স্কুল জীবনে থাকাকালীন অবস্থায় দেখতাম ছাত্রদের মাঝে অন্যতম আলোচিত বিষয় আমাদের স্কুলের ছাত্রাবাস।যদিও নামে ছাত্রাবাস,কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এখানে থাকা হয় শিক্ষকদেরই।এই ছাত্রাবাস নিয়ে অনেক কিছুই প্রচলিত আছে।কথিত আছে,মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি মিলিটারিরা এখানে ক্যাম্প করে এবং কয়েকজন মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে।স্কুলের পুরাতন অনেক ছাত্রই এখানের একটি কক্ষে ফাঁসির কাষ্ঠ দেখতে পায়।এছাড়া এই ছাত্রাবাস নিয়ে অনেক ভৌতিক ঘটনা প্রচলিত ছিলো অনেকের মুখে মুখে।
কৌতুহলবশতঃ আমরা তিন জন বন্ধু মিলে ছাত্রাবাসের সেই কক্ষ দেখতে একদিন রওনা হলাম।তখন সবেমাত্র আমরা অষ্টম-শ্রেণীর ছাত্র।কিছুটা ভয় আর কৌতুহল নিয়ে আমরা ছাত্রাবাসে প্রবেশ করলাম।কক্ষটিতে যেতে তিনটি দরজা পেরোতে হয়।প্রথম দরজা খোলায় ছিল।তাই সহজেই প্রথম দরজা পেরিয়ে দ্বিতীয় দরজায় চলে এলাম।হাল্কা ধাক্কা দিতে দ্বিতীয় দরজা ও খুলে গেলো।এরপর সাত-আট পা এগোতেই তৃতীয় দরজা।তৃতীয় দরজা ছিটকিনি দিয়ে আটকানো ছিল।ছিটকিনি খুলেই দশ-বারো পা এগোতেই কক্ষটিতে উঠার সিঁড়ির সামনে এসে আমরা দাঁড়ালাম।সোজা উঠে চার সিঁড়ি এরপর আবার ডানে ছয় সিঁড়ি পেরিয়েই কক্ষটিতে উঠা যায়।কথিত আছে,সোজা চার সিঁড়ি পার হলেই সেই চার সিঁড়িগুলো হঠাত্ করেই পানির নিচে তলিয়ে যায়।যদিও এ কথা অনেক হাস্যকর মনে হবে;কিন্তু তখন ঐ গুজবই আমাদের ভয়ের একটা কারণ ছিল।যাই হোক,চার সিঁড়ি পার হয়ে ডানে ছয় সিঁড়ি ও পার হলাম এবং কক্ষটির সামনে এসে দাঁড়ালাম আমরা।কিন্তু ভাগ্য মন্দ ছিল।কক্ষটি তালা দেয়া।নিরাশ হয়ে ফিরে আসছি এমন সময় নিচে তাকিয়ে দেখলাম একটি কুকুর কক্ষটির বাইরে মেঝেতে বসা।হঠাত্ করে সেখানে কুকুরটিকে দেখাতে আমরা খুব ভয় পেয়ে যায় এবং তাড়াতাড়ি সেখান থেকে নেমে পরি।
কুকুরটিকে সেখানে দেখে তেমন একটা আশ্চর্য না হলে ও সবচেয়ে বেশি অবাক করা ব্যাপার ছিল সেই কক্ষের মেঝের বাইরে পরে থাকা অনেকগুলো পাতা।এতো পাতা যে,তা সম্পূর্ণ মেঝেকে প্রায় দেড় ইঞ্চির পাতার আস্তরণ দিয়ে ঢেকে দিয়েছে।কিন্তু সেখানে পাতা ঢোকার কোনো উত্সই নেই।কেননা চারিদিক দিয়ে জায়গাটি আবদ্ধ...।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি
এখানের একটি কক্ষে ফাঁসির কাষ্ঠ দেখতে পায়।এছাড়া এই ছাত্রাবাস নিয়ে অনেক ভৌতিক ঘটনা প্রচলিত ছিলো অনেকের মুখে মুখে....// স্বাধীনতা বিরোধীদের ঘৃণ্য কাজের একটি নমুনা তুলে আনার জন্য লেখকে সাধুবাদ না দিয়ে পারছিনা। ছোট হলেও আমার ভাল লেগেছে...অনেক ধন্যবাদ জয়কে...
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।