জীবন আমার এতই ছোট বলব কি যে হায় !
ঘুমে ঘুমে শেষ হয়ে যায় জীবনের চাকাই।
যখন আমার বয়স দশে,ভাবি আমি শিশু বেশে
কবে আমার কুড়ি হয়ে যুবক হব ভাই?

সকালের সূর্য ওঠে বায়ুস্তর ভেদ করে
তারপর ধিক্কার জানায় যারা ঘুমিয়ে থাকে,
একটা সুন্দর দিন উপহার দেয় সকলকে
মানুষেরা বের হয় কাজে পেটের টানে।

মাধবীলতার পাতার ফাঁকে সকালের সোনা রোদ্দুর,
আনমনা ভাব
কথার অভাব
স্বপ্নেরা ভেঙে চুরমার হয়;হয়ে যায় বড় নিষ্ঠুর।

পৃথিবীর রূপ রস মায়া মোহজাল
সবটুকু একটানে ছিঁড়ে ফেলে
চলে যাওয়া, অতই কি সোজা?
হতে পারে দেহ নশ্বর, পাঁচভূতে আগলায় তাকে
সবকিছু নিয়ে যাওয়া যায় কি?

আমি সেই নীলাকাশে নিজেকে হারাতে চাই না
যেখানে লোভ দেখিয়ে ঘুরেফিরে লক্ষ্য নক্ষত্রাদি!
যেখানে নজরবন্দী সব পুণ্য পাপী’র লালসাকামনা
সেই অজানায় নিজেই নিজেকে হারাতে পারিনা।

শিশর ভেজা গোটা পৃথিবী ইন্দ্রিয় নির্ঘুম
কৃষ্ণ দ্বাদশীর প্রস্ফুটিত আবরণে
ভালোবাসি রাত জাগা চাঁদকে
দূরে চলে যাওয়া কোনো অজানা পথকে
অপেক্ষারা সেই বিকেলের স্বপ্ন বৃষ্টিকে

যে তৃণ মরুতে জন্মায় তার রাজ্যে
জল সিঞ্চনে তৃপ্তি নেই
সময়ের তুলাদণ্ডে সবাই ওজনদার
ব্যবসার সমুদ্রে মাছ, ব্যাঙ, শুশুক, কাছিম

জেগে উঠার স্বপ্ন দেখো
অল্প সময় ভেবে দেখো
অমর বলে আছে সত্য
ভালো কর্ম তারই পথ্য
আজ আছি কাল নেই
অমর বলে কি কিছু নেই?

মোহময় প্রান,
জীবনের বাঁকে বাঁকে,বয়ে চলা নদীর ঢেউয়ে,
উত্তাল গতিময় চন্দের শেষে,
আছড়ে পড়া বালুচর বেশে,

ছায়াতল একটি গাছের অধীনে নীরব হয়ে যখন বসে থাকি, তখন অকথিত বাড়ন্ত নিসাড়া ভাবনা গুলো ডিগবাজী খায়;
খামচে যায় উপচে পড়া জলসিক্ত মেঘের পঙ্কিলে নভোমন্ডল, অক্ষিগোলক, জ্যোতিষ্ক আর বর্তুলাকার মেঘ চূর্ণের সাথে।