আমার “আমি”কে কখনো হাসতে দেখিনি নতজানু হয়েছি, হয়ে থেকেছি শুধু হুকুমের দাস জন্ম থেকেই কঠোর নিয়মের বেড়াজালে, শাসনে-অনুশাসনে বাবা'র কঠিন চোখে রক্তনদী যেনো বারোমাস! তাচ্ছিল্য- তিরস্কার আর বঞ্চনা আপদ- জঞ্জাল- এসবের গঞ্জনা!
আমার “আমি”কে কখনো হাসতে দেখিনি দেখেছি জন্মদাত্রী মা কিভাবে চারদেয়ালের ভাঁজে ভাঁজে আমারে লুকায়! চুপ! চুপ! চুপ! দুরন্ত কিশোরী তুমি একদম চুপ! অবগুণ্ঠন খুলে দেখা হয়নি সবুজ তবে দেখেছি তোমাদের পাশবিকতার রূপ!
আমার “আমি”কে কখনো হাসতে দেখিনি নামটা জুড়ে গেছে পতিদেবতা'র সাথে রোজ রোজ কি অবলীলায় আমার সোনার পালক কেটে ফেলে সে! ধ্রুপদী স্বপ্নেরা ডানা মেলতে পারেনি অসীমে আচ্ছা, কতটুকু ঘাম ঝরালে ওবাড়িতে প্রিয় হওয়া যায়?
তোমারা কঠোর নিয়ম বানাও! আরো বানাও যেদিন শূলে চড়িয়েছিলে আমাকে, আমি কিন্তু প্রাণভরে হেসেছি যদিও জানি দায়টা আমকেই নিতে হবে! তবুও তোমাদের সকল দীনতা- হিংস্রতা উপেক্ষা করে পোষ্টমর্টেমের অপেক্ষায় জেগে আছি এখন লাশকাটা ঘরে!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী
তোমারা কঠোর নিয়ম বানাও! আরো বানাও
যেদিন শূলে চড়িয়েছিলে আমাকে, আমি কিন্তু প্রাণভরে হেসেছি
যদিও জানি দায়টা আমকেই নিতে হবে!
তবুও তোমাদের সকল দীনতা- হিংস্রতা উপেক্ষা করে
পোষ্টমর্টেমের অপেক্ষায় জেগে আছি এখন লাশকাটা ঘরে! আপনি সবসময় চমৎকার কবিতা লেখেন। যা সহজে পড়লে মন ভরে যায়। শেষে বলবো অসাধারণ ভাবনার রূপান্তর
সেলিনা ইসলাম N/A
আমাদের সমাজে এখনও হাজারো রমণী প্রতি নিয়ত ধুঁকে ধুঁকে মরছে,বলী হচ্ছে লোভের! একজন মা সেও পারে না মেয়েকে নিজের মত করে রাখতে! কবিতায় বাস্তবতা চমৎকারভাবে উঠে এসেছে। শুভকামনা নিরন্তর।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
কঠোরতা মানে কঠোর হওয়া। আমি আমার লেখায় দেখিয়েছি আমাদের সমাজে প্রচলিত কঠিন নিয়ম- নীতি যেগুলো অনেক নারীর উপর জন্ম থেকে চাপিয়ে দেয়া হয়। বাবার ঘরে তার জন্য কঠোর নিয়ম, স্বামীর ঘরে তার জন্য কঠিন নিয়ম, শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাদের কাছেও তার জন্য সব কঠোর নিয়মের বেড়াজাল। এভাবেই কঠিন সব নিয়মের বেড়াজালে প্রতিদিন কত নারীকে লাশকাটা ঘরে পড়ে থাকতে হয়! আমার লেখাটি আমাদের সমাজে নারীর প্রতি কঠোরতা চিত্র প্রকাশ পেয়েছে।
০৭ মে - ২০১৪
গল্প/কবিতা:
৩২ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
বিজ্ঞপ্তি
“আগষ্ট ২০২৫” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ আগষ্ট, ২০২৫ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।