অনিশ্চিত জীবনযাত্রা

ভয় (এপ্রিল ২০১৫)

আনওয়ারুল হক
  • ৭৮
“ইমন, এই ইমন, আরে উঠ, উঠ না! আর কত ঘুমাবি? সেই যে বিছানায় পড়লি, আর উঠার নাম নেই! খাওয়া-দাওয়া করতে হবে না, নাকি?”

মনে হচ্ছে তার বিছানা ছাড়ার ইচ্ছে নেই। এতক্ষণ ডাকাডাকির পর চোখ খুলেছে। আবার পাশ ফিরে শুয়ে আছে। সারারাত ঘুমিয়েছিল না জেগে ছিল কে জানে, তবে দিনভর তাকে ঘুমাতে দেখছি।

এই রুমে আমি আর ইমন থাকি। দু’বছরের মধ্যে কোনদিন তাকে এভাবে ঘুমাতে দেখি নি। অবশ্য ঘুমালেও সমস্যা নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেই, কোথায় কোন অনুষ্ঠানও নেই। সারাদেশে হরতাল। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরুধী দলের হরতালে দেশ অচল। ঘুমানো ছাড়া আর কী কাজ থাকতে পারে? মাঝে মাঝে তাকে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলতে যেতে হয়। আজ টুর্নামেন্টের খেলাও নেই। ঘুমালে অসুবিধা কী?

গতকাল বেশ রাত করেই ঘুমিয়েছিলাম। তখনও ইমন বাসায় ফেরেনি। কোন সময়ে ঘুম থেকে উঠে তার জন্য দরজা খুলে দিয়েছি জানি না, তবে খুব ভোরেই আমি জাগলাম। অভ্যাসমত নামাজ পড়ে হাটতে বেরুলাম। তখনও সে ঘুমাচ্ছিল। সকালের নাস্তা সেরে বাজারে গেলাম। আজকাল বাজারে যেতে আমার রিকশা লাগে না। আসতে-যেতে একটু সময় লাগে কেবল। তবুও ভাল, গাড়ির ছুটাছুটি নেই, হেঁটেই রাস্তা পার হওয়া যায়। তবে রিকশার যন্ত্রণা বেড়েছে ব্যাপক। হরতালে রিকশাওয়ালারা নিজেদের পাইলট ভাবে। মনে মনে তাদের চৌদ্দগোষ্ঠির নামে গালিগালাজ করতে করতে বাসায় ফিরলাম। তখনও সে ঘুমাচ্ছে। দুপুরে খাবারের জন্য তাকে জাগানোর চেষ্টা করেছি। জেগে পাশ ফিরে শুয়ে আবার ঘুমিয়ে পড়েছে। হয়ত রাতে ঘুমায় নি, অথবা ঘুমিয়েছে কিন্তু পর্যাপ্ত হয় নি। ঘুমালে ঘুমাক, বিকেলে জেগে ঠান্ডা বাসী খাবার খেয়ে বুঝবে ঘুম কী জিনিস!

সূর্য ক্লান্ত হয়ে ঢলে পড়ছে পশ্চিমাকাশে। দিনান্তের আভাস পেয়ে ক্লান্ত শ্রমিকরা কাজ গুছাচ্ছে। পাখিরা নীড়ে ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছে। সবকিছু আগের মতই, ব্যতিক্রম শুধু ইমনের ঘুম! সে কখনো অসময়ে এত ঘুমায় না। কী হল তার?

মনে ভয় জাগল, অসুখ-বিসুখ না তো! ডাক্তারের কাছে নেব নাকি ডাক্তার ডাকব? ডাক্তার আসবে কি না, তাও একটা কথা। দেশের যা অবস্থা, হরতাল অবরোধ দেশের হাসপাতাল গুলোকে বাজার বানিয়ে ফেলেছে। জ্বালাও-পোড়াওয়ের শিকার অসংখ্য রোগী হাসপাতাল ভর্তি। আসন না পেয়ে মেঝেতে রোগী গিজ্ গিজ্ করছে। এমনিতেই হাসপাতালে ডাক্তারের সংকট, এ-অবস্থায় কে বাসায় রোগী দেখতে যায়?

ইমনের পাশে গিয়ে বসলাম। কপালে হাত রাখলাম। জ্বর এসেছে, আগে খেয়াল করি নি। চাদর টেনে গায়ে জড়িয়ে দিলাম। সে চোখ খুলেছে, একটু পর হয়ত মুখও খুলবে। আমি তার মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে ভাবছি, কী করা যায়? খানিক পর দেখি, তার চোখে জল! ইমন কাঁদছে? জ্বর হলে মানুষ কাঁদে? জ্বরে মানুষ প্রলাপ বকতে পারে, কাঁদতে পারে বলে মনে হয়না। কিন্তু ও তো প্রলাপ বকছে না, চুপচাপ শুয়ে শুয়ে কাঁদছে। নিশ্চয় কিছু একটা হয়েছে! কিন্তু কী হয়েছে?

বাইরে যাওয়া দরকার। দুধ-পাউরুটি নিয়ে আসতে হবে। অবস্থা বুঝিয়ে পথ্যও নিয়ে আসব। ইমন বলল, যাওয়ার দরকার নেই। বাসায় যা আছে, তা-ই খাবে। ঔষধও দরকার নাই, জ্বর নাকি এমনিতেই সেরে যাবে!

পাগল নাকি! জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে, বলে এমনিতেই সেরে যাবে। বাসায় যা খাবার, রুচিতে কুলাবে? তবু বের হয়ে গেলাম। সে বলেছিল -তবে সাবধানে যাস্!

সাবধানে যেতে হবে কেন? আমি কি পিচ্চি? না অন্ধ যে, সাবধানে যেতে হবে? অত কথায় কান দিয়ে লাভ নেই। স্বাভাবিকভাবেই বের হয়ে প্রয়োজনীয় সব নিয়ে ফিরলাম। দুধ সিদ্ধ করে রুটি সহ টেবিলে এনে রাখলাম। বালতি-মগ এনে হাত-মুখ ধোয়ার ব্যবস্থা করে দিলাম। সে জিজ্ঞেস করল, কোন সমস্যা হয় নি তো? আমি রাগ করে বললাম- সমস্যা হলে বাসায় ফিরছি কীভাবে? কিছুক্ষণ চুপ থেকে মৃদু কম্পিত স্বরে সে বলল, আমিও তো বাসায় ফিরেছি! বুকে ধক্ করে অজানা একটি শব্দ অনুভব করলাম। তখনও ব্যাথা অনুভব করি নি। তবে মনে হল, আমি ভয় পেয়েছি। কিন্তু কিসের ভয়, তা ঠিক করে বুঝে উঠতে পারি নি। সত্যি সেটা ভয় ছিল কিনা, এখনো আমি নিশ্চিত না! তার রক্তিমাভাব চোখে স্পষ্ট জলের বান। কোন্ উত্তাল সমুদ্রের ঢেউ বান হয়ে তার চোখ অতিক্রম করল কে জানে, অজান্তে নিজের চোখও সিক্ত হয়ে এল। কোন প্রকারে সামলে জিজ্ঞেস করলাম, সত্যি করে বলবি কী হয়েছে তোর?

অনেক্ষণ ধরে উত্তরের অপেক্ষায় আছি। কিন্তু তার চেহারায় উত্তরের আভাস দেখা যাচ্ছে না। সে হয়ত উত্তরের ভাষা ভুলে গেছে! মাঝে মাঝে নিঃশব্দে চোখ মুছছে, আর কিছুক্ষন পর পর না-না সূচক মাথা নাড়ছে। আমি ভাবলাম, হয়ত উত্তর পাওয়া যাবে না, তার চেয়ে ভাল টিভি অন করি, দেখি দেশের কী পরিস্থিতি! সে ছুঁ মেরে আমার হাত থেকে টিভি রিমোটটা ছিনিয়ে নিল। বলল, টিভি অন করিস না। টিভি অন করলে তুইও অসুস্থ হয়ে পড়বি!

তার আচরণ আমাকে দুশ্চিন্তা থেকে ভয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছে; তাহলে সে কি মানসিক ভারসাম্যহীন? আমি ভেবে কূল পাই না টিভির সাথে অসুস্থতার কী সম্পর্ক! ভাবছিলাম, কী করা যায়! এক সময় হয় তো অন্যমনস্ক হয়ে পড়েছিলাম। ততক্ষণে সে বিড়বিড় করে কী যেন বলতে চলেছে। মনে হল পাগলের প্রলাপ, জ্বরের প্রভাবও হতে পারে, শুনার ইচ্ছে ছিল না। তবু ওদিকে মনোযোগ গেল। সব কথা কানে আসে নি। যেটুকু এসেছে তাতে বুঝা গেল সে নিজের কথা বলছে, টিভি আর অসুস্থতার কথা বলছে।

গতকাল শীলা তার সাথে দেখা করতে আসবে বলেছিল। অনেকদিন দেখা হয় না, শুধু ফোনে কথা হয়, এতে কি মন ভরে? শীলা থাকে বিশ্ববিদ্যালয় হলে। শহর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব ব্যাপক। হরতাল, গাড়ি চলাচল বন্ধ। চারিদিকে রিকশা আর সিএনজির উৎপাত। এম্ব্যুলেন্স আর ফায়ার সার্ভিসের হুইসেল তো কিছুক্ষণ পর পরই শুনা যায়! মাঝে মাঝে পুলিশের টহল গাড়ি দেখা যায়, কখন কোথায় দুর্বৃত্তরা হামলা চালায় কে জানে! দূরপাল্লার বাসগুলো গ্যারেজেই থাকে। গণপরিবহণ মালিকরা আর কত লোকসান গুনবে? ঝুঁকি নিয়ে কিছু গণপরিবহন চলতে দেখা যায়। একদিকে যাত্রীদের চাপ অন্যদিকে দুর্বৃত্তের ভয়, যদি ককটেল বা পেট্রোল বোমা মারে!

বিকেলের রোদ মিঠে হওয়ার আগেই ইমন বাসা থেকে বের হয়েছিল। বলেছিল, “শীলার সাথে দেখা করব, ফিরতে রাত হতে পারে, তুই খেয়ে নিস আমি বাইরে খাব।” বিকেলে তার টিউশনী থাকে। কোন কারণে বিকেলে সময় দিতে না পারলে রাত্রে সময় দেয়। খুব দেরী হলে হোটেল থেকে খেয়ে বাসায় ফেরে।

কাল বেশ রাত করেই বাসায় ফিরেছিল। ঘুমের ঘোরে তার বিধ্বস্ত চেহারা আমার নজরে পড়ে নি। এখন যে চেহারা দেখতে পাচ্ছি তাতে তার মনের অবস্থা বুঝতে পারছি না। সে যা বলে যাচ্ছে, তাতে আমি শুধু শিহরিত হচ্ছি না ভীতও হচ্ছি! স্তব্ধ হয়ে তার কথাগুলো শুনে যাচ্ছি, মনে হচ্ছে, আমার কোন ভাষা নেই, হ্যাঁ-না বলার শক্তিও নেই।

সে বলছে, সে ঠিক সময়েই পার্কে গিয়েছিল। অনেক্ষণ ধরে অপেক্ষার পরও শীলার কোন হদিস নেই। মোবাইলও বন্ধ। এক সময় বিরক্ত হয়ে সে পার্ক থেকে বের হয়ে গেল। ক্ষিধায় পেট চুঁ চঁন করছে। ভেবেছিল শীলা আসলে এক সাথে নাস্তা করবে। কিন্তু সে লাপাত্তা। ক্ষিধার চুটে হোটেলে খেতে ঢুকলেও মনের চুটে না খেয়ে বের হয়ে গেল। মেজাজটাই খারাপ! ফুটপাত ধরে হাটা শুরু করল সে। সিঙ্গার টিভি শো-রুমের সামনে লোকজনের ভীড় দেখে সে দাঁড়াল। স্বচ্ছ কাঁচের মধ্য দিয়ে ভেতরের টিভি পর্দায় চোখ সবার। সর্বশেষ সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। খবরে নতুনত্ব নেই। প্রতিদিন একই ঘটনাই ঘটে। হয়ত কোথাও দুর্বৃত্তরা রেল লাইন উপড়ে ফেলেছে, কোথাও পেট্রোল বোমা মেরে বাস জ্বালিয়ে দিয়েছে, কোথাও পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধ হয়েছে! এসব ঘটনা এখন স্বাভাবিক ও নিয়মিত। কিন্তু তখন টিভিতে যে চিত্রটা দেখানো হচ্ছিল, তা নিয়মিত হলেও স্বাভাবিক নয়! ইমন পাথরের মত জমে গিয়ে টিভি পর্দায় দেখছিল হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের চিত্র। সেখানে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকৃত মানুষের ভিড়ে একটি চেনা চেনা মুখ।

তৎক্ষণাত সে হাসপাতালে ছুটে গিয়ে বার্ন ইউনিটে ভীড় করল। হাসপাতাল জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে পোড়া রোগী। মেঝেতে তিল পরিমাণ জায়গা খালি নেই। ডাক্তার-নার্সদের ছুটাছুটি, রোগীর স্বজনদের আর্ত চিৎকার, বিকৃত অর্ধ-বিকৃত পোড়া রোগীর গোঙানো তাকে হাশর ময়দানের কথা স্মরণ করিয়ে দিল। পোড়া মাংসের গন্ধ আর রক্তের ছোপ দেখেও নিজেকে সামলাতে পারলেও শীলাকে দেখে পারে নি। শীলার ভয়ার্ত চোখ-মুখ দেখে সে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিল। শীলার মাকে ঘিরে ছিল তার স্বজনরা। তিনি মেয়ের জন্য আহাজারি করতে করতে ইতোমধ্যে কয়েকবার মূর্ছা গেছেন। শীলার বাবা চরম ধৈর্য্যশীল মানুষ। তিনি শুধু চুপচাপ বসেছিলেন আর মাঝে মাঝে চোখ মুছছিলেন।

ইমনের যখন জ্ঞান ফিরল, তখন বেশ রাত। ততক্ষণে হাসপাতালের চিত্র পাল্টে গেছে। রোগীর স্বজনদের ভীড় কমেছে। শীলাদের দেখা যাচ্ছে না। একটা নার্সকে ডেকে সে জিজ্ঞেস করল, কিন্তু কোন সদুত্তর পেল না। কেবিনগুলোতেও ঢুকে যাচাই করার অনুমতি না পেয়ে অগত্য হাসপাতাল ছেড়ে বের হল। হেলে দুলে কিছু দূর না যেতেই কেউ একজন তার কাঁধে হাত রাখল। সে প্রথমে ভয় পেয়েছিল। এত অল্পতে সে ভয় পাওয়ার লোক ছিল না। কিন্তু কেন যে ভয় পেল, সেও জানে না।

লোকটি শীলার বাবা। ইমনকে হতাশ হয়ে ফিরে যেতে দেখে তার হয়ত করুণা হয়েছিল। তিনি বললেন, একা যেতে পারবে তো? ইমন সে কথার জবাব দিল না। সে বলল, শীলা কোথায়? কেমন আছে সে? তিনি চোখ দু’টো বন্ধ করে কিছুক্ষণ পর বললেন, কিছু মনে কর না বাবা, শীলার মায়ের মেজাজে সমস্যা, তাই তোমাকে শীলার কাছে নিয়ে যাওয়া যাচ্ছে না। সে ভাবছে, এই দুর্ঘটনার জন্য তুমিই দায়ী। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সে তোমার সাথে দেখা করতে বাসে উঠেছিল। চৌরাস্তার মোড়ের কাছে দুর্বৃত্তদের ছোঁড়া পোট্রোল বোমায় বাসটি পুড়ে গেছে। অন্যান্য যাত্রীদের ন্যায় শীলাও পরিস্থিতির শিকার। আমি জানি, এতে তোমার কোন হাত নেই। কিন্তু মেয়ের কষ্টে মায়েরা কী ওসব বুঝে? তুমি বরং এখন বাসায় ফিরে যাও। শীলা এখন ইন্টেন্সিভ কেয়ারে। কিছুটা সুস্থ হলে সে তোমাকে খুঁজতে পারে। আমি খবর পাঠাব। তুমি চলে এস।

একজন ধৈর্য্যশীল বাবার সম্মুখে ইমনের নত মস্তক মাটি ছুঁতে চায়। কত ধৈর্য্যশীল হলে ভয়ংকর বিপদেও মানুষ মনোবল দৃঢ় রাখতে পারে? কত সাধনার পরে মানুষ চরম ধৈর্য্যশীল হতে পারে? কত সুখ বিসর্জন দিয়ে মানুষ সাধনা করতে পারে? কতটা অসহায় হলে মানুষ সুখ বিসর্জন দিতে পারে? শীলার বাবারও তাহলে অসহায়ত্ব আছে? ওসব ভাবতে ভাবতে সে বাসার দিকে পা-বাড়ায়।

রাতের কোন সময়ে বাসায় ফিরেছিল তা ঘুমের ঘোরে খেয়াল করতে পারি নি। দরজায় কড়া নাড়া শুনে ঘুম ভেঙেছিল। বিছানা থেকে উঠে দরজা খুলে দিয়ে সোজা বিছানায় চলে গেলাম। সকালে জেগে দেখি, সে মরার মত পড়ে আছে। বিকেল না হতেই গায়ে জ্বর। সারাদিনে এইমাত্র দুধ-রুটি খাওয়ালাম তাকে। ইচ্ছে করছে একবার হাসপাতালে গিয়ে খোঁজ নিয়ে আসি, শীলা কেমন আছে। ইমন বলল, তোর যাওয়ার দরকার নেই। রাতের বেলায় রাস্তা-ঘাট নিরাপদ নয়। পুলিশগুলোও পাগলা কুত্তা। নিরীহ মানুষ গ্রেফতার করে টাকা খাওয়ার জন্য।

আমি আর কথা বাড়ালাম না। কিন্তু যখন সে বাইরে যাচ্ছে মনে হল, তখন প্রশ্ন না করে পারলাম না। “যাচ্ছিস কই?” সে বলল, হাসপাতালে। আমি বের হলে রাস্তাঘাট অনিরাপদ, তুই হলে কি নিরাপদ? “মন মানছে না রে!” -সে উত্তর দিল। আমি তার পথ আটকে বললাম, তোর যাওয়া উচিত হবে না। শীলার বাবা কী বলেছিল মনে নেই? যদি অবস্থা ভাল হয়, তুই তো খবর পাবি! খারাপ হলে, ঠিক থাকতে পারবি? খামাখা ঝামেলা বাড়ানোর কোন প্রয়োজন আছে?

অনেকটা জোর করে তাকে খাটে বসিয়ে দিলাম। মনে হচ্ছে না তার মত পাল্টেছে। তার অস্থির চেহারা আমাকে বিভ্রান্ত করে বারবার। আমাকে ফাঁকি দিয়ে সে বের হয়ে যায় কিনা কে জানে! মানসিক চাপ আর অসুস্থ শরীর নিয়ে এত রাতে একা বের হয়ে কী অঘটন ঘটায় তার কোন নিশ্চয়তা আছে? যতক্ষণ জাগ্রত থাকব, ততক্ষণ তাকে নিয়ে দুশ্চিতার কারণ নেই, যে করেই হোক তাকে আটকাব। দরজার ছিটকানি ঠিকমতো আটকানো কিনা আরেক বার দেখা দরকার!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
নাসরিন চৌধুরী সমসাময়িক একটি লেখা লিখেছেন। ভাল লিখেছেন কিন্তু পড়তে গিয়ে মনটা বার বার খারাপ হচ্ছিল। এমন জঘন্য ঘটনাগুলো কিন্তু আমাদের জন্য একটা গল্প ছিলনা ছিল এক নির্মম বাস্তব । শুভকামনা ও ভোট রেখে গেলাম
আলী হোসাইন গল্প বলার অভিনব নিজস্ব ধরণ। আমি বেশ মোহিত।
রবিউল ই রুবেন সমসাময়িক বাস্তবতার গল্প। বেশ ভাল লাগল।
ফরহাদ সিকদার সুজন ভালো লাগলো ভাই চালিয়ে যান........ ভোট রইল। আমার পাতায় আমন্ত্রণ রইলো ভাই।
এমএআর শায়েল কিছু বানান, অনিচ্ছাকৃত ছুটে গেছে। একটু খেয়াল রাখবেন। সব মিলিয়ে ভাল হয়ে...ভাল হয়েছে। আরো ভাল কিছু আশা করছি। (হ্যাপীর মত স্বপ্ন বিলাসী মেয়েকে মনে রাখার চেয়ে ভুলে থাকাই ভাল। ভুলে থাকার অনেক সুবিধা আছে....(আমার লেখা গল্প-সে কেন এমন করল, পড়ার অনুরোধ করে গঠনমূলক মন্তব্য আশা করছি। আশা করি পাশে থাকবেন। সে কেন এমন করল পড়ার আমন্ত্রন রইল
মোহাম্মদ ওয়াহিদ হুসাইন আর কতদিন? আর কতদিন? ...। শুভেচ্ছা রিল।ভোট দিলাম।
ফারুক নুর ভালো লিখেছেন । ভয়ের চমৎকার উপস্থাপনা !
আখতারুজ্জামান সোহাগ বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘ভয়’ বিষয়ের উপর এর চেয়ে ভালো গল্প আর হয় না। শীলার পরিণতির কথা ভেবে মনটা ভীষণ খারাপ হলো। সত্যি তাদের কোন দোষ ছিল না যারা গত তিনমাসে এ ধরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। কিন্তু তারপরও তারা শিকার হয়েছেন, একশ’ এরও বেশি মানুষ পরপারে পাড়ি দিয়েছেন। সেই পরিবারগুলোর কথা মনে পড়লে সত্যি কান্না আসে।
Eshob ghotona to protijugitar porjaye chole giyrechhilo

১৫ জানুয়ারী - ২০১৪ গল্প/কবিতা: ৫ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

বিজ্ঞপ্তি

“এপ্রিল ২০২৪” সংখ্যার জন্য গল্প/কবিতা প্রদানের সময় শেষ। আপনাদের পাঠানো গল্প/কবিতা গুলো রিভিউ হচ্ছে। ১ এপ্রিল, ২০২৪ থেকে গল্প/কবিতা গুলো ভোটের জন্য উন্মুক্ত করা হবে এবং আগামি সংখ্যার বিষয় জানিয়ে দেয়া হবে।

প্রতিযোগিতার নিয়মাবলী