আছে বাড়ী টাকা কড়ি
পেট্রোডলার কাড়িকাড়ি,
তবু অস্ত্রের ঝনঝন, বোমা মার বুমবুম
সন্ত্রাসী তুমি
কেন এ কঠোরতা।

কৃষ্ণচূঁড়ার গান গাইছে সবাই, চারদিকে আজ বৈশাখী কলরব-
বেজে ওঠে বাঁশীর সুরের করুন আর্তনাদ, মূর্ছা যায় কবি।
হায়! একী তবে বেদনার পোড়াছবি!
কীসের এত আনন্দ তোমার?

ভালো থেকে, ভালোবেসে
সমুদ্রের মতো ঢেউ এসে
মিশে যায় ছোট ছোট মনে আজও
হয়নি এখনও বড়, তোমার মতন

সত্তা জুড়ে আছে দেখি, জগৎ যে দুটো;
কল্পতরু কল্পলোক, রঙিন কতনা;
আর পাষাণ বাস্তব, কঠোর যাতনা ;
কল্পে কর্ম মুক্ত পাখী, ইচ্ছে বন্দি মুঠো।

আমি হাটা দিলাম আর মাঠটা শেষ হয়ে গেল
রাস্তায় এসে পড়তেই স্টিমরোলার পিষে দিল।
একটা চিল তার চোখ দিয়ে
আমার চোখ দেখলো

জীবনের দুই-দশকাধিক সুবর্ণ সময়
পার করেছি এই নগরীর আলো-বাতাসে কোলাহলে, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে
প্রেমে-বিরহে, অবারিত বন্ধুত্বে, নাগরিক আত্মীয়তায়
সময়ের উচ্ছলতম মুহুর্তগুলো গেঁথে আছে এই নগরীর সামগ্রিক ব্যাপকতায়

উত্তপ্ত প্রহরী বহিরাগত,
আইন শৃঙ্খলা সম্পূর্ন মুঠোয়।
চাপাবাজরা ঊর্জ-স্বল মনে করে নিজেকে,
কৃমিনালরা একান্ত নিজস্ব ব্যাক্তি।

আকাশের কালো মেঘগুলো নিরুদ্দেশ হয় নিমিষে!
কারণ - ওরা দুঃসাহসী হাওয়ার মতো ঝোড়ো
ওরা কঠোর সৎ সাহসে।

বসন্তের এক পড়ন্ত বিকেলে
তোমার দুই কালো চোখে
বৃষ্টি নেমেছিল।
খুব নিবিড় ভাবে –

তোমায় পেলে ভেবেছিলাম দুঃখ হবে জয়,
তাই তোমাকে ভালোবেসেছি দিয়ে হৃদয়।
করতে আপন তোমায় আমি করছি জীবন ক্ষয়,
ভেবেছিলাম পেলে তোমায় হবে আমর জয়।