করোনা বেত্তান্ত

Jamal Uddin Ahmed
০৮ এপ্রিল,২০২০
লক্ষ করেছেন দাপট? এক ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অণুজীবের? ওর বিষয় নিয়ে লেখালেখি এবং দেখাদেখিতে অন্তর্জাল রীতিমত মেদবহুল হয়ে পড়েছে। পাঠক-দর্শক সংখ্যাও মাশাল্লাহ্‌ অগণন। প্রেম-বিনোদন-জ্ঞান-এমনি এমনি অঙ্গনের পাবলিক এমন কি অন-লাইনের ব্যবসায়ীমহলও এখন প্রোজ্জ্বল আলোক সম্পাত করে হা করে তাকিয়ে আছে একটি জিনিসের উপর: করোনা ভাইরাস - কোভিড-১৯, এক মূর্তিমান আজরাইল, সশরীরি যম - দুয়ারে খাড়াইয়া মানে উবাইয়া অর্থাৎ দাঁড়িয়ে আছে। এ বিষয়ে এত কথা বলা হয়েছে, এত জ্ঞান বিতরণ করা হয়েছে যে ইতিমধ্যে আমরা অর্থাৎ ঝাঁকের কই - আম পাবলিকরা, বিজ্ঞ মহলের জ্ঞানের পেষণে আমদের বোধের নেটওয়ার্কের তারগুলোয় জট পাকিয়ে ফেলেছি। এখন বুঝতে পারছি না যে কী দিয়ে শুরু করব। বাবা রামদেবের কথায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ভেবেছিলাম গোগু এবং গোমূত্র দিয়েই আরম্ভ করব, কিন্তু তার আগেই বাবাকে হাসপাতালের মেঝেয় পড়ে থাকতে দেখলাম, তা-ও দু'সপ্তাহ আগে - ইতিমধ্যে পটল তুলে ফেলেছেন কিনা জানিনা (কারণ মিডিয়া তেনাদের ব্যাপারে কথা বলতে খুবই সচেতন - এ তো আর নিজামুদ্দীন, সাদ কান্দল্ভী আর তবলীগ না)। কিন্তু জট খোলার আয়োজন করতে করতেই আমরা করোনার ছোবলের তৃতীয় মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছি। এখন এটা ব্যক্তি থেকে সামাজিক সংক্রমণের পর্যায়ে চলে গেছে - কেউ জানে না কে ভাইরাস বহন করছে। অতএব, এটা এখন পাড়ার মোড়ের হাস্যরসে কিংবা ফেসবুকের ট্রলে বসে নেই। আপাতদৃষ্টে করোনা-সংক্রান্ত জ্ঞানের সূত্র পাঁচটি: ১. মরিয়া হয়ে লড়াকু বিশ্ববিজ্ঞানীগণ, ২. জানবাজ চিকিৎসকমণ্ডলী, ৩. যুদ্ধজেতা ভুক্তভোগী এবং তাদের পর্যবেক্ষকগণ, ৪. দৃঢ়বিশ্বাসী বিভিন্ন ধর্মের পুরোহিতবর্গ এবং ৫. প্রশাসনিক পরিসংখ্যান এবং রাজনৈতিক প্রলাপ। বিশ্ববিজ্ঞানীগণ বহুমাত্রিক গবেষণায় গলদঘর্ম - ভাইরাসের নাড়িনক্ষত্রের সুলুকসন্ধান থেকে শুরু করে প্রতিষেধক আবিষ্কারের জন্য উন্নত বিশ্বের তাবড় তাবড় ল্যাবগুলো সরগরম। হঠাৎ করে কেউ কেউ আশার বাণী শোনায়: ওষুধ আবিষ্কার হয়ে গেল বলে। তবে আমরা জানি, ওষুধ বলুন আর প্রতিষেধকই বলুন সে অনেক দূরের ব্যাপার। এই আবিষ্কারের প্রচেষ্টা ছাড়াও কোভিড-১৯ ভাইরাসের ধরন, শক্তি, গতিবিধি সম্বন্ধেও নতুন নতুন তত্ত্ব ও তথ্য বিজ্ঞানী-গবেষকরা অনবরত দিয়ে যাচ্ছেন যা মহামারির বিস্তার ঠেকানোর জন্য কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়। আমরা শ্রদ্ধা ও বিস্ময়ের সাথে লক্ষ করছি পেশার প্রতি দায়িত্বশীল কিছু চিকিৎসক (উন্নত বিশ্বে প্রায় সকল চিকিৎসক) নিজের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে অন্যদের বাঁচানোর জন্য ক্লান্তিহীন লড়ে যাচ্ছেন। তারা তাদের প্রচেষ্টার কথা, অভিজ্ঞতার কথা এবং সাবধানতার কথা বিভিন্ন গণ- এবং সামাজিক মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে যাচ্ছেন। দুঃখজনক সত্য হল এই যে শত্রুর সাথে লড়তে লড়তে একসময় তাদের অনেকেই মৃতের সারিতে যোগ দিচ্ছেন। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, উন্নত দেশগুলোতে যাদের চিকিৎসা-সেবা পাওয়ার সৌভাগ্য হয়েছে তাদের অনেকেই বিশেষ করে জটিলতাবিহীন রুগি রোগভোগের পরও সুস্থ হয়ে উঠেছেন। তাদের অনেকেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসে তাদের অভিজ্ঞতা ও ভরসার কথা আমাদের জানিয়েছেন। তাদের কথা শুনে আমরা নড়েচড়ে বসলেও পরক্ষণে আমাদের নিজস্ব বাস্তবতার দিকে তাকাতেই গা হিম হয়ে যায়। আমরা প্রায় প্রতিদিন শুনতে ও দেখতে পাচ্ছি আশংকানুযায়ী আক্রমণ ও মরণের সংখ্যা (কর্তৃপক্ষীয় সংখ্যার সাথে দশ গুণ করলে নাকি মোটামুটি প্রকৃত সংখ্যার কাছাকাছি একটা সংখ্যা পাওয়া যায়) ক্রমশই বেড়ে চলেছে। ডাক্তার ও হাসপাতালের নাগাল না পেয়ে কয়েকদিন ছোটাছুটি করে বেশ কিছু রুগি যে অক্কা পেয়েছেন সেসব খবরও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দেশের প্রায় সবাই জানেন। এই অবধারিত অচিকিৎসাজনিত মৃত্যুর কবল থেকে বাঁচার জন্য ঘরে বসে বসে প্রায় সবাই অনবরত দোয়া-দরুদ পড়ছেন এবং গরম জল, লেবুর রস, কালোজিরার তেল ইত্যাদি খেয়ে চলেছেন। অনিশ্চিত ও অনুপস্থিত চিকিৎসা ব্যবস্থায় মানুষের বিকল্প পদ্ধতিতে ভরসা করা ছাড়া গত্যন্তর নেই। আমরা ধর্মবিশ্বাসীরা সাধ্যমত অনেক দোয়া-কালাম শিখে জপ করেই চলেছি। যে যা খেতে বলছে তা খাওয়ার চেষ্টা করছি। এবং সৃষ্টিকর্তার উপর আমাদের বিশ্বাস ও ভরসাও ইতিমধ্যে বহুগুণ বেড়েছে। আমরা মনে করি এদেশের হতভাগাদের প্রতি আল্লাহ্‌ নিশ্চয়ই দয়াপরবশ হবেন। কিন্তু হতাশ হয়ে যাই যখন দেখি কিছু বোধরহিত এবং জ্ঞানবিবর্জিত আবেগি মৌলবি এবং তাদের দ্বারা প্রভাবিত সাধারণ ধার্মিক মানুষ সাবধানতা ও সুরক্ষার ধার না ধেরে এবং কর্তৃপক্ষীয় বিধিবিধান উপেক্ষা করে দলে দলে মসজিদে ও মহফিলে জমায়েত হয়ে হুজুরদের তত্ত্বাবধানে কান্নাকাটি করে আল্লাহ্‌র রহমত কামনা করছে। তারা শরয়ী বিধানের তোয়াক্কা না করে আবেগ দিয়ে আল্লাহ্‌র গজব ঠেকিয়ে দিতে চায়। এতে হিতে বিপরীত হয়েছে এবং হচ্ছে। এ দলের বাইরেও যে এন্তার বেক্কল এবং বেওকুফ শহর-গ্রামে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে বেড়াচ্ছে পরিণতি সম্বন্ধে তাদের মোটেই ধারনা নেই। শহরাঞ্চলে পুলিশের প্যাঁদানি খেয়ে এদের কিছুসংখ্যক পালিয়ে বাঁচছে। উল্লেখ্য, ভৌগলিক কারণেই হয়ত গোগু এবং গোমূত্রের ব্যবহারের কথা আমাদের দেশে তেমন শোনা যায়নি। তবে পরিণতির কথা জানার পরও ভয়ংকর ক্ষতি যা হবার তা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে। পৃথিবীর সবার মত আমরাও জানতাম করোনা শুধু উহান, ইতালি, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রে বসে থাকবে না; দোর্দণ্ড প্রতাপে দুর্বল জনগোষ্ঠীর উপর সে অচিরেই ঝাঁপিয়ে পড়বে। তা জেনেও আমরা রাজনৈতিক প্রলাপের আসর জমিয়ে তুললাম, দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলো দায়িত্বহীন তথ্য-উপাত্ত নিয়ে অনুষ্ঠানমালা সাজিয়ে বসল। ফল হল এই যে আমরা গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়াতে লাগলাম: আমাদের কিছু হবে না - আমরা বীরের জাতি, প্রচণ্ড শক্তিশালী। এ তো গেল প্রারম্ভিক প্রগলভতা; কিন্তু করোনা উৎসবের উদ্বোধনীতে যে হারে উল্লসিত জনতার আগমন নির্গমন শুরু হল এবং ফলশ্রুতিতে করোনার পরিভ্রমণ এবং আলিঙ্গন পুরো দেশব্যাপী বিস্তৃত হল তখন আমরা কান খাড়া করে সরকারি ভাষ্য থেকে দেশে করোনার মৃদু উপস্থিতির খবর পেলাম। এ পর্যায়েও আমরা ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার। একই সময়ে শঙ্কিত হয়ে আমরা যখন জানলাম যে উন্নত বিশ্বের সব হাতি-ঘোড়া তল হয়ে গেছে, তখনই আমরা জল মাপার জোগাড় করলাম। খাপছাড়া অসমন্বিত ও অপরিকল্পিত ঘটনার ধারাবাহিকতায় আমাদের আজকের অবস্থান এরকম: ১. দেশের সিংহভাগ মানুষের মনে মহামারীর ভয় তেমন করে প্রোথিত হয়নি (যারা ইতিমধ্যে ইহধাম ত্যাগ করেছে এবং যারা ধুকছে তাদের পরিবার ব্যতীত)। নইলে এখনও তাদের ঘরে ঢোকাতে কেন গরুপেটা করতে হয়। ২. সচেতন যারা বাঁচার জন্য নিষ্ফল চেষ্টা করছে তারা জানে কর্তৃপক্ষীয় পরিসংখ্যানের চাইতে করোনার মরণকামড়ের মাত্রা বহু বহুগুণ বেশি। কর্তৃপক্ষ সে খবর রাখে না এমন নয়। তারা করবেটা কী? ডাক্তার নার্স হাসপাতাল কারুরই নিজেদের সুরক্ষা ব্যবস্থা নেই, প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি চিকিৎসা-সামগ্রী নেই, রুগি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা/সিট নেই। কিছু কিছু ডাক্তার-নার্স যখন আক্রান্ত হল, তখন তারা ত্রাহি ত্রাহি করে পালাতে লাগল। হাসপাতাল/চেম্বারে থাকলেও তারা রুগির সংস্পর্শে আসা বন্ধ করে দিল। কিছু জাতীয় প্রতিষ্ঠান থেকে দূরালাপনিতে লক্ষণভিত্তিক কিছু নিদান দিয়ে রুগিদের দূরে রাখা হল এবং হচ্ছে। কোনো হাসপাতালে ঠাঁই না হওয়াতে অনেক করোনা-রুগি অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে ঘোরাঘুরি করে কয়েকদিনের মধ্যেই অবধারিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল। ঢাকার বাইরেও অনেক রুগির মৃত্যুর খবর শোনা যায় যাদের জ্বর কাশি গলাব্যথা শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি উপসর্গ ছিল। এরকম অসংখ্য রুগির করোনা টেস্ট হয়নি এবং ভবিষ্যতে হবার জন্য কোনো সুযোগ তৈরির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। তাই এরকম টেস্ট বঞ্চিত রুগি কখনওই করোনা রুগির তালিকায় ঠাঁই পাবে না। তবে এজন্য করোনার আক্রমণ থেমে থাকবে না; জ্যামিতিক হারে তা বেড়েই চলবে। হারটা বাড়বে এজন্য যে যে রুগি করোনার আক্রমণে মারা গেল কিন্তু করোনা রুগি হিসেবে চিহ্নিত হল না তার রোগাক্রান্ত হওয়ার সময় থেকে মৃত্যু পর্যন্ত যত লোক তার সংস্পর্শে এল তারা সবাই আক্রান্ত হয়ে গেল। এবং এভাবে আক্রান্ত লোকগুলো একই পদ্ধতিতে গুচ্ছ গুচ্ছ লোকের মধ্যে ভাইরাস ছড়িয়ে যাবে এবং ইতিমধ্যে যাচ্ছেও। এই ভয়াবহতা উপলব্ধি করেই হয়ত অনেক ডাক্তার ইন্টার্ন নার্স এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারিই এখন কর্মস্থলে অনুপস্থিত। সংবাদমাধ্যমে দেখা গেছে অনেক চিকিৎসক পদত্যাগের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। ৩. শেষমুহুর্তে এসে যখন যানবাহন, দোকানপাট, কলকারখানা, দিনমজুরি, কর্মযজ্ঞ সব বন্ধ করে দেয়া হল, তখন উপলব্ধ হল যে করোনার ছোবলের আগেই কিংবা সাথেই অনাহারে মারা যাবে অনেক লোক। অনাহারের যাতনায় শুধু আর্ত চিৎকারকারী নিম্নবিত্তরাই ভুগবে না, সে যাতনায় ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে স্বল্পবিত্তের লোকও ভুগবে যাদের সংখ্যা মোটেও কম নয়। এই ক’দিন ধরে করোনা ছড়িয়ে কিংবা করোনার ঝুঁকি নিয়ে অতি গরিব লোকগুলো রাস্তায় দাঁড়াতে পারলেই কিছু না কিছু পাচ্ছে, কিন্তু লজ্জার মাথা খেয়ে ওই স্বল্পবিত্ত তথা নিম্নমধ্যবিত্ত লোকগুলো না পারছে রাস্তায় গিয়ে দাঁড়াতে, না পারছে কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতে। ৪. অবস্থা অবনতির দিকে গেলে অরাজকতা ও লুটপাটের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেয়া যায় না। আমি কী করছি?: কোভিড-১৯ এর উন্মেষের পর থেকেই অনেকের মত আমিও চরম উদ্বিগ্ন হয়ে উঠি। আক্রান্ত দেশগুলোর অসহায়ত্বের দিকে তাকিয়ে আমি মুষড়ে পড়ি। সবার মত আমিও এখন বুঝি একমাত্র আল্লাহ্‌র সাহায্য ব্যতীত বাঁচার কোনো উপায় নেই। সর্বোচ্চ চিকিৎসা সুবিধাসম্পন্ন উন্নত দেশগুলোতে যেভাবে মৃতদেহ স্তূপীকৃত হচ্ছে, সেখানে বাংলাদেশের অবস্থা কী হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে দিশেহারা হয়ে বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম ঘেঁটে আমি নিজের জন্য একটা নীতিমালা দাঁড় করিয়েছি: ১. স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে বৈশ্বিকভাবে প্রচারিত সতর্কতা অবলম্বন করা, যেমন - বার বার ক্ষারযুক্ত সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, মাস্ক ব্যবহার করা, পারতপক্ষে ঘরের বাইরে না যাওয়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা, ইত্যাদি। ২. বেশি করে পানি পান করা - গরম পানি হলে সবচেয়ে ভাল, দিনে অন্তত দুইবার লবণযুক্ত গরম পানি দিয়ে কুলকুচা করা। কুলকুচার জন্য লবণ পানির সাথে অল্প সিরকাও মেশানো যেতে পারে। দিনে অন্তত একবার গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে পান করা যেতে পারে। দুধ-চিনি ছাড়া চা খাওয়া যেতে পারে তিন-চারবার। ৩. সকালে আধা চা-চামচ কালোজিরা অল্প মধুসহ (ডায়াবেটিস থাকলে মধু ছাড়া) ভালভাবে চিবিয়ে খাওয়া। গোটা কালোজিরার পরিবর্তে খাঁটি কালোজিরার তেল খাওয়া যেতে পারে। ৪. গলা খুসখুস বা ব্যথা করলে কিংবা কাশির উৎপত্তি হলে অতিরিক্ত হিসেবে দৈনিক অন্তত চারবার গরম জলের ভাপ নিতে হবে। ৫. উপর্যুক্ত পদ্ধতিগুলি পরিপালন করা সত্ত্বেও যদি গলাব্যথা ও কাশির সাথে জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট দেখা দেয় তবে সম্ভাব্য সকল উপায় ব্যবহার করে চিকিৎসক বা হাসপাতালের সাথে যোগাযোগ করে তাদের উপদেশমত চিকিৎসা নিতে হবে। থাকার ব্যবস্থা যেখানেই হোক সম্ভব হলে উপরে বর্ণিত উপাচারগুলি চালিয়ে যেতে হবে। ৬. ভাল থাকার এবং বেঁচে থাকার সব ধরণের চেষ্টার সাথে যা অবশ্যই করণীয় তা হল, নামাজ, ক্বুরআন তেলাওয়াত, জানা দোয়া-দরুদ পড়ে আল্লাহ্‌র কাছে কান্নাকাটি করা। বালামুক্তির প্রার্থনার সাথে সাথে নিজের কৃত গুনাহ্‌র জন্য সর্বান্তকরণে আল্লাহ্‌র কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। একই সময়ে আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করা। সম্ভব হলে সকল লেনদেন মিটমাট করে নেয়া। ++++++++++++++++++++++++++++++++++++ আমিও সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। জামাল উদ্দিন আহমদ ৮ এপ্রিল ২০২০
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
mdmahabubmollik আমি নতুন সদস্য কিন্তু এখানে কিভাবে লিখবো বুঝতেছিনা।কেউ একটু সাহায্য করুন
Omor Faruk খুবই সুন্দর কথা বলেছেন

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

অক্টোবর ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i