তুমি-
বুস্তা ও গুলিস্তায়-কত ফুল ফুটিয়েছো;
একটি গোলাপ কলিও
দিলে না আমায়।

আছে বাড়ী টাকা কড়ি
পেট্রোডলার কাড়িকাড়ি,
তবু অস্ত্রের ঝনঝন, বোমা মার বুমবুম
সন্ত্রাসী তুমি
কেন এ কঠোরতা।

আকাশে তারার ঝিলিক, হাতের নিলিক, পাখি ছটফট
জীবন প্রতিক, বিধাতা মালিক, মনটা করমট।
পিপাসায় জল, বর্ষাকাল, ভাষে নদীর কূল ।।
কবির কলম, কবিতার জম, সৃজনশীল পাঠশালা

এখনো সময় আছে...
সবুজে ঢাকা এ প্রান্তর রূক্ষতায় আচ্ছন্ন হবার আগেই
এসো সরে যাই
চলে যাই
যার যার গন্তব্যে।

পৃথিবীর পথ দীর্ঘ ও প্রশস্ততম হয় তরতরে
কত মনুষ্য কত যান ছুটছে অবলীলায় ওর বুক চিরে,
এশিয়া থেকে আফ্রিকা, দূরপ্রাচ্য হতে এন্টার্কটিকা। আকাশের মেঘ ভেঙ্গে
জলের স্বচ্ছতা ও বরফ কেটে; ভূমি, পাহাড় ও পর্বত ডিঙে
দূর্বার এগুচ্ছে মানুষ। মরু হতে মঙ্গলে।

আমার “আমি”কে কখনো হাসতে দেখিনি
নতজানু হয়েছি, হয়ে থেকেছি শুধু হুকুমের দাস
জন্ম থেকেই কঠোর নিয়মের বেড়াজালে, শাসনে-অনুশাসনে
বাবা'র কঠিন চোখে রক্তনদী যেনো বারোমাস!
তাচ্ছিল্য- তিরস্কার আর বঞ্চনা
আপদ- জঞ্জাল- এসবের গঞ্জনা!

বিষন্ন মনে এখন আর রোমান্টিকতা বিরাজ করে না,
উড়ে বেড়ানো শঙ্খচিল গুলিও এখন আকাশে ভিড়ে না !
আকাশ ছোঁয়া স্বপ্নগুলিও এখন বাস্তবে বড় কঠিন,
এখন আর স্বপ্ন দেখা হয় না ।

খাঁচা ছেড়ে তুই যে আকাশে উড়ে বেড়াবি,
সেই আকাশটাই কিনে নেব একদিন,
তারপর পুরো আকাশ জুড়ে,
লোহার শিকল পড়াবো,
দেখি তুই কেমন করে উড়ে পালাস।

তোমায় পেলে ভেবেছিলাম দুঃখ হবে জয়,
তাই তোমাকে ভালোবেসেছি দিয়ে হৃদয়।
করতে আপন তোমায় আমি করছি জীবন ক্ষয়,
ভেবেছিলাম পেলে তোমায় হবে আমর জয়।

বড়ই মোহন তোমার রূপের ঝলক !
ছিল কত আরো, অগুনতি পুষ্প গুল্মবনে –
প্রস্ফুটিত, আধফোটা, শীতসকালের রোদ্দুর যেন
বাঁকভঙ্গ-দেহ ললিত লতা, যেন এক উড়ুক্কু কিশোরী
সে এক রঙ্গনৃত্য সুবাসিত মদির।