মাগো তোমার কারনে এ পৃথিবীতে আমার আবির্ভাব,
জন্মের পর দাওনি যে বুঝতে কোনো কিছুর অভাব।
নতুন আনন্দের সাড়া পেয়ে ভাই বোনেরা মা কে যেওনা ভুলে,
মায়ের দোয়া ছাড়া তোমার সব ইবাদাত থাকবে যে ঝুলে।

জন্মেছি মোরা এই মাটিতে,মাটি আমার মা।
বাংলা মায়ের মাটি আমার,আসল ঠিকানা।
মাটির তরে জীবন দিব,রাখব মাটির মান।
বাংলা মায়ের মাটি আমার,খোদার সেরা দান।

সময়ের ঘড়ি আপন ধারায়
পথ হারাবি যদি___
এমনি করেই মরু বুকে
ধূসর চোখে সবুজ এঁকে
চিবুক ছুঁয়ে কান্না ঢেকে
নিঃস্ব হাতে আঙুল রেখে
খরস্রোতা নদী।।

মিহি আঁধার দেখে দু'চোখ জুড়ায়
ছুঁতে না পারার কষ্ট কাঁদে বুকে
নির্জনতায় তারার আলোয় ভালোই ছিলাম
নকল আলোয় শব্দনগর ভীষণ জ্বালায় সুখে

আমি মানুষ হতে চাই,
সবার সাথে হেসে-খেলে কথা বলতে চাই,
কাঁধে হাত রেখে হাঁটতে চাই সবার সাথে।
ভেঙে দিতে চাই সামাজিক-বাঁধন।

এক আকাশের নিচে, হাজারো গল্পের ভীড়ে
এক পৃথিবীর সমস্ত কবিতায় গল্পের গভীরে
একটি মৌমাছির কথা, মৌচাকের মধুকোষে
একটি ঢিল একটি গল্প, মৌমাছির কষ্টভূবনে।

বিনা কারণে অপবাদের বোঝা মাথায় দিয়েছ ,
ভেঙ্গে দিয়েছ জীবনের সব চাওয়া পাওয়া গুলো ,
স্বপ্নের নায়ে যা তুলে রেখে ছিলাম তা আজ
ভাসিয়ে দিয়েছ অথৈ সাগর জলে ।

পথে পথে ঘোরা হাজারো ক্ষুধার্তে করেছ কি ভ্রূক্ষেপ?
অশ্রু সজল চোখে ডুবে আছে দুমুঠোর আক্ষেপ।
চায় না ইলিশ,চায় না আমিষ,চায় নাকো মুগের ডাল।
কাঁচা লংকা আর দুমুঠো হলেই কেটে যায় দিন কাল!

ল্যাম্প পোস্টের নীচে খোঁড়া কুত্তার মত
ঝিমোতে থাকে নির্জন অন্ধকার
ননীর চায়ের দোকানের মাটির উনোন
লীনতাপ ছেড়ে ক্রমশ শীতল হয় ভোরের উপকন্ঠে

আমাকে অক্ষে রেখে
পেছনে ধোঁয়ার রশি কিংবা ধুমকেতুর লেজের মত
বুঝতে পারি ছুটে যাওয়া তোমার আনাগোনা
ছুঁয়েও যেন ছুঁবে না আমায় !