শহরে সেদিন তুমুল বৃষ্টি
তবু স্রোতের প্রতিকূলেই বেছেনিল মানূশ দুটো।
দূর জলের উপর বৃষ্টির ফোটা সময় থমকে দেয়।
হাতের রাখা হাত নির্ভরতার কথা বলে, আশ্বাস দেয়।

ক্রমে দুনিয়ার মোহ, করল আটক
রঙিন স্বপ্ন নয়নে, মিটে না পিপাসা,
নিজের আয়ত্তে নিতে, করছি নাটক;
বাড়ছে মনে অহম, মেকি ভালবাসা।

সকল প্রাণীর মাঝে মানুষ প্রাণীর গান গাই
মানুষ জাতি ছাড়া যার- ভিন্ন পরিচয় নাই।

স্রষ্টার সৃষ্ট- এ ধরন পৃথিবী- আছে অগণন
নানান ধর্ম-বর্ণ আকৃতিতে- করেছে সৃজন।

আমি সুদর্শন নই
চটপটে নই
আড্ডাপ্রিয় নই
তাই তোমার কাছে অদ্ভূত আমি।

যে তৃণ মরুতে জন্মায় তার রাজ্যে
জল সিঞ্চনে তৃপ্তি নেই
সময়ের তুলাদণ্ডে সবাই ওজনদার
ব্যবসার সমুদ্রে মাছ, ব্যাঙ, শুশুক, কাছিম

তারপর হাজারো মাইল ঘুরেছি পথে
চেনা পথের যে গলিতে তুমি থাকতে
সেই গলি আর চিনে ওঠা হয়নি আমার।

আচ্ছা তুমি, মনে করো
আমি হয়ে গেছি বুড়ো
হাত পা দাঁত সব, নড়োবড়ো।
ভালোবাসবে কি আমায়,তার পরও???

প্রতিক্ষণে
হেঁটে চলি যতনে
ধীরে চলা
স্বচ্ছ জল-বালু ঘোলা,

রেইল অফিসের বড়বাবু নিখিলেশ চ্যাটার্জী,
ঢাকার কমলাপুরে ঠাকুর পারায় তার
দুই তলা বাড়ি।

পার্থিব কি অপার্থিব জানিনা
আকাশটা আরেকটু বড় হলে
আমার দৃষ্টির স্বল্প দৈর্ঘেও হয়তো
অনেক মেঘের আনাগোনা হতো ।