"বান আইলোরে!
উঠ সবাই। আর কতো ঘুমাবি? মরার ঘুমেইতো তোগোরে বানে ভাসাইয়া লইয়া যাইবো!" বলতে বলতে ধরফর করে উঠে বসে গিয়াস উদ্দিন। মেঝেতে তাকিয়ে দেখে রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে আর বানের পানিতে সেই রক্ত মিশে পানসে লাল হয়ে যাচ্ছে।
-
গল্প
বানকেতকী -
গল্প
একটি অমাবস্যার জন্য প্রতীক্ষাজসিম উদ্দিন আহমেদমুহিনের এই অবস্থা আজ একমাস যাবৎ চলছে। খাওয়ার বিষয়ে আমি আর প্রদীপ একদিন জোরাজুরি করতেই মুহিন বলে, ‘আমার সারা শরীরে মানুষের পচাঁ লাশের গন্ধ! মরা মানুষের তেল আমার সারা গায়ে লেগে রয়েছে! গন্ধটা কিছুতেই যাচ্ছে না!
-
গল্প
রন মামার শ্বশানেশীবু শীল শুভ্রআমাদের গ্রামের বাড়িতে একজন মাস্টার মশাই পড়াতে আসতেন, উনার নাম কান্তীপ্রসাদ শীল। উনার পড়া একদিন ও শিখতাম না বলে, প্রতিদিন কান ধরে উঠবস করতে হতো। প্রতিনিয়ত এই কান ধরা আর ভালো লাগেনা।
-
গল্প
একটি দাঁড় কাক এবং অন্যান্যনুরুল্লাহ মাসুমশরতের স্নিগ্ধ সকাল। সামাদ সাহেব গরম এক কাপ চা নিয়ে ব্যালকুনীতে বসে আছেন নিত্যদিনের অভ্যেসমত। আরাম কেদারায় গা এলিয়ে আলস্যভরা দেহ-মন চাঙ্গা করার একমাত্র ঔষধ হচ্ছে এক মগ কড়া গরম চা। পঞ্চাশোর্ধ বয়সে আজো চলছে তার এই অভ্যেস।
-
গল্প
রূপাবাবুল আবদুল গফুরসপ্তাহ খানেক পরে রূপা নিজেই এলো আমার কাছে। চোখ দুটো ভীষণ রকম লাল। কিছুক্ষণ আগে বোধহয় কোথাও প্রচুর কেঁদেছে এ মেয়েটি। দেখলেই বুঝা যায়। অবশ্য কি কারণে মেয়েরা কাঁদে তা অনেক সময় মেয়েরাও তা ভালো করে জানে না।
- কি হচ্ছে এসব? -
গল্প
পোর্ট্রেইটসাবাব আলম সানিদসেবার ভ্রমণের নেশাটা একেবারে পেয়ে বসেছিলো ৷ অবশ্য তার যথেষ্ট কারণও ছিলো ৷ বহুদিনের এই রুটিন বাঁধা একঘেয়েমী জীবন নিয়ে অতিমাত্রায় অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলাম ৷ তখন সবে কলেজের গন্ডি পেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র আমি ৷
-
গল্প
অসীম পিপাসানীলাঞ্জনা দত্ত লোপা"শুভ্রা, শুভ্রা" ডাক শুনেই আৎকে উঠলেন "তোমায় ছাড়া থাকতে খুব কষ্ট চলনা আমার সাথে রথেকরে তুমি আর আমি আর কিছু দিন পরে শান্ত!! চলনা চলনা!! শুভদ্রা দেবী কোন প্রতি উত্তর শুধু তার চোখে চোখ রেখে মনে হল নিরব সম্মতি দিল হাত ধরে তার স্বামীর চির অসীমের পথে যাত্রা মনে হল
-
গল্প
ইস স স স স...কাজী জাহাঙ্গীরস্কুলের ছাত্র ছাত্রীদের সাথে নিয়ে বনভোজনে এসেছেন তিতাস চৌধুরী।স্কুল থেকে আসা সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য এটা একটা বড় দায়িত্ব ছাত্রছাত্রীদের দেখভাল, নিরাপত্তা আর বিনোদনের আয়োজন একসাথে করা।
-
গল্প
পশ্চিমা পুকুরমৌরি হক দোলাটুটুল জানালা দিয়ে একমনে বাইরের আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে। সে গালে হাত দিয়ে ওই দূর আকাশে কি যেন একটা দেখছে। এদিকে মতিউর স্যার দশ নম্বর অঙ্কটাও সকলকে বুঝিয়ে দিলেন। এতক্ষণে হয়তোবা দু’একজন বাদে সকলের খাতায় অঙ্কটি তোলাও হয়ে গেছে।
-
গল্প
অসাম্প্রদায়িকফেরদৌস আলমএকটা সাধারণ সন্ধ্যারাত। শীতের সন্ধ্যা। চারপাশ ঘেষে কুয়াশা থাকার কথা, যথারীতি তাই আছে।গাম্ভীর্য ভর করে আছে সে কুয়াশার পিঠের উপর। সিএনজিটা স্বাভাবিক গতিতেই কুয়াশার কোমল ঢেউ কেটে কেটে সামনে এগোচ্ছে। কী যেন ভাবছিলাম মাথাটা নিচু করে, বহু দূরের অন্ধকারে তাকিয়ে। ভাবনাটা নিজের জন্যই ছিল।
সেপ্টেম্বর ২০১৭ সংখ্যা
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ সেপ্টেম্বর,২০২৫
এ যাবত
প্রতি মাসেই পুরস্কার
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
