এটা অন্য একটা সাইট থেকে আমদানী করা। নানান বিষয় নিয়ে সেখানে ছড়ায় ছড়ায় তর্ক হত। আপনারা জানেন লিমেরিক নামে ছড়ার পাঁচ লাইনের একটা ফর্ম্যাট আছে। এটা সেই লিমেরিক বিভাগের। সবচেয়ে বেশী মজা হত এই লিমেরিক বিভাগেই। লিমেরিক বিভাগের পত্তনকারী অদিতি। দুর্দান্ত ছন্দের হাত। ধীরে ধীরে তাঁর ও অন্যদের ছড়াগুলোও নিয়ে আসা হবে। সেগুলো সত্যি গুণে মানে অতুলনীয়। শুরুতে আমার দুর্বলগুলোই নিয়ে আসলাম। এই ছড়াটা আমিই শুরু করেছিলাম। যোগ দিয়েছিল অদিতি ও শুভ্র। যদিও বেশীক্ষণ চলেনি। ওখানে একেকটা ছড়ার লড়াই জমিয়ে চলত অনেকদিন ধরে। সে হিসেবে এটা খুবই নগণ্য। দুই তিন এপিসোডেই শেষ।
তবে এই বিভাগের শুরুতে কভারপেজে দেয়া পত্তনকারী অদিতির লিমেরিকটি দিয়েই লেখাটার শুরু করি।
এই টোলাটির নামের ওপর এমন টিকিট সাঁটানো
যত্ত খুশি গোঁত্তা মারো, যেমন খুশি পা টানো
গুঁড়ো হাসির বেলুন ছুঁড়ে
সদস্যরা যাবেন উড়ে
উদ্দেশ্য : সবাই মিলে খুশির প্রহর কাটানো...
বুঝতেই পারছেন- সবাই মিলে খুশীর প্রহর কাটানোর জন্যই নানান তর্কে লিপ্ত হতাম আমরা। ব্যাপক লেগ পুলিং চলত। সেগুলো ক্রমে ক্রমে আসবে। তবে আমার প্রেমের গল্প নামের এই লিমেরিক বা যুদ্ধটির সাথে যদি কেউ লিমেরিকসহ যোগ দিতে চান তিনি কমেন্টের ঘরে লিমেরিক পেশ করতে পারেন। আমি মূল পোষ্টে লেখকের নামসহ যোগ করে নেব।
প্রেমের গল্প...
আমিঃ
বেপাড়ার হুলো এপাড়ায় এসে মেনিটাকে ফুসলাচ্ছে
দেখে তাই রেগে কাই হয়ে সব মার্জার তড়পাচ্ছে
বুঝে শুনে হুলো, বলে মেনি শোন
তোমার দাদারা শেখেনি এখনো
জামাই আদর- দেখলেই রোজ আচানক তেড়ে আসছে
অদিতিঃ
মেনি তখন সলাজনয়ন পাকায় লেজের বেণী,
'রাগ কোরোনা, হাঁ করো, খাও গরম লেডিকেনি...'
'দাদা মার্জার, ভাই মার্জার
যাও গো তোমরা বাড়ি যার যার,
সুপাত্র হুলো, যেমন স্বাস্থ্য, ঠিক ততটাই ব্রেইনি...'
আমিঃ
সমস্যাতে জট লেগে গেল, মেনির প্রেমিককূলও
মেনির কথাটা শুনেই বাঁধালো ভিষণ হুলস্থুল, ও
খামচিগুলোকে শানালো তাহারা
পাড়াতে বসাল নিবিড় পাহারা
কত মাছে কত কাঁটাঁ আজকে বুঝবে বেচারা হুলো
শুভ্রঃ
প্রেমের পথে হাজার কাঁটা , জানতো সেটা হুলো --
গোপন ডেরায় ভাঁজত সে তাই - ক্যারাটের প্যাঁচগুলো।
সকাল বিকেল "ঈলিশ- ভাত"
"লড়কে লেঙ্গে মেনির হাত"--
চলল হুলো হৃদয়ে ভরে বারুদ কয়েক কিলো।
অদিতিঃ
সাব্বাস!!
শুভ্র এবং হুলো, দুজনকেই...
আমিঃ
ঘোর দুপুরে বোস বাবুদের রান্না ঘরে
ঢুকল হুলো সবার চোখের অগোচরে
অভিসারে জুড়ল মেনি
পেচিয়ে সলাজ লেজের বেনী
জুড়ল আলাপ ঠান্ডা এবং মন্দ্র স্বরে
পুষির ছিল মাছের উপর ভোর থেকে তাক
অপারেশন করতে গিয়েই ভিষণ অবাক
এ যে দেখি সেই হুলোটাই
মেনির সাথে জোর আশনাই
এই ঘটনা!- আচ্ছা তবে পেটাচ্ছি ঢাক
যেইনা ভাবা- ছুটল এবং ডাকল যত
সব দাদাদের- করল নাতো ইতস্তত
শুনেই সবার যুদ্ধবেশ
আজকে হুলো তোমার শেষ
দেখবো তোমার প্রেমের আছে টান সে কত?
অদিতিঃ
'অকারণ এই যুদ্ধ শালারা, মেনি যে আমার স্ত্রী...
ইলিশ মৎস্য সাক্ষী রাখিয়া, বিয়ে তাকে করেছি।
বিড়াল উলটে হয় যে ল-ড়া-বি,
উল্টোবি তোরা, আমাকে লড়াবি?
তোমাদেরই বোন হইবে বিধবা, যদি আমি মরেছি...'
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।