মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শিল্প সাহিত্য : আ হ ম দ বা সি র

সালেহ মাহমুদ
২৩ মার্চ,২০১২

আমার খুব ভালো লেগেছে বলেই লেখাটি হুবহু এখানে কপি-পেস্ট করলাম।

 

মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে শিল্প সাহিত্য

আ হ ম দ বা সি র
স্বাধীন বাংলাদেশ একচল্লিশ বছর বয়স অতিক্রম করছে। একচল্লিশ পরিণত বয়স। ১৯৭১ সালের ৯ মাসের যুদ্ধ এবং এ যুদ্ধের পূর্বাপর প্রেক্ষাপট নিয়ে এদেশের সাহিত্য-শিল্পের জগতে প্রচুর কাজ হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট সাহিত্য-শিল্পের এখন তো ছড়াছড়ি। বিগত চার দশকের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সৃজনশীলতা নিয়ে আজও কোনো নির্মোহ গবেষণা ও গুরুতর আলোচনার অবতারণা তেমন কেউ করেননি। ফলে আজও চিহ্নিত হয়নি মুক্তিযুদ্ধের ‘মাস্টার পিস’ কী কাব্যে, কী গল্পে, কী উপন্যাসে, কী নাটকে, কী চিত্রকলায়, কী সঙ্গীতে, কী চলচ্চিত্রে অথবা অন্যবিধ ক্ষেত্রে কোনগুলো।
কবিতা, গল্প, উপন্যাস, নাটক, চিত্রকলা, চলচ্চিত্র কিংবা সঙ্গীতের মতো ক্ষেত্রগুলোতে গত চার দশক ধরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কাজ হচ্ছে; কিন্তু কাজের কাজ কতটা হয়েছে বা হচ্ছে, সে পরিসংখ্যান কিংবা বিচার-বিশ্লেষণ তেমন গভীরভাবে হয়নি। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযুদ্ধ ও এর পূর্বাপর প্রেক্ষাপট নিয়ে আমরা ততটা কখনোই ভাবি না, যতটা ভাবি তথাকথিত ‘মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ ও বিপক্ষ শক্তি’ নিয়ে। ফলে আমাদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সৃজনশীলতাও এই পক্ষ-বিপক্ষ ধারণায় আবর্তিত। প্রতিষ্ঠিত ধারণাগুলোর মধ্যে নিমজ্জিত হয়ে পড়া সব কালে সব দেশেই মহত্তর সৃষ্টিশীলতার অন্তরায়। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বর্তমানে ভূরি ভূরি বই প্রকাশিত হতে দেখছি আমরা। বাজার থেকে এরকম দশটি বই তুলে নিয়ে পাঠ করলে দেখা যাবে, ইতিহাস ও বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে একরৈখিকভাবে আরোপ করা হচ্ছে লেখকের অন্তরে প্রতিষ্ঠিত কোনো ধারণা। এসব বইতে অধিকাংশ সময়ই থাকছে না গবেষণার তাগিদ, বাস্তব পরিস্থিতি অনুধাবনের প্রচেষ্টা। ফলে আমাদের অনেক লেখকের হাত দিয়ে এমন সব সাহিত্য তৈরি হচ্ছে যেগুলো না বাস্তব, না পরাবাস্তব, না অধিবাস্তব—কেবল অবাস্তব বলেই এগুলোকে শনাক্ত করা যায়।
বাংলা একাডেমীর তরুণ লেখক প্রকল্প থেকে প্রকাশিত একটি বইতে লেখক মন্তব্য করেছেন—‘পাক আর্মি এদেশের কোনো নারীকে যতটা নির্যাতন করেছে, এদেশের কোনো কোনো লেখক তার কলমের ডগা দিয়ে ওই নারীকে তার চেয়ে অনেক বেশি নির্যাতন করেছে।’ কথাটি হুবহু এরকম না হলেও বক্তব্য এমনই। ওই তরুণ লেখক অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে দেখেছেন, মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে ন্যূনতম অভিজ্ঞতা নেই, মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশেই ছিলেন না, কোনোভাবে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্তও ছিলেন না—এমন অনেক লেখক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গল্প-উপন্যাস লিখতে গিয়ে এসব কাণ্ড করেছেন। কোনো জাতির মুক্তিযুদ্ধের মতো এমন মহত্তর অর্জন নিয়ে যদি এমন দায়-দায়িত্বহীন সাহিত্য সৃষ্টি হয়, তাহলে ওই জাতি তার সেই মহত্তর অর্জন বেশি দিন ধরে রাখতে পারে না। এ সত্য অনুধাবন করা থেকেও আমরা এখন বহুদূরে অবস্থান করছি। ফলে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সৃজনশীলতা বহু ক্ষেত্রেই তাত্পর্যহীন হয়ে পড়ছে, ঘুরেফিরে একই বিষয় ও বক্তব্যের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। 
স্বাধীনতার চার দশকের মাথায় মুক্তিযুদ্ধকে আমরা দেখতে পাচ্ছি বাণিজ্য ও নোংরা রাজনীতির উপাদান হিসেবে। একদিকে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসার প্রয়োজনে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করছে, অন্যদিকে শিল্পী-সাহিত্যিকদেরও দেখা যাচ্ছে শিল্পীর স্বাধীন সত্তাকে জলাঞ্জলি দিয়ে অর্থ ও রাজনীতির দিকটি মাথায় রেখে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক শিল্প-সাহিত্য সৃষ্টি করতে। ফলে যে মুক্তিযুদ্ধ ছিল আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক, সে মুক্তিযুদ্ধ এখন জাতি বিভাজনের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে।
মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্র—মাধ্যম তিনটি নিয়ে একটি সাধারণ সমীক্ষা চালানো যেতে পারে এ লেখায়। বর্তমান সরকারের (মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি দাবিদার) অনুদান নিয়ে গেল বছর নির্মিত হয়েছে ‘নিষিদ্ধ লোবান’ উপন্যাস অবলম্বনে ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রটি। এ উপন্যাসটি লিখেছেন কবি ও কথাশিল্পী সৈয়দ শামসুল হক। সৈয়দ হক এমন একজন লেখক যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের পুরো সময়টা কাটিয়েছেন প্রবাসেই। মুক্তিযুদ্ধের কোনো রকম অভিজ্ঞতা ছাড়াই লিখেছেন—নীলদংশন ও নিষিদ্ধ লোবান-এর মতো উপন্যাস। সৈয়দ শামসুল হক হচ্ছেন সে ধরনের একজন লেখক যারা কখনও শিল্পীর সামাজিক দায় স্বীকার করেন না। এ প্রসঙ্গে একজন লেখক লিখেছেন—‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার-এর অনুকরণে খেলারাম খেলে যা-এর মতো উপন্যাস আর বাবর আলীর মতো চরিত্র সৃষ্টি করে এদেশের নন্দন সাহিত্যের আকাশ প্রথম কলুষিত করেও ক্ষান্ত হননি সৈয়দ হক, বইয়ের কাটতি ধরে রাখতে একের পর এক লিখে গেছেন—এক আশ্চর্য সঙ্গমের স্মৃতি, বার দিনের শিশুর মতো রগরগে উপন্যাস এবং তরুণ প্রজন্মের শ্রেষ্ঠ সম্পদ চরিত্র হননে তার অবদান এখনও প্রবল প্রতাপে স্মর্তব্য!’ এমন একজন লেখক হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধিস্থানীয় লেখক।
অন্যদিকে, প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা কবি ও কথাশিল্পী আল মাহমুদ তার প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতায় জারিত হয়ে লিখেছেন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস—‘কাবিলের বোন’ ও ‘উপমহাদেশ’। কিন্তু প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা জারিত এসব উপন্যাস নিয়ে নাটক-সিনেমা তৈরির জন্য কোনো সরকারই অনুদান দেয়নি। মুক্তিযুদ্ধের বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে উত্সারিত আল মাহমুদের এ দু’টি উপন্যাস বহুল আলোচিত, পঠিত ও নন্দিত হওয়ার পরও এগুলোর মর্যাদা এখনও চিহ্নিত হয়নি।
এই বিপরীতমুখী প্রেক্ষাপট আমাদের অনুধাবন করতে সাহায্য করে মুক্তিযুদ্ধের সাহিত্য কতটা নোংরা রাজনীতির উপাদানে পর্যবসিত হয়েছে। একজন সংশ্লিষ্ট বিষয়ে অনভিজ্ঞ ও দায়িত্বহীন লেখক মুক্তিযুদ্ধের প্রতিনিধিত্ব করেন; অন্যজন প্রত্যক্ষ মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পরও তার সৃষ্টিকর্মকে অস্বীকার করা হয়। মনে পড়ে, ১৯৯৪ সালে আল মাহমুদের ‘কাবিলের বোন’ উপন্যাস প্রকাশ করার কারণে বাংলা একাডেমীর একুশে বইমেলায় বাংলা সাহিত্য পরিষদের স্টলে ভাংচুর করা হয় এবং বইতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। মূলত মুক্তিযুদ্ধের ‘ইজারাদার’ গোষ্ঠী এ ঘটনা ঘটিয়েছে। মুক্তিযুদ্ধকে গণবিচ্ছিন্ন করে গোষ্ঠীবদ্ধ করার মানসেই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছিল। 
মুক্তিযুদ্ধের নাটকের দিকে তাকালেও আমরা একই রকম অভিজ্ঞতা অর্জন করি। হামেশাই দেখা যায়, ‘মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি’র নামে এদেশের আলেম-ওলামা ও দীনদার মানুষদের চরিত্র বিকৃত করে উপস্থাপন করা হচ্ছে। অথচ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী—যাদের সংস্কৃতিতে আলেম-ওলামা ও দীনদার ব্যক্তিরা হচ্ছেন সমাজের সম্মানিত মানুষ। এদেশের মুসলিম জনগোষ্ঠী লড়াই করেছে ইসলামের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি রাষ্ট্রের একাংশের জনগোষ্ঠীর ওপর অপরাংশের বৈষম্য, শোষণ ও অপমানজনক আচরণের বিরুদ্ধে। তারা কখনোই তাদের ধর্মীয় চেতনার বিরুদ্ধে লড়েনি, লড়েছে অন্যায়ের বিরুদ্ধে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক অধিকাংশ নাটকেই ধর্মীয় চেতনাকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী চেতনা বলে চালিয়ে দেয়া হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক তার নাট্যদল নাগরিক নাট্যাঙ্গনের অন্যতম প্রযোজনা ‘সেইসব দিনগুলি’ নাটক প্রসঙ্গে সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বক্তব্যে বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে সবাই অংশ নেয়নি। দেখা গেছে একটি পরিবারের একজন সদস্য মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছে, বাকিরা করেনি। যারা অংশগ্রহণ করেনি, তারা একেকজন একেক কারণে করেনি। কেউ দ্বিধান্বিত ছিল, কারও মধ্যে ধর্মীয় ও ভ্রাতৃত্বের চেতনা কাজ করেছিল, কেউ কেউ ভয়ের মধ্যে ছিল—কেননা তখনও সমাজের প্রতিনিধিদের বেশিরভাগই ছিল সরকারের পক্ষে। এ অবস্থায়ও যারা নানারকম ঝুঁকি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছেন, তারা নিশ্চয়ই অন্যদের তুলনায় মহত্। এরকম একটি পারিবারিক কাহিনী নিয়েই প্রতীকীভাবে ‘সেইসব দিনগুলি’ নাটকের মঞ্চায়ন হচ্ছে।’ এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এ নাটকের কাহিনী উঠে এসেছে।’
ড. ইনামুল হক বাস্তবতাকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু অধিকাংশ মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক নাটকই একরৈখিকভাবে ঘৃণা সৃষ্টির কাজে ব্যস্ত। বেশিরভাগ নাটকেই অত্যন্ত উগ্রভাবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ-বিপক্ষ শক্তিকে তুলে ধরা হয় এবং এক্ষেত্রে নাট্যকার ও পরিচালকের মধ্যে ইতিহাস ও শিল্পবোধ নয় বরং সক্রিয় থাকে বিভাজননীতি। ফলে নাটকেও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত প্রেক্ষাপট হামেশাই দেখতে পাওয়া যায় না। চলচ্চিত্রে এ বিষয়টি আরও গুরুত্ববহ। ২৬ মার্চ ২০১০ সালে এদেশে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সর্বাধিক ও শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা চাষী নজরুল ইসলাম ‘নতুন প্রজন্মের হাতেই নির্মিত হবে মুক্তিযুদ্ধের মহত্ চলচ্চিত্র’ শিরোনামে সংবাদপত্রে প্রকাশিত এক রচনায় অকপটে স্বাীকার করেন, ‘গভীর অভিনিবেশে আমরা যদি পর্যবেক্ষণ করি তাহলে দেখব যে, আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধ এই শিল্প মাধ্যমটিতে তেমন সাফল্যের সঙ্গে উঠে আসেনি। অর্থাত্ মুক্তিযুদ্ধের খুঁটিনাটি দিক, রক্তাক্ত সেই সংগ্রামের শিল্প চলচ্চিত্রে পুরোপুরি প্রতিফলিত হয়নি। সঙ্গত কারণেই প্রশ্ন উঠবে, কেন এমনটা ঘটল? সমাজের সব ক্ষেত্রে অবক্ষয় দেখছি আমরা, ঘুণে ধরে গেছে সবকিছুতে। চলচ্চিত্র অঙ্গনের আমরা যারা অধিবাসী, তারাও এর বাইরে নই। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যেসব চলচ্চিত্র এ পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে, তার মধ্যে সঠিক ইতিহাস বিধৃত হয়নি। অবশ্য ইতিহাস তুলে ধরার মতো সময় এখনও আসেনি। আমি তাই মনে করি। এটাও ঠিক, স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে যতগুলো ছবি হয়েছে, তার সংখ্যা ও প্রকাশনার তুলনায় বেশ কমই। আরও আরও ছবি হওয়া বাঞ্ছনীয় ছিল। সেটাও হতাশার চিত্রই এক অর্থে। প্রকৃত ইতিহাসের কথা বলছিলাম। দেশকে আমরা এখন দু’টি অংশে বিভক্ত দেখতে পাচ্ছি। এখনকার সময় পরিসরে তাই একাত্তরের গৌরবময় অধ্যায়ের ইতিহাস তুলে ধরতে গেলে সেই বক্তব্য নিয়ে অবধারিতভাবেই বিতর্ক হবে। সেসব বিতর্ক বা ঝামেলা এড়ানোর জন্যই অনেকে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বর্ণনা, চলচ্চিত্রে তার শিল্পরূপায়ণের প্রচেষ্টা গ্রহণের ব্যাপারে নীরব রয়েছেন। নানাবিধ করণে আমাদের চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ প্রতিফলন আমরা দেখতে পাচ্ছি না।’ চাষী নজরুল ইসলাম ওই লেখায় বলেছেন, ‘এই ক্রান্তিকাল পেরোতে আরও অন্তত ৫০ বছর সময় লেগে যাবে।’
চাষীর এই বক্তব্য প্রকাশের সময়ই একজন চলচ্চিত্র সাংবাদিক লিখেছেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি : ঘুরে ফিরে একই বিষয়’। তার লেখাটি শুরু হয়েছে এভাবে—‘মুক্তিযুদ্ধের ছবি মানেই কি কেবল রাজাকার, হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, ধর্ষণ, নির্যাতন আর যুদ্ধের দৃশ্য? এর বাইরে কি মুক্তিযুদ্ধের আর কোনো প্রেক্ষাপট নেই?’ চাষী নজরুল ইসলাম ও সেই চলচ্চিত্র সাংবাদিকের বক্তব্যের মধ্যে একটি ঐক্য খুঁজে পাওয়া যায়। অর্থাত্ চলচ্চিত্রও সেই সীমায়তনের মধ্যে বন্দি। এখানে সত্যকে স্বীকার করা হবে না। তথাকথিত চেতনার প্রয়োজনে সত্যকে অবধারিতভাবে অস্বীকার করা হবে কিংবা উহ্য রাখা হবে। 
এই হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের উপন্যাস, নাটক ও চলচ্চিত্রের বাস্তবতা। এই বাস্তবতা থেকে উত্তরণ এখন কি শুধুই সময়ের ব্যাপার। চাষী নজরুল ৫০ বছর সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। এর আগে কি আমাদের উত্তরণ ঘটবে না।
লেখক, কবি, সাহিত্যিক, শিল্পী, নির্মাতারাও যদি অপেক্ষাকেই উত্তম মনে করেন তবে নিশ্চয়ই তাদের অপেক্ষাই করতে হবে। কিন্তু সমাজের এই মেরুদণ্ডময় বিশেষণসিক্ত ব্যক্তিরা যদি এখনই কাজ শুরু করেন, তাহলে মনে হয় এত দীর্ঘ সময় আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। হ
basirahmad001@gmail.com

http://www.amardeshonline.com/pages/details/2012/03/16/136288#.T2yh1ub8drw.facebook

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মৃন্ময় মিজান আহমাদ বাসিরদের এই আক্ষেপ মেটাতেই হয়তো মেহেরজানের মত মাস্টারপিস তৈরী হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে। খাদেমের হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইজারা চলে যাবে লুঠেরার হাতে। কিন্তু এইটা নিশ্চিত ধর্ম নিয়ে যেমন ব্যবসা বন্ধ হয়নি মুক্তিযুদ্ধ নিয়েও ব্যবসা এবং রাজনীতি বন্ধ হবেনা।.....
Lutful Bari Panna মুক্তিযুদ্ধের মত সার্বজনীন একটা বিষয় নিয়ে এত বিভেদ সত্যি কষ্ট দেয়। যে দেশের আটানব্বই ভাগ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সমর্থক ছিল সেদেশে কিভাবে এত বিপূল সংখ্যক মানুষ মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি হয়ে যায় এটা মাঝে মাঝে ভাবায়। ভাবায় আমাদের স্বার্থলোভী চক্রের ইমেজ বিক্রি করে রাজনীতি করার মানসিকতা। দুই মহান নেতাকে তাদের যার যার অবস্থানে রেখে আমরা কি দেশের পরিস্থিতি বদলানোর মানসিকতায় পরিকল্পনা আর বাস্তবায়নভিত্তিক রাজনীতি করতে পারি না? না সেটা আমাদের ব্যক্তিস্বার্থের পক্ষে খুব বেশী ক্ষতিকর হয়ে যায়?
সাইফুল করীম লেখাটি বাস্তবতার নিরিখে খুবই সুন্দর একথা বলাই বাহুল্য। কিন্তু সমস্যার উত্তরণে কি করনীয় তাই ভাবা দরকার আমাদের। ব্যবসা আর রাজনীতি করছি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে- এর চেয়ে বেশি মানসিক দৈন্যতা, নীচু মানসিকতা আর কী হতে পারে? এমন পরিস্থিতির জন্য আমরাই দায়ী। প্রসংগক্রমে মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের বিশেষ কোটা্র কথা বলা যায়। তাদের সুযোগ দেয়া হবে চাকরিতে ভালো কথা......কিন্তু কেন শিক্ষা জীবনে বিনামূল্যে পড়ার সুযোগ সরকার করে দেয় না? এক জন মন্ত্রণালয় তৈরি করে অপরজন নাতি-পুতিদের ও চাকরি দেয়......এই ত হল এখন মুক্তিযুদ্ধের টাইপড চেতনা আমাদের.........

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

অক্টোবর ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i