বান

ভৌতিক (সেপ্টেম্বর ২০১৭)

কেতকী
  • ১৪
  • ৩৪
"বান আইলোরে!
উঠ সবাই। আর কতো ঘুমাবি? মরার ঘুমেইতো তোগোরে বানে ভাসাইয়া লইয়া যাইবো!" বলতে বলতে ধরফর করে উঠে বসে গিয়াস উদ্দিন। মেঝেতে তাকিয়ে দেখে রক্তে ঘর ভেসে যাচ্ছে আর বানের পানিতে সেই রক্ত মিশে পানসে লাল হয়ে যাচ্ছে। নুরবানুর চেহারা ক্রমেই ফ্যাকাশে হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু রক্তপাত কমছে না। গিয়াস উদ্দিন অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে। তার করার কিছুই নেই।

নুরবানু প্রতি বর্ষায় আসে। ফ্যাকাশে সাদা হয়ে যাওয়া মলিন চেহারা নিয়ে। গিয়াস উদ্দিনকে বড় করুণ সুরে বলে, "আপনেতো আমারে বাঁচাইতে পারলেন না"।

গিয়াস উদ্দিন চোখ মুছতে মুছতে বিছানায় উঠে বসে। তারপর শুরু হয় তার আহাজারি।
"আমি তোরে বাঁচাইতে পারলাম নারে, নাজুর মা! আমি তোরে বাঁচাইতে পারলাম না।"

আটাশির বন্যায় নাজুর বয়স তখন নয় বছর। ছোটভাই আফাজের বয়স সাত। নুরবানুর পেটে আরেকটা বাচ্চা এসেছিলো।

"দেহিস নাজুর মা, ঠাহর কইরা চলিস। বানের পানি বড় খারাপ। পেডের বাচ্চাডার জানি কোন ক্ষতি না অয়"-গিয়াস উদ্দিন সবসময় নুরবানুকে সতর্ক করতো।

বন্যার স্রোতে কখন পানি ক্ষয় হয়ে গর্ত হয়ে গিয়েছিল জানতে পারেনি। নুরবানু সেই গর্তে পা হরকে সরাসরি ভারী পেট নিয়ে ভেসে আসা গাছের সাথে বাড়ি খেয়ে সেখানেই পড়ে যায়। গিয়াস উদ্দিন যখন খেয়াল করে ততক্ষণে নুরবানুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়ে গেছে। চারদিকের পানি পানসে লাল হয়ে গেছে।
থৈ থৈ পানি চারদিকে। ডাক্তার কোথায় পাবে, দাইইবা পাবে কোথায়। গিয়াস উদ্দিনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লেও সে এতোটা অবাক হতো না।। নিজের মৃত্যুতেও বোধয় সে এতোটা কষ্ট পেত না। কিন্তু তাকে অসহায়ের মতো চারদিকে তাকিয়ে চোখ রেখে অকুল দরিয়ার মতো বানের থৈ থৈ পানিতে বৃথা চেষ্টার ডাক্তার আর দাই খুঁজতে হয়েছে।

আটাশির বন্যার পর থেকে নাজু কখনো পানিতে নেমে গোছল করতে পারেনি। ডুব দিলেই মাকে দেখতে পেতো।

শ্রাবণ-ভাদ্র মাস নিয়ে নাজুর দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। আর এবারতো ভারী পেট নিয়ে চলতে ফিরতেও কষ্ট। আফাজের স্ত্রী সবসময়ই সান্তনা দিয়ে বলে, "বুবু, ডরাইয়েন না। উপরে আল্লাহ আছে। সেই সাথে ফিক করে হেসে দিয়ে বলে, "আর জমিনে এই বোইনডা কি মইরা গেছে! ডরান ক্যান?"
নাজু ধমকে উঠে রাগতচোখে ভাই বৌ এর দিকে তাকায়। "বালাইষাট! মরবি ক্যান। আমার মাথায় যতো চুল আছে ততবছর বাইচ্চা থাক। আমার ভাইডার ঘর ছাও দিয়া ভইরা রাখ, বইন। মায়েতো দেইখ্যা যাইতে পারলো না। বাপজান বাইচা থাকতে দেইখা যাক।" বলতে বলতে নাজুর চোখ ছলছল করে উঠে।
নিজের চোখের সামনে মাকে মরতে দেখেছে। মার চারপাশে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। নাজু চিৎকার করে কাঁদছিল। "বাপজান, মার তো কাইট্যা গেছে। রক্ত সব গেলোগা তো!" চোখের সামনে নিরুপায় বাপ কিছুই করতে পারেনি। বন্ধ করতে পারেনি রক্তপাত। একসময় সমস্ত শরীর সাদা হয়ে নিস্তেজ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে দেখেছে মাকে। আটাশির সর্বনাশা বন্যায় চারদিক যখন থৈ থৈ তখন নুরবানুর মতো কতো নুরবানু কতোভাবে জীবন দিয়েছে তার খোঁজ কোন পত্র-পত্রিকায় আসেনি। জানেনি ফেসবুক প্রজন্ম।

বিষয়টা খুব ভাবাচ্ছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগে নারীর মনের অবস্থা।

বিশেষ করে সেই প্রাকৃতিক দূর্যোগ যদি জলের সাথে সম্পৃক্ত হয়।
নারীর শরীর প্রাকৃতিকভাবেই আলাদা পুরুষের চেয়ে। যে কোন পরিবেশে যতো সহজে পুরুষ চলতে পারবে নারী পারবে না। এ নারীর নিজের অক্ষমতা নয়। আর এটাকে অক্ষমতা মানতেও রাজি নয় সে।। পৃথিবীকে সচল রাখতে গর্ভধারণের মতো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি পালন করতে হয় নারীকে।

একজন পানি বন্দী নারী কিভাবে সামাল দিচ্ছে তার জীবন যাত্রা। প্রাকৃতিক নিয়মে বয়ে চলা তার শারীরিক প্রক্রিয়া। যদি সে গর্ভবতী হয়? যদি মেয়েটি প্রথম পিরিয়ডের অভিজ্ঞতা নিয়ে থাকে এই নোংরা পানিযুক্ত পরিবেশে যেখানে তাকে গলা অবধি পানিতে ডুবে এদিক সেদিক যেতে হচ্ছে!

এই দূর্যোগে নারীর শরীরে যে সব রোগের প্রকোপ দেখা দিবে। দীর্ঘমেয়াদী যে সব রোগ বাসা বাঁধবে তার খবর তো কেউ রাখবে না!

নিজেকে কেমন যেনো অসহায় লাগছে!
আফাজের সচেতন স্ত্রী এসব ভেবে কোন কুল পায় না। চোখের সামনে ননাসের ভারী পেট তাকে আরো দুশ্চিন্তায় ফেলে দেয়। মুখে ফিক করে হেসে ফেললেও মনে মনে তারাশ লেগে থাকে। যদি বান ডাকে! শাশুড়ির কথা অন্যদের মুখে শুনেছে সে। এমন ভারী পেটেই শাশুড়ি ডাক্তার, দাই না পেয়ে চোখের সামনে মরেছে। মরার সময় তার শরীরে আর রক্ত অবশিষ্ট ছিল না।
সেই সময়ে নাজুর চিৎকারে আশে পাশের মানুষ পানি ভেঙে এসেছিল নুরবানুকে বাঁচাতে। কিন্তু পারেনি কেউ। বরং পরের অনেকগুলো বছর নুরবানুকে আশেপাশের সব আঁতুর ঘরের কাছাকাছি দেখা গেছে। রক্তহীন ফ্যাকাসে শরীর, মলিন মুখ।

এই ৩৮ বছর বয়সে পেটে আবার বাচ্চা চলে আসাতে নাজুর লজ্জার সীমা পরিসীমা নেই। কিন্তু পেটে চলে আসা বাচ্চাকে দুনিয়ার আলো দেখাবে না তেমন ভাবতেও বুক কেঁপে উঠেছে। যা আছে কপালে ভেবে নিয়ে নিয়েছে।

ইদানিং মন কেমন যেনো কুডাক দেয়। মনে হয় সেই আটাশির মতো যদি বান ডাকে। যদি মায়ের মতো রক্তপাতে নিজের মরণ হয়। ভাবলেই নাজুর চোখের জল আর বাঁধ মানতে চায় না। চোখের সামনে ফ্যাকাসে মাকে দেখতে পায়। নিজের ভারী পেটটাতে হাত বুলিয়ে চোখ মুছতে মুছতে ধীরে ধীরে কাজে মন দেয়। কিন্তু মন কি আর বসে! সেই সময়ে ছোটভাই আফাজের কথা মনে পড়ে। ডায়রিয়ায় আফাজও মরতে বসেছিল মায়ের মৃত্যুর কয়দিন পরেই। কিন্তু ততদিনে পানি টানা শুরু হওয়াতে সদর হাসপাতালে আফাজ কয়েকদিন থাকার পর জীবন নিয়ে ফিরতে পেরেছিল। আবার আচল দিয়ে চোখ মুছে।

ইদানিং ক্ষণে ক্ষণেই চোখ ভিজে উঠে নাজুর। এই পোড়া চোখ নিয়ে নিজেই বিব্রত। চোখের পানিকে সামলাতে পারে না।

সামনের সপ্তাহেই বাচ্চাটা পৃথিবীর মুখ দেখবে। গিয়াস উদ্দিন নাজুকে খুব করে বলে দিয়েছেন, “মা’রে, ভরা বাদলায় দেইখা শুইনা পা ফেলবি। আমি বড় এতিমরে মা, আমার দিকে একটু চাইস।“ বলতে বলতে গিয়াস উদ্দিনের গলা ধরে আসে।
কিন্তু কয়দিন থেকে দিনের ভাবগতিক ভালো ঠেকছে না গিয়াস উদ্দিনের কাছে। নাজুও কেমন মিইয়ে গেছে। টিপটিপ বৃষ্টির পাশাপাশি দিনের শেষের দিকে শুরু হয় শোঁ শোঁ শব্দে ঝড়ো বাতাস!
সেদিন সন্ধ্যার পরে নাজু নিজের চোখে মা’কে দেখেছে। অন্ধকারেও দিব্বি দেখা যাচ্ছিল ওই ফ্যাকাসে মুখ।
রাতে রেডিওর খবরে শুনেছে ইন্ডিয়ার নদী নাকি রাক্ষসের মতো এই দেশের দিকে ধেয়ে আসছে। রাক্ষুসী নদীর বাড় বাড়লে কী হতে পারে নাজু আন্দাজ করতে পারে। জীবনের প্রতি মায়া বেড়ে যায়। মায়া বেড়ে যায় পেটের অনাগত বাচ্চাটার প্রতি।
মায়ের মুখে শুনেছে, যুদ্ধের সময়েও নাকি মেয়েদের শারীরিক কষ্টটাই বেশি ছিল। তাদের শরীরের প্রতি লোভ ছিল হানাদারদের যেমন, রাজাকারদের তেমন আর মুখোশ পড়া ভদ্রলোকদেরও তেমন। বন্যার সময়ের কষ্টটার ধরণ একটু অন্যরকম। কিন্তু এখানেও শারীরিক কষ্টটাই বেশি। যে কোন দূর্যোগে নারীর শরীরটাই তার প্রধান শত্রু হয়ে উঠে। তাকে অসহায় করে তোলে প্রকৃতির কাছে বড় নির্মমভাবে। নিজেদের মাস মাস যে রক্তগঙ্গা বয় বন্যার সময়ে সেই শরীরটার মধ্যে কেমন যেনো কিটের বাসা মনে হয়। অনেক রকম সাহায্য আসে। কিন্তু রক্তগঙ্গা সামাল দেবার মতো কিছু সেভাবে আসে না। মেয়েদের হাতে সেভাবে পৌঁছায় না।

ভোরের আলো তখন সবে ফুটতে শুরু করেছে। গিয়াস উদ্দিনের হাহাকারে যখন ঘুম ভেঙ্গেছে ততক্ষণে বিছানার পায়া পর্যন্ত পানি উঠে গেছে। আতঙ্কিত নাজু তাড়াতাড়ি নেমে বাচ্চার জন্যে সেলাই করা কাঁথাগুলো বাঁচাতে হাত বাড়াতেই ভারসাম্য হারিয়ে ধপাস করে বিছানার কোনা বরাবর পানিতে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। দরজার সামনে ততক্ষণে গিয়াস উদ্দিন, আফাজ, আফাজের বউ এসে হাজির। কিন্তু নাজু নিজেই আস্তে আস্তে উঠে গেল। এমন ভারী শরীর নিয়ে পড়ার পর কেমন করে উঠতে পারলো এ বড় বিস্ময়!
বিছানা ধরে বসতে বসতে নাজু শুধু এটুকু বলতে পারলো “পড়ার সময় পানির নিচে মা হাত দিয়া ঠেকাইছে আমারে।”
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ মাইদুল সরকার গল্পটা সুন্দর তবে ভয়ের নয়।
‌জি, ধন্যবাদ।
নুরুন নাহার লিলিয়ান ভালো লাগলো।
ভালো লাগেনি ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অ‌নেক ধন্যবাদ।
মিঠুন মণ্ডল besh bhalo
ভালো লাগেনি ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
অ‌নেক ধন্যবাদ।
খন্দকার আনিসুর রহমান জ্যোতি বিছানা ধরে বসতে বসতে নাজু শুধু এটুকু বলতে পারলো “পড়ার সময় পানির নিচে মা হাত দিয়া ঠেকাইছে আমারে।” // মুখ থুবড়ে পানিতে পড়ে গিয়ে....এমন ভারী শরীর নিয়ে পড়ার পর কেমন করে উঠতে পারলো এ বড় বিস্ময়! .... এটাই ভৌতিক কান্ড বলে মনে হয়েছে....বরাবরের মত ভাল গল্প ....অনেক ধন্যবাদ...
ভালো লাগেনি ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বন্যার সময় নারীর দূর্দশা ফোকাস কর‌তে গি‌য়ে ভৌ‌তিক ব্যাপারটা বে‌শি আন‌তে পা‌রি‌নি। ধন্যবাদ।
মোঃ মোখলেছুর রহমান গল্পটা বেশ তবে বিষয়টা ক্ষীণ মনে হল।
ভালো লাগেনি ৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
‌জি, বিষয়টা য‌থেষ্ট প‌রিমা‌ণে ভৌ‌তিক হয়‌নি। ধন্যবাদ।
আহা রুবন একশটা উপদেশ মানুষের মনে পরিবর্তন আনতে পারে না, কিন্তু একটি ভাল গল্প বা উপন্যাস তা পারে। সাহিত্যের বড় গুণ হল কিছু সময়ের জন্য পাঠককে বিভিন্ন চরিত্রের অবস্থান থেকে সব কিছু দেখতে বাধ্য করে। এ-ভাবেই পাঠক মন বিকশিত হয়। দিদির গল্পটি পড়তে পড়তে কিছু সময়ে জন্য, একটি মেয়ে হয়ে গিয়েছিলাম--তার দৃষ্টিতেই সব কিছু চিন্তা করেছি, বুঝতে পেরেছি কত কিছু দেখেও দেখিনি! একটি স্বার্থক গল্প!
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
পাঠে এবং মতামতে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই । শুভেচ্ছা রইল ।
ভালো লাগেনি ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
ইমরানুল হক বেলাল অসাধারণ! তবে ভৌমিক শর্ত অনুযায়ী মিলেনি। ধন্যবাদ হৃদয়গ্রাহী লেখার জন্য।
ভালো লাগেনি ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা জানাই। আমি আমার মতো করে শর্ত মেনে লিখেছি। সম্পৃক্ত করতে পারায় পাঠকের স্বাধীনতা পুরোপুরি। হৃদয় স্পর্শ করতে পেরেছি জেনে আনন্দিত। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শুভকামনা রইল প্রিয় কবি আপনার তরে সাথে ভোট।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
শামীম খান সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে লেখা তোমার গল্পে আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার অন্য একটি মাত্রা এনে দিয়েছে । পটভূমির কারণে গল্পটিকে প্রথম দিকে দেখতে পাব আশা করছি । তবু প্রশ্ন রয়ে গেল , ভৌতিক গল্প দেবার ছলে কেতকী কি ফাঁকি দিয়েছো ? শুভেচ্ছা । আর ভোট রইল পুরোপুরি ।
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
যতদূর মনে আছে ১০৭৬ শব্দ+- ভৌতিক সংখ্যায় এই প্রথম লিখলাম। আর সাথে বন্যার কষ্ট ছিল। বড় করতে ইচ্ছে করেনি আর। আশাকরি পরে আরো বড় লেখা উপহার দিতে পারবো। আপনার উপস্থিতি সবসময় আনন্দের। তবে আপনার নতুন লেখা পড়ার সুযোগ পেলে আরো আনন্দিত হবো। অনেক ভালো থাকুন আর নিরাপদ থাকুন।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
কাজী জাহাঙ্গীর ‘কিন্তু রক্তগঙ্গা সামাল দেবার মতো কিছু সেভাবে আসে না। মেয়েদের হাতে সেভাবে পৌঁছায় না’ ভালো একটা পয়েন্ট তুলেছেন আপনি, যা কখনো আমাদের মাথায় আসতো না। আমরা ত্রাণ বলতে বুঝি চাল/ডাল/ মোমবাতি/ দিয়াশলাই/পুরোন কাপড় ইত্যাদি। আরেকটা কথা পাঠকের কাছে সাফাই দেওয়াটা কি জরুরী ?পাঠকের দৃষ্টিকোন কখনো কি লেখকের দৃষ্টিকোনের সাথে মিল খাবে? কেউ বোঝে কেউ বোঝেনা, তবুও মন্তব্যে পাঠক স্বাধীন। অনেক শুভকামনা একটা আবেগময়ী পরিস্থিতি তুলে আনার জন্য। চট্টগ্রামে ৯১ এর বন্যায় আমার যে অভিজ্ঞতা হয়েছিলো তা স্মরণ করিয়ে দিলেন। আবারো শুভকামন আর ভোট রইল।
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বন্যার বিষয়টা খুব কষ্ট দিচ্ছিল। আর ডুব সাঁতারের সময় সবসময়ই মনে হয় আমার পাশে মৃত কেউ সাঁতরাচ্ছে। এ কারণে একা পুলে কখনো গভীর পানিতে যেতে সাহস করি না সাধারণত। আর এটা ঠিক পাঠক স্বাধীনতা আছে। কিন্তু যেহেতু লেখকের বলার সুযোগ রয়েছে তাই হাতছাড়া করতে চাইনে এই আর কি। পাঠে অনেক কৃতজ্ঞতা রইল।
ভালো লাগেনি ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
মোঃ নুরেআলম সিদ্দিকী ভিন্ন ধরনের লেখা, খুব ভালো লেগেছে। বন্যার ভয়টাকে মনে হয় ভৌতিক হিসেবে প্রকাশ করতে চেয়েছেন। যা হোক, বরাবরের মতই ভোট ও শুভকামনা রইল। আমার পাতাই আমন্ত্রণ রইল....
ভালো লাগেনি ২ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
না শ্রদ্ধেয় পাঠক, বন্যার ভয় না বরং মৃত ব্যক্তিকে যখন জীবিতরা দেখতে পায়, বিশেষ করে যে ব্যক্তির অতৃপ্ত এবং অবাঞ্চিত মৃত্যু হয় তা জীবিতদের মনের মধ্যে ভৌতিক আবহ সৃষ্টি করে বৈকি। একটু সময়, সুযোগ মতো শিগগীরই আসবো আপনার পাতায়। ইদের শুভেচ্ছা রইল।
ভালো লাগেনি ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

২৮ মার্চ - ২০১৬ গল্প/কবিতা: ২২ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "ছোটবেলা”
কবিতার বিষয় "ছোটবেলা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ ডিসেম্বর,২০২৪