চার দুটি শুন্যি চার

রাত (মে ২০১৪)

স্বাতি ব্যানার্জী
  • ১০
অফিসে প্রচন্ড কাজের চাপ চলছে. আজ একটু বেশি রাতই হয়ে গেল.
ট্যাক্সি পাওয়া তো একটা দারুন সমস্যা, যাত্রী যেদিকে যেতে চায় ট্যাক্সি- চালক সেদিকে কখনই যেতে চায় না. একটা ড্রাইভারকে প্রায় হাতে পায়ে ধরে রাজি করালাম.
খুব ক্লান্ত, তাই ট্যাক্সিতে উঠেই সিটে শরীরটা এলিয়ে দিলাম. হঠাত্ ড্রাইভারের সীটের পিছনে লেখা নম্বরটা চোখে পড়তেই ভীষন ভাবে চমকে
উঠলাম...8008
নম্বরটা এত চেনা! কেন, তা কিছুতেই মনে পড়লনা.
ট্যাক্সিতে চড়ার পর থেকেই কেমন যেন একটা অস্বস্তি হচ্ছিল, একটা উগ্র পর্ফ্যূম এর গন্ধ, কিন্তু তার সঙ্গে মিশে আছে আরও একটা অদ্ভুত ব্যাপার...
গন্ধ না অন্য কিছু?
আমার গন্ধ বতিকটা দিন দিন যেন বেড়েই চলেছে, অন্য দিকে মন দেওয়ার চেষ্টা করলাম, রান্নার মাসি এল কিনা!
না হলে এখন ফিরে আবার রান্নাঘর! ভাবতেই কান্না পেয়ে গেল.
উফফ, এই গন্ধটা আমাকে পাগল করে দেবে...আচ্ছা ট্যাক্সিওয়ালা ডিকীতে কিছু ভরে রাখেনি তো?
কেন জানিনা, সন্দেহটা দৃঢ হতে থাক্‌ল্. ছোটবেলায় পড়া একটা গল্প মনে পড়ে গেল. ব্যাগ থেকে পলিথিন প্যাকেট বের করে,
তাতে হাওয়া ভরে, সিগনালের অপেক্ষায় বসে রইলাম, সিগনালের
কাছাকাছি পৌছতেই, সর্ব-শক্তি দিয়ে কোলের ওপরে
প্যাকেটটা ফাটাবার চেষ্টা করলাম, প্রচন্ড শব্দ করে সেটা ফেটে গেল.
ট্যাক্সিওয়ালাকে তো সিগনালে থামতেই হল, সে মাথায় হাত দিয়ে বলল, 'আপনি মাইরী বহুত অপোয়া আছেন, চাকাটা পামচার হল!'
সে গাড়ি থেকে নামতেই, আমি দৌড়লাম ট্র্যাফিক পুলিস কে ডেকে আনতে. তাকে দেখেই ট্যাক্সি চালকের মুখের অবস্থা তো শোচনীয়...পালাবার পথ ও ছিলনা, কারণ ততক্ষণে ভীড় জমে গেছে.
আমার কথা শুনে পুলিশ ড্রাইভারকে ট্যাক্সির ডিকী খুলতে বাধ্য করলো.
আমার সিক্সথ সেন্স ঠিকই কাজ করেছিল, সেখানে শুয়ে একটি মেয়ে, মাথায় আঘাত পাওয়া, মুখে কাপড় ঠাসা, হাত পেছনে বাঁধা. নাকের কাছে হাত নিয়ে দেখলাম নি:শ্বাস পড়ছে.
বাড়িতে ফোন করে জানালাম, ফিরতে দেরী হবে. পুলিশের সাহায্যে মেয়েটিকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি, ট্যাক্সির নম্বরের রহস্য উদ্ধার হলো. সত্যান্বেসী ব্যোমকেশ আমাকে সাহায্য করলেন...
মানে পড়ে গেল, 'উপসংহার' গল্পে খুনি ট্যাক্সিতে পালিয়ে যাওয়ার পরে ব্যোমকেশ তাঁর কাজের লোক পুন্টিরাম কে বলছেন, 'তোকে এবার ইংরিজি শেখাতেই হবে, ট্যাক্সির নম্বর টা তো অন্তত পড়তে পারতিস...' পুন্টিরাম এক গাল হেসে বলল, 'পড়তে পেরেছি বাবু, ওই ট্যাক্সির নম্বর টা বাংলায় লেখা ছিল, চার দুটি শুন্যি চার.'
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
আখতারুজ্জামান সোহাগ বেশ রহস্য গল্পের একটা আবেশ পেলাম শেষটায় এসে। গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র একটা অসহায় মেয়েকে উদ্ধার করল, এই অনুভূতিটুকু তৈরি করল ভালো লাগা। ছোট্ট গল্পের জন্য ধন্যবাদ।
ওয়াহিদ মামুন লাভলু ভাল লিখেছেন। শ্রভেচ্ছা জানবেন।
Gazi Nishad বাহ, খুব ভালোলাগা রেখে গেলাম দিদিমণি। আমন্ত্রণ রইলো আমার কবিতায়।
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন ....চার নাকি আট..শূন্যটা ঠিক আছে...ঝামেলায় পড়া গেল...ব্যোমকেশ ;ভাবছিলেন...তাহলে কি দুটো গুম!
আপেল মাহমুদ ভালো লিখেছেন স্বাতি দি।
dilipkumar bandyopadhyay খুব ভাল লাগল। পুর্ণিমার সন্ধ্যেতে রঙ্গধনু দেখতে পারেন। কে জিতে গেল তাই ভাবছি।
মোঃ মোজাহারুল ইসলাম শাওন মনে হল আমি এই গল্পের সাথে জরিয়ে আছি
এফ, আই , জুয়েল # অনেক সুন্দর একটি গল্প ।।

২০ মার্চ - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৩ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪