সময়ের ঘড়ি আপন ধারায়
পথ হারাবি যদি___
এমনি করেই মরু বুকে
ধূসর চোখে সবুজ এঁকে
চিবুক ছুঁয়ে কান্না ঢেকে
নিঃস্ব হাতে আঙুল রেখে
খরস্রোতা নদী।।

পথের ধুলোয় হারিয়েছে পথ,
ঝড়ো হাওয়ায় মুঁছে গেছে গন্তব্যের রেখা,
গোলক ধাধাঁয় ঘুরছে যার সময়,
আমি সেই অগন্তুক ।।।।।

ল্যাম্প পোস্টের নীচে খোঁড়া কুত্তার মত
ঝিমোতে থাকে নির্জন অন্ধকার
ননীর চায়ের দোকানের মাটির উনোন
লীনতাপ ছেড়ে ক্রমশ শীতল হয় ভোরের উপকন্ঠে

আমার ভালবাসা সাগরের মত
যা কিনা অনেক গভীর
আমার ভালবাসা গোলাপের মত
যার সৌন্দর্য তুমি ধারন করো

হতে পার তুমি একজন কবি
তবে?লাগবে একটি ছবি
ছবির মত একটা মন।
যে দেবে প্রেরণা, কত দুঃখ কত বেদনা

অনেকদিন কোন সুসংবাদ পাইনা
সুসংবাদের অসুখ করেছে বোধহয়
তাই বহুদিন কোন সুসংবাদ আসেনা।
বাতাস কেমন ভারী ভারী লাগে এই অসময়ে।

স্রষ্টা তোয়াম অশেষ কৃপা,
যাদের জন্য দেখাতে পেলাম তোমার নিপুণতা।
তোমার তরে তাইতো আমি জানাই নিবেদন,
সুখে রেখো মা-বাবাকে তুমি সর্বক্ষন।

তখন বয়স আঠার কিংবা বিশ
এক যে ছিল ভীরু “মেঘ বালিকা”
করেছিলাম প্রেম নিবেদন-
ওমা! সে কি; করলো নালিশ।

আজকের সন্ধ্যার আকাশ গলে নেমেছিল এক ঝাঁক নিয়ন আলো
জানালার বেঁকে যাওয়া গ্রিলের ধুলো মাখা পটে
নিষ্পাপ ধূষর বর্ণদের মিছিলে
মিশে ছিল চুপিসারে এক সমুদ্র কালো জল।

অধরা অতীত ফিরে আসে বারে বারে
কাব্যের উপমায়, কথাচ্ছলে, হাসি-কান্নায়
চোখের জলে ছল ছল করে ফিরে আসে
জ্বল জ্বল করে ভাসে অতীত।