পাথরটা কেবল গড়িয়েই চলেছে। সমতল ভূমি বলো, আর চড়াই উৎরাই কিংবা নদীর তীরের নরম পলিমাটি, সবখানেই গড়িয়ে পার হয়ে গেছে রুক্ষ-মসৃণ, কঠিন সেই পাথরটা। অথচ শেষ কালে কিনা-
ঢালু একটা পাহাড়ি উপত্যকায় জন্মানো শ্যাওলায় হোঁচট খেয়ে থমকে গিয়ে ছিল পাথরটার গড়িয়ে চলা। পাথরটা ভেবেছিল, থমকে যখন গিয়েছি, হয়তো একটু আদর মাখা ভালোবাসা, একটু নরম স্নেহের উত্তাপ, নিদেন পক্ষে উষ্ণ সমাদর তো পাওয়া যাবেই।
কিন্তু পাথরের ভাবনাটা ভুলছিল।
পাহাড়ি উপত্যকার সেই শ্যাওলার খাঁজ পাথরটারও পর কঠিন প্রতিশোধ নিলো। কেন নিলো? সেটা বোধ হয় শ্যাওলাও জানেনা। কঠিন পাথরটার বুকে প্রথমে শ্যাওলা জমে গেল পাথর ভাবল সবুজ শ্যাওলা তার রুক্ষ কঠিন বুক ভালো বাসার শ্যামলিমায় ভরিয়ে তুলবে। কিন্তু পরক্ষনেই আবার পিছলে গেল পাথরটা। আবার শুরু হলো তার গড়িয়ে চলা। অনন্তকাল ধরে গড়িয়ে চলছে পাথরটা..
পাথরটির বুকের গভীরে সবুজ একটা পোড়া দাগ। অনাগত দিনের প্রত্নতত্ববিদরা হয়তো বলবে- পাথরটির বুকে জীবাশ্ম রয়েছে। কিন্তু তারা কী জানতে পারবে? এ জীবাশ্ম গড়িয়ে চলা পাথরের বুকে জমা একমাত্র ভালোবাসার শ্যাওলা।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।