ভর দুপুরে ছুটে চলছে বাস তুলনামূলক ফাঁকা, ‘এই ছোলা’ পেছন থেকে ডাক ছোট ছোট পা দুটি এগিয়ে আসে, শব্দোৎসের কাছাকাছি হতেই এগিয়ে আসা দুটি হাত তুলে নেয় কয়েকটা ছোলা ঝটপট; ‘ভালো করে মাখ পঞ্চাশ গ্রাম, বেশি করে তেল পিঁয়াজ দে’।
‘মাইখা খাইতে ভালোই লাগে, কী কন?’ অর্ডারদাতা খোঁজেন সঙ্গীর সমর্থন, ইতোঃমধ্যে তুলে নিয়ে আরো কয়েকটা করেন পাচার সঙ্গীর হাতে।
‘এই লন’ মাখানো ছোলার ঠোঙা হাতবদল হয়, ‘এইটুকু! ঐ ব্যাটা আরেকটু দে’ বলেই তুলে নেন গোটাকতক আরো।
‘পাঁচ ট্যাকা দেন’, অর্ডারকারী সামনের দিকে দেখান ‘কন্ডাক্টররে ক’ গিয়া দিয়া দিবো খন’, সঙ্গী বলেন, ‘কন্ডাক্টর কি দিব?’ ‘দিবনা মানে! ওর বাপে দিবো, নাইলে গাড়ি চালাইবো কি কইরা এই রুটে?’ ছেলেটি নিজের জায়গায় অনড়, ধমকে ওঠে অর্ডারকারী ‘যা ব্যাটা, কন্ডাক্টাররে ক’, হ্যায় চিনে আমগোরে ভালা কইরা শ্রমিক নেতা কি এমতে হইচি!’
খানিকপর ছেলেটির গন্তব্য এলে তাগাদা দেয়, ধমকে ওঠে কন্ডাক্টর- ‘অ্যাই ব্যাটা, এতদূর যে গাড়িতে আইলি তার ভাড়া কেডা দিব? পাঁচ ট্যাকার ছোলা তার দাম চাস আবার ! যা ভাগ্!’ ঘাড় ধরে নামিয়ে দেয় হেল্পার।
বালক স্তম্ভিতো, অসহায়! উঠতে পারেনা বুঝে- আসল দোষীটা কে? কার প্রতি রাগ করা যায়?
দুপুরের সোনারোদে শুধু চোখের জলকণায় তাঁর, ঝিকমিক করে ওঠে মিছিল এক হলুদ ঘৃণার!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এশরার লতিফ
এটাকে কাহিনী-কাব্য না বলে ঘটনা-কাব্য বলতে চাচ্ছি। একটা ঘটনার কাব্যিক প্রকাশেরে ভেতর দিয়ে শ্রেণী -শোষণ আর সামাজিক অরাজকতা উঠে এলো। ভালো লাগলো অনেক।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।