জেগে জেগে মিষ্ দুঃস্বপ্ন দেখছে যেন মাহফুজ।আজ তার আসমার কথাগুলো খুব মনে পড়ছে।তাই দাড়িয়ে দাড়িয়ে বারান্দায় ঘুমচোখে সেইদিনগুলি মনে করতে লাগল সে।

জানালার ছেড়া পর্দা দি‌য়ে বৃ‌ষ্টির ছাট ঢু‌কে টে‌বি‌লে রাখা বই খাতা ভি‌জি‌য়ে দি‌চ্ছে । আকা‌শে মুহুর্মুহ বজ্রপা‌তের তীব্র নিনাদে প্রক‌ম্পিত চারপাশ । সেই সা‌থে ঝ‌ড়ো হাওয়ার মাতম ..........

এমন এক সাঁঝেরবাতি জ্বলা ছোট্ট ট্রলারে। তুরাগের মাঝবুকে। এক মধ্যরাতে। তারা ছিল আকাশে। মেলা চলছিল বোধহয় ওদের। আকাশের মেঘবালিকারা ইয়াবা সেবন করেছিল বুঝি সে রাতে। তাই নির্ঘুম। ঢেকে রাখছিল চাঁদ কে।

ঘুম ভেঙ্গে গেল। জানালা দিয়ে তাকিয়ে স্বল্পালোকিত আকাশে। এটাই অভ্যাস ।
আবার ঘুমিয়ে যাই ইচ্ছে হলে। আমার মনে হল খুব চাপা ক্ষীণ কণ্ঠের কান্নার আওয়াজ। বিড়াল নয়তো ! আবারো শুনলাম এবং উঠে দরজা খুলে গেটের দিকে এগুলাম

ছেলেটি বায়না ধরেছে এবার কোরবানির হাটে বাবাকে সাথে নিয়ে গরু কিনবে।প্রতি বছর বড় চাচা হাটে যায় কিন্তু বাবা একবারও হাটে যায়না। প্রশ্ন করলে বাবা কোন উত্তরদেয়না। এবার ছেলেটি গোধরেছে বাবাকে সাথে নিয়েই হাটে যাবে।

খুব কাছের কেউ তার বিশ্বাসের জগৎ ধোয়াটে করেছে। দুই সপ্তাহ ধরে মধ্য রাত অবধি ল্যাবে মেশিনের সামনে বসে থাকে। টনে টনে পানি তাকে বাষ্পীয়ভাবে উড়াতে হয়।

খামের ওপরে লেখা ঠিকানাটা অস্পষ্ট হয়ে গেছে। প্যাচপ্যাচে কাদায় ঢুঁড়ে ফেলেছি শহরের যত গলি, কিন্তু দেখা পাইনি একটা লোকেরও।

আমি শুনেছি আপনি খুব ভালো লেখেন। আমার জীবন নিয়ে একটা গল্প লিখবেন?’
আমি চোখ সরু করে তাকালাম আমার সামনে দন্ডায়মান প্রায় ছয় ফুটের কাছাকাছি উচ্চতার দীর্ঘকায় মানুষটার দিকে। উজ্জ্বল ফর্সা লোকটির গায়ের রঙ।

খুকি আজ খুব করে সেজেছে। টকটকে লাল রঙের একটা ফ্রক পরেছে আর মাথায় লাল রঙের ব্যান্ড। কি দারুন লাগছে খুকিকে!মিঃ আরিফ অবশ্য সাজিয়ে দিয়ে খুব এক্সপার্ট। খুকিকে অন্য দিনের মত সাজিয়ে গুজিয়ে দিয়েছেন,এবার বাইরে বেরুনোর পালা।

মৃতদেহগুলো চক্রাকারে সাজানো, যেন কেউ খুব যত্ন করে আল্পনা এঁকেছে। কি ভয়াবহ পৈশাচিকতা! চক্রের ঠিক মাঝখানে আমি দাঁড়িয়ে.. আতঙ্কিত? একদম না! আমার পায়ের কাছে চিৎ হয়ে পড়ে থাকা জানোয়ারটা মানুষের মত দেখতে, তার চোখে তীব্র ভয়।