তিনুর মন্তব্য শুনে চমকে উঠলো খালেদ।
উদাসকণ্ঠে ও বললো, ‘যদি দূরে কোথাও চলে যেতে পারতাম, যেখানে থাকবে শুধু প্রকৃতি আর প্রকৃতি।

পিয়া (পি ই এ) অর্থাৎ পার্সোনাল ইমোশনাল অ্যাসিস্ট্যান্ট একটি পার্সোনাল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম কি তা আশা করি সবাই জানেন; এটি একটি কম্পিউটার প্রোগ্রাম যেটা মানুষের মতন ভাবনা চিন্তা

মানুষ মরে যায়, কিন্তু রোবটেরা মরে না। ড. হ্যানসন রোবটটিকে যখন প্রোগ্রাম করেছিলেন তখন সেটি অতটা উন্নত ছিল না। তার মধ্যে কোন অনূভূতি ছিল না। কিন্তু মনে রাখার ক্ষমতা তার ছিল। সোফিয়া তার মেমরী ঘেটে আজও হ্যানসনের সাথে তার স্মৃতি মনে করতে পারে।

আমার লাশটা যেনো সোনালীর কবরের
পাশে ওই বকুল তলায় দাফন করা হয়""
মরে গিয়ে অন্তত ওর পাশে থাকতে পারবো""...!!

ঘুম থেকে উঠে একরকম দৌড়ে ছুটে গেলাম ল্যাবের দিকে। দেরি হয়ে গেল নাকি! সময়টা খুব গুরুত্বপূর্ণ আজ, দেরি করা যাবে না! তবে যখনই আমি গবেষণা ভবনের ভেতর পা রাখতে যাব, তখনই আকাশ ভেঙে ঝুম বৃষ্টি নামল।

হিমঘরে ঘুম ভাংলো ক্লারার ।ক্রয়োজনিয়াম ধাতুর তৈরী একটা ক্যাপসুলে শুয়ে ছিলো বছর খানেক ।নতুন একটা গ্রহে অবতরণ করার প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো ।মুল নভোযান থেকে ক্লারার স্কাউট শীপ নতুন গ্রহে অবতরণ করতে শুরু করলো ।

অনেকটা সময় ধরে পরী শুভ্র নামের ছেলেটার দিকে চেয়ে থাকে। শুধু আজকে নয়, কাজটা সে প্রায় প্রতিদিনই করে। ঠিক বিকেলে, যখন সূর্য ঢলে পড়ে, তখনই দূর আকাশের দিকে তাকিয়ে কি যেন ভাবে ছেলেটি। পেশায় শিক্ষক, ঢাকার কোন নামকরা এক ভার্সিটি থেকে নাকি পড়াশোনা করেছে।

"রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে অফিস যাও, অফিস থেকে ফিরে এসে আবার পরের দিনের অফিস যাওয়ার চিন্তা নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া, আবার সকালে উঠে অফিস। ধুর বাবা, আর ভাল লাগেনা।" আপনমনে বিড়বিড় করতে করতে ঘুমিয়ে পড়ে রনি। মাঝরাত্রিরে হঠাৎ ঘুম ভেঙ্গে যায় তার। এ কি দেখছে সে! তার মতো দেখতে একজন বসে আছে তার সামনে।

আলব্রাটোর মনটা আজ খুব খারাপ। বাবা এখনো এ মাসের খরচের টাকাটা পাঠাইনি। এদিকে মেসের ভাড়া দেওয়ার সময়টা পেরিয়ে গেছে।পকেট হাতড়ে দেখলো দশ টাকার দুটি পুরাতন নোট যেন চলতে চলতে ক্লান্ত হয়ে ঝিমিয়ে পড়েছে। আলব্রাটো টাকাটা পকেটে রেখেই বিছানায় এসে শুয়ে পড়লো।

আমার নাম কোহেন। আমি দেখতে অবিকল তোমাদের মত হলেও আমি পুরোপুরি মানুষ নই। আমি একটা হিউম্যানয়েড রোবট। আমি যে গ্রহে বাস করি তার নাম আর্কাটাস। আর্কাটাসে যে অল্প সংখ্যক হিউম্যানয়েড রোবট আছে আমি তাদের মধ্যে অন্যতম। আমাদের সাথে রোবটদের পার্থক্য হলো তাদের কোন ইমোশন নেই, আমাদের আছে। আমরা ভাবাবেগের ক্ষেত্রে তোমাদের মানুষের চেয়েও সংবেদনশীল।