: (এই মালটা আবার কে?) এই যে । এতরাতে এখানে কি করছেন ?
: অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী বানাই।
: এসব ধান্দাবাজি কবে থেকে? দিনের বেলা কি করেন?
: দিনের বেলায় পেট চালানোর কাজ করি। আর রাতের বেলা নেশায় ডুবে যাই।

অটোতে বসে বসে ভাবছি কি দরকার ছিল মানুষের মধ্যে জাতি,বর্ণ, গোত্র, ধর্ম সৃষ্টি করার, আমরা মানুষ শুধু মানব ধর্মই যথেষ্ট ছিল নাকি?? এসব ভাবনার মধ্যে কখন যে অটো কলেজ গেটে চলে আসছে সে খেয়াল করিনি। অটোওয়ালা বলল মামা গেটে নামবেন না?

আমি সারাদিন কাজ শেষে বাড়িতে এসেছি।এসে অনেক সময় বিশ্রাম নিলাম,কিন্তু আমার মনের মধ্যএ কি যেন একটা শুন্যতা বিরাজ করছে।কি যেন আমার করা হয়নি।

শহর ছেড়ে পালাতে পালাতে সবাই যেন ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। একটা নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে সবাই হন্যে হয়ে দিগ্বীদিক ছুটে চলেছে অহোরাত্রী। হানাদার বাহিনীর টহল এড়িয়ে শহুরে ফাঁকা রাস্তা পেরিয়ে এদিক ওদিক এখনো দু’চার জন লোক দৃষ্টিগোচরে আসে

এমন সময় হঠাৎ করেই এক ঝলক দমকা শীতল বাতাস প্রবাহিত হল। আশেপাশের গাছের পাতাগুলোতে সেই হাওয়ার গুঞ্জন শুরু হল। তারপরে কিছু না বুঝে উঠার আগেই ঝুম বৃষ্টি। হঠাৎ গগনঝরা জলের শীতল স্পর্শে কেঁপে উঠলাম।

রফিক আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবোনা।
আমিও জান আমিও, খুব আবেগ দিয়ে মেয়েলি আর আহ্লাদী গলায় একটু জিহ্বায় বাজিয়ে উত্তর দেয় রফিক, আমিও তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত বাঁচতে পারবোনা জান পাখি।

সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশদিয়ে কামাল ও তার বন্ধুরা হেঁটেযাচ্ছিল। সে দিনছিল ছুটিরদিন। এদিন যদি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে হাঁটা যায় মনে পড়ে সেই ব্যস্ত সময়গুলির কথা।মনে পড়ে তখন নিজেদের যান্ত্রিকতার কথা।

সবুজ ঘাসের উপর চুপ করে বসে থাকতে রাশেদার বেশ ভালোই লাগছে। চারিদিক অন্ধকার করে আসছে। সূর্যটা ডুবে গেছে অথচ তার ঘরে ফিরতে মন চায়ছে না ।

আজ রামদুলালের দিনটা ভালোই যাবে মনে হচ্ছে।
মনটা বেশ ফুরফুরে। সকালটা খুব ভালো লাগছে। দেহে কোনো ক্লান্তি নেই। প্রতিদিন খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হয়, তাও হয়নি। প্রায়ই রাত জাগতে হয়। গতকালও সারারাত জেগে ছিলো।

অর্পার ফোন গত তিন‌দিন অার খোলা পায়‌নি। অ‌নেক অ‌ভিমান নি‌য়ে রা‌গে ক‌ষ্টে সুমন চ‌লে গে‌লো। অা‌মিও অার খোজ নেবার চেষ্টা করলাম না। কো‌চিং এ যাবার সময় ভুল ক‌রে ফোনটা বাসায় রে‌খে গি‌য়ে‌ছিলাম।