আমার চোখে হুমায়ূন আহমেদ

Rajib Ferdous
১০ নভেম্বর,২০১৩

হুমায়ূন আহমেদ ভালো লিখতেন না মন্দ লিখতেন তা নিয়ে বিস্তর মতবিরোধ আছে, থাকতেই পারে। কারন এই দেশে হুমায়ূন আহমেদ একা লেখক ছিলেন না, আরো অনেকেই আছেন। তাই তাঁর জনপ্রিয়তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থাকতেই পারে। তিনি গরীব মানুষকে ভালবাসতেন কি বাসতেন না সেই প্রশ্নও অবান্তর। বাংলাদেশের মানুষ বোকা বলেই তিনি এই দেশে এত জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন, আর কলকাতার মানুষ বুদ্ধিমান বলেই সেখানে তিনি জনপ্রিয় হননি- এই প্রসঙ্গও আমার কাছে অহেতুক মনে হয়েছে। তিনি পাঠককে কেবল তাঁর বইয়ের প্রতিই আসক্ত করেছেন, পক্ষান্তরে বিশ্ব সাহিত্যের প্রতি বিমুখ করেছেন- এটাও আমার কাছে ততটা যুক্তিযুক্ত মনে হয়নি। তিনি কেবল সস্তা রম্য লিখতেন নাকি হাই থটের লেখা লিখতেন সেটাও বিশদ আলোচনার ব্যপার। কিন্তু একথা অকপটে বলা যায় যে, হুমায়ূন আহমেদ তাঁর সহজবোধ্য সাবলীল লেখার দ্বারা কেবল অগণিত পাঠকই তৈরী করেননি। তৈরী করেছেন অগণিত উঠতি লেখকও। কেবল হুমায়ূন আহমেদের লেখা পড়ে অনুপ্রানিত হয়ে কলম ধরেছেন এরকম উঠতি বয়সের লেখক তৈরিতে এই লেখকের মত ভুমিকা বাংলা সাহিত্যে আর কোন লেখক রাখতে পেরেছেন বলে আমি মনে করিনা। এই সব উঠতি বয়সের লেখকগন এখন ইচ্ছা করলেই 'হিমু' লিখতে পারেন। রুপা লিখতে পারেন, মিসির আলী লিখতে পারেন। লেখাতে খুব সহজ রসিকতা করতেও ছাড়েন না তারা। তাদের লেখায় হুমায়ুনের ছায়া থাকে বটে, তাদের লেখা মৌলিক নয় তাও মানি। তারা হুমায়ূন আহমেদের মতো লেখায় এত ক্লাইমেক্স বা টুইস্ট আনতে পারেন না তাও ঠিক আছে। কিন্তু এরা যে একটু একটু করে তৈরী হচ্ছে একথা অস্বীকার করার কোন কারন নেই। এই অগণিত উঠতি লেখক তৈরি হওয়া থেকেই হুমায়ূন আহমেদের সাফল্য এবং তাঁর লেখার সহজ বোধ্যতার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এইসব লেখকগণ একদিন এইভাবে কলম নিয়ে খেলতে খেলতেই নিজের পায়ে দাঁড়াতে শিখবে। তারা হুমায়ূন আহমেদের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসবে সচেতনভাবেই। যেমন বেরিয়ে এসেছিলেন মানিক বন্দোপাধ্যায়ের ছায়া থেকে হুমায়ূন আহমেদ নিজে ( কাঠপেন্সিল) ছায়া তলে থেকে কোন বৃক্ষই যে বড় বৃক্ষতে রুপান্তরিত হতে পারেনা, তা এরা একদিন বুঝবে। আর সেই বোধের জোরেই তারা স্বয়ং সম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। আর সেই দিন কে লাভবান হবে? আমি, আপনি না হুমায়ূন আহমেদ? কেউ না হলেও বাংলা সাহিত্য যে হবে সে বিষয়ে কি দ্বিমত থাকা উচিৎ? তাই ভালো হোক, মন্দ হোক, সফল হোক আর ব্যর্থ হোক, সস্তা হোক আর দামী হোক, তাঁর মত একজন লেখকের প্রয়োজন ছিল বাংলা সাহিত্যে।

আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিজান বিন নূর 'সহজ কথা সহজভাবে যায়না বলা' - হুমায়ুন আহমেদ সহজভাবে বলতে পেরেছেন বলেই তিনি এত জনপ্রিয়! এরকম লিখক কালেভদ্রে জন্মায়।
অসীম সাহা আমি কলকাতার অধিবাসী। তার সব লেখা পড়া হয়ে ওঠেনি। তবে আমার মনে হয় যে - হুমায়ুনের পৃথিবী স্বপ্নময়। হুমায়ুন তার পাঠকদের স্বপ্ন দেখাতে ভাল বাসে। সেটা এক অর্থে খারাপ নয়। সেটা যা কিছু ভাল তার প্রতি, লেখকের মন্তব্য প্রকাশের একটা মাধ্যাম হতে পারে।
রোদের ছায়া খুব ভালো লাগলো আপনার নিরপেক্ষ লেখাটি । আমি নিজে অবশ্য তাঁর বিরাট ভক্ত । কিন্তু সমালোচনাগুলোও খুব মন দিয়ে পড়ি । আমার কাছে পড়ার মূল বিষয়টা হল আনন্দ পাওয়া যেটা আমি হুমায়ুন আহমেদের বই পড়ে পাই ।
Rajib Ferdous ধন্যবাদ রোদের ছায়া আপনাকে। এই যে আমরা তাঁর লেখা থেকে আনন্দ পাই, তাঁর লেখার ভক্ত হয়ে উঠি, এ থেকেই কি তাঁর সাফল্যের প্রমান মেলেনা? এখানে আমরা কারা? আমরাইতো সাধারণ পাঠক। আমাদের হৃদয়- ই তো উনি জয় করেছেন তাঁর লেখা দ্বারা। তাঁর লেখা প্রকাশ হওয়ার আগে কি আমরা কেউ তাকে চিনতাম? তবে?

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "অবহেলা”
কবিতার বিষয় "অবহেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ এপ্রিল,২০২৪

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী নয়।।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

মার্চ ২০২৪ সংখ্যার বিজয়ী কবি ও লেখকদের অভিনন্দন!i