে।’
মা বলেন- ‘মতামত একটা কেন দরকার হলে পঞ্চাশটা নিবি। মেয়ে একটা পছন্দ না হয় আরেকটা দেখাবি।’
রুবিনা এই কথপোকথনকে গভির ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। সে লক্ষ্য করছে বড় ভাই এবং মায়ের কথাবার্তার প্রতি ছোট ভাই রাহাতের কোন মনযোগ নেই। বিবাহের আলোচনায় তার মধ্যে সংকুচিত হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। নেই কোন আবেগ উচ্ছ¡াস। হয়তোবা আধুনিকতার ছোঁয়ার কারণে এমনটি হতে পারে।
ফাল্গুন মাসের সকাল। আবহাওয়া বেশ চমৎকার। হালকা ঠান্ডা বাতাস। দক্ষিণ দিক থেকে ভেসে আসছে গন্ধরাজ ফুলের সুবাস। রাহাত বারান্দায় বাবার সাথে নাস্তা খেতে বসেছে। নাস্তার ফাঁকে মা রাহাতকে জিজ্ঞেস করে ‘কিরে সেদিন রাতে তোর বিবাহের ব্যাপারে কথা বলতে চাইলাম, তুই আমাদের কিছুই বললি না যে ?’
রাহাত কোন ধরণের ভ‚মিকা ছাড়াই বলতে লাগলো- ‘মা একটা কথা বলবো বলবো বলে আর বলা হয় নি। আসলে আমি গত দুই বছর যাবত একটা মেয়েকে পছন্দ করে আসছি। পরিচয় জানলে তোমার খুবই পছন্দ হবে।’
মা বললেন- ‘সে ভাল কথা। তা তোর বড় ভাই কি তোর মনের কথা জানে ?
‘এটা আবার জানার এমন কি আছে ।’ রাহাত বলল ঃ
‘রাহাত এত তাড়াতাড়ি অতীত ভুলে গেলি ? তুই এভাবে মন্তব্য করতে পারলি ? মা বললেন ঃ
রাহাত বলে- ‘মা তুমি এত আবেগ প্রবণ হচ্ছো কেন ? আমি একটা মেয়েকে পছন্দ করি তাকে বিয়ে করবো এতে দোষের কি আছে ?’
মা বললেন- ‘দোষের কিছু নেই। তবে তোর ইচ্ছা বাস্তবে রূপ দিতে চাইলে তা তুই পারিবারিকভাবে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করতে পারিস। মা পুনরায় বললেন- তবে একটা কথা মনে রাখিস। এই জায়গায় জীবনে যে একবার হোঁচট খায়, তার জীবন বড়ই দুঃর্বিসহ হয়।’
রাহাতের কথাবার্তায় সেই শান্ত সুবোধ চেহারার কোন মিল খুঁজে পায়না পরিবারের সদস্যরা। রুবিনা বিড়বিড় করে বলতে লাগলো, ধরে নিলাম তার পছন্দের মেয়েকেই বিয়ে করাবো। কিন্তু এটা উপস্থাপনের কৌশলটি কি ভিন্ন রকম হতে পারতো না ?
বাবা নির্বাক হয়ে মা ছেলের কথা শুনছে আর কি যেন ভাবছে।
রুবিনার চিন্তা অন্য জায়গায়। সে ঠিক বুঝতে পারছে উচ্চ শিক্ষা, অর্থ আর ঐশ্বর্যের মাঝে তার ছোটবেলার রাহাত আর এখনকার রাহাত এক নয়। রুবিনা তার মনকে কিছুতেই বুঝাতে পারছে না। পারিবারিক সুদৃঢ় বন্ধন ছিন্ন হওয়ার এক অজানা শংকায় অস্থির তার মন। মা-বাবা, বড় ভাই রাহাতের বর্তমান মানসিকতায় কতটা কষ্ট পাবে ভেবে পাচ্ছে না রুবিনা।
নাস্তা পর্ব সেরে রাহাত তার প্রয়োজনীয় জিনিষপত্র গুছিয়ে নেয়। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তার বেরিয়ে পড়ার আয়োজনও বাড়তে থাকে। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে রাহাত ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। বাবা-মায়ের অশ্রæ তাকে বিদায় সংবর্ধনা দেয়। এক আবেগঘন বেদনা বিধুর পরিবেশে রাহাত পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নেয়।
আহাদ মায়ের কাছ থেকে রাহাতের মনের অভিব্যক্তি সবই শুনেছে। সব শুনে শুধু বলেছে ও কিছু না। সব ঠিক হয়ে যাবে। বাস্তবে এটি ছিল আহাদের পক্ষ থেকে মায়ের জন্য সান্তনার বুলি।
আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ। বিস্তীর্ণ ফসলের মাঠের পাশ ঘেঁষে এঁেক বেঁকে চলে গেছে মেঠো পথ। তারই পাশ ধরে আপন মনে হেঁটে চলেছে আহাদ। একাকি হাঁটছে। আর কি যেন খুঁজছে মাঠের ভিতর। এই মাঠেই তার অতীতের ঘাম ঝড়ানো শ্রম মিশে আছে। তার মন খুঁেজ ফিরে বিশ বছর আগের সেই অতীতকে। যেখানে ছিলনা কোন লোভ লালসা। ঠকানোর কোন ফন্দি ফিকির। চাঁদের আলোতে দৃষ্টির সীমানা শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আহাদের মনের সীমানা দিগন্ত ছাপিয়ে দূর থেকে দূর আজানায় সান্তনা খুঁজে পায় না।
২৪ আগষ্ট - ২০১৪
গল্প/কবিতা:
১১ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“জানুয়ারী ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ জানুয়ারী, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।
প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী