তিন বন্ধু ও চোর

রম্য রচনা (জুলাই ২০১৪)

মালেক জোমাদ্দার
তিন বন্ধু একই গ্রামে বসবাস করে ।একজন কৃষক,একজন জেলে আর একজন দোকানদার। তিন বন্ধুর মধ্যে সম্পর্ক বেশ ভাল। জেলে বন্ধুর একটু চুরির স্বভাব আছে। দোকানদার বন্ধুর দোকান থেকে প্রায়াই জিনিসপত্র চুরি হয় কিন্তু হাতে নাতে দোকানদার ধরতে পারেনা কে চুরি করে তবে মনে মনে জেলে বন্ধুকে সন্দেহ করে।সে বুঝতে পারে কেহ একজন দোকান থেকে মালামাল চুরি করে। একদিন দোকানদার রাতে দোকানে আবস্থান নেয় আর সাথে তার আরো দুই বন্ধুকে পাহারা দেয়ার জন্য রাখে। তারা ঠিক করলো হাতে নাতে চোরকে ধরবে আর ওকে একটা কঠিন শাস্তি দিবে। চোর যদি ওদের বন্ধু হয় আর সে যদি ধরা পড়ে তা হলে বন্ধু লজ্জা পাবে ও বন্ধুত্ব ভেঙ্গে যেতে পারে সে জন্য দোকানদার মনে মনে একটু ভয়ে ও আছে । ওরা ঠিক করলো চোর যখন দোকানে চুরি করতে ঢুকবে এমন সময় ওরা কিছু কথা বলবে যা শুনে চোর পালাবে আর তখন টহল পুলিশ চোরকে ধরবে। দোকানদার ও তার বন্ধুরা কি বলবে তা অনুশীলন করছিল। দোকানী বলবে - দে লড়ান ( মানে দৌড়ানি দেয়া), আরেক বন্ধু বলবে-ধর জাব্রাইয়া (জাপটে ধরা) আরেক বন্ধু বলবে -ওঠ মান্দার গাছ (মান্দার গাছে ওঠা) ।
রাত তখন আনুমানিক ১২টা, দোকানী দেখলো জেলে বন্ধু একটি লোকের পিছে পিছে আসছে । ওদের রিহ্যারসাল চলছে এমন সময় সত্যিকারের এক চোর দোকানের পাশ দিয়ে যাচ্ছে। এক দিন সে ঐ দোকান থেকে কিছু জিনিস চুরি ও করেছিল। জেলে বন্ধুকে দেখে ওরা ওদের কথা গুলো জোরে জোরে বলতে শুরু করলো। দোকানদার বললো- দে লড়ান। চোর ভাবছে সে একদিন চুরি করেছিল তাই মনে হয় তাকে ধরবে। ও জোরে দৌড়ে একটি গাছের নীচে গিয়ে দাড়ালো এমন সময় আরেক বন্ধু বলে উঠলো- ধর জাব্রাইয়া, চোর তো ভয়ে গাছটির বেয়ে উপড়ে উঠতে চেষ্টা করছে।গাছটি ছিল মান্দার গাছ বেশ কাটায় ভরা।খুব কষ্ট করে গাছের মাঝামাঝি উঠতেই আরেক বন্ধু বলে উঠলো-ওঠ মান্দার গাছ। চোর তো ভাবছে গাছে উঠে ওকে ধরে ফেলবে সে ভয়ে লাফ দিয়ে নীচে পড়ে ওমা ! ওবা কে আছ আমাকে বাঁচাও। বন্ধুরা ভাবছে ওদের জেলে বন্ধুই গাছ থেকে পড়েছে। ওরা লোকটির কাছে যেতেই লোকটি ভয়ে আরো জোরে চিৎকার করতে লাগলো।ভাই আমাকে আর মারবেন না। ওরা তো অবাক। ভাই আপনি কেন গাছে উঠছিলেন আর পড়লেনই বা কেন? কেন আপনারা বললেন দে লড়ান আমি তাই দৌড় দিলাম আরো বললেন-ধর জাব্রাইয়া, আমি ভাবছিলাম আমাকে জাপটে ধরবেন তাই গাছে উঠলাম আর কে যেন তার পরও বললেন ওঠ মান্দার গাছ তাই আমি মান্দার গাছ থেকে লাফ দিলাম ।
হায়রে বোকা আমরা তো তোকে বলিনি আমরা আমাদের এক চোরকে দৌড়ানি দিতে চেয়েছিলাম,এই ফাঁকে সেই জেলে বন্ধু জঙ্গলের ভিতর থেকে বের হয়ে উঠে বললো এবার আমি তোদের জেলের ভাত খাওয়াবো । তোরা আমাকে বন্ধু ভাবনি । এই সময় পুলিশ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। পুলিশ দেখে সবাই চুপ।চোর ভাবছে ওকে ধরবে আর ওরা ভাবছে ওদের ধরবে।জেলে বন্ধু মহা খুশি,কি বলে দিব নাকি? বন্ধুরা সবাই ওর পা চেপে ধরে। পুলিশ চলে গেলে ঐ চোর ব্যাটা এক দৌড়, আসলে ওর কিছুই হয়নি। তিন বন্ধু হাসতে হাসতে দোকানে ফিরে গিয়ে মজার আড্ডায় বসে গেল।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
সহিদুল হক যেমন রম্য পরিবেশনা তেমন শিক্ষণীয় বার্তা। খুব ভাল লেগেছে।
অশেষ ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য।
প্রজ্ঞা মৌসুমী গল্প পড়ে ভাল লেগেছে, রম্যরসে ভরপুর ছিল। তবে মনে হলো একটু তাড়াহুড়োয় লেখা; খুব গুছিয়ে লেখা হয়নি। দোকানদারের চোর ধরার আইডিয়টাটা ভালো ছিল কিন্তু (একদিন দোকানদার রাতে অবস্থান নেয়) ওরা কি করে জানবে যে চোর চুরি করতে আজকেই আসবে? ওদের ব্যাপার দেখে মনে হচ্ছিল চোর ধরতে নয়, বন্ধু ধরতেই বসে ছিল। কঠিন শাস্তি দেবে বললো, উল্টা চোরকেই না চিনতে পেরে ছেড়ে দিল। শেষে তিন বন্ধু না হয়েতো চার বন্ধু হবার কথা ছিল কারণ দোকানদার দুই বন্ধুকে পাহারায় রেখেছিল। এরকম ছোট ছোট পয়েন্টগুলো দূর্বল ছিল। তবে সর্বোপরি ভালো লাগায়- ভোট পুরোটাই দিলাম। অনেক শুভ কামনা
আপু অশেষ ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। আসলেই খুব কম সময়ে লেখা আর কোন এডিট ছাড়াই পোষ্ট করা ।আপনার মতামত আমার পরের লেখায় উপকারে আসবে।শুভকামনা রইল।
পুলক বিশ্বাস আমার ভালো লেগেছে । বিশেষকরে মান্দার গাছ থেকে লাফ। বেশ হাস্যরস করে লিখেছেন মালেক ভাই। আমার কবিতা পাড়ায় আসবেন আশা করি। ভালো থাকবেন।
পুলক ভাই, ধন্যবাদ গল্পটি পড়ার জন্য। অবশ্যই পড়বো ইনশ আল্লাহ। শুভকামনা রইল।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি অনেক ভালো লাগলো জোমাদ্দার ভাই ০০০ আপনাকে আমার পাতায় আমন্ত্রণ ০০০০
জ্যোতি ভাই, ধন্যবাদ , শুভকামনা রইল. অবশ্যই পড়বো ।
আফরান মোল্লা এত ভালো লাগলো যে আগে ভোট করলাম,তারপর কমেন্ট করলাম!!শুভকামনা রইল অনেক।
আফরান মোল্লা ভাই, ধন্যবাদ , শুভকামনা রইল
মালেক জোমাদ্দার আলমগীর দাদা ধন্যবাদ , শুভকামনা রইল,
আলমগীর সরকার লিটন দাদা তিন বন্ধুর গল্প সুন্দর লাগল অনেক অভিনন্দন-----
নেমেসিস তিন বন্ধুর মতন আমিও মজা পেলাম।
রুবি আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ গল্পটি পড়া ও মন্তব্য করার জন্য। শুভ কামনা রইল।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু আপনার লেখাটা পড়ে খুব হাসলাম। শিক্ষণীয় বিষয়ও আছে লেখায়। খুব ভাল লিখেছেন। শ্রদ্ধা জানবেন।
ওয়াহিদ ভাই, আপনার সু-মতামত আমার লেখায় অনুপ্রেরণা যোগাবে। ধন্যবাদ ওয়াহিদ ভাই।

০২ জুন - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৯ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪