আমার প্রাপ্তি,আমার অধিকার
করোনা কেউ হরন-
আমি দূর্বল, আমি অসার
আমার উপরে করনা বিচরণ।

বুকে আমার অসীম শূণ্যতা, তাই
নেত্র তুলে উর্ধ্বপানে চাই
বুকের যত ক্ষুধা, ক্রোধ, শ্লেষ যেন হারায়
মহাকাশে মহাশূণ্যতায় ।

মানুষের বেসে ওরা ওঁত পেতে থাকে
জীবন বিপন্ন করে রক্তাক্ত আচঁড়ে
দুমড়ে মুচড়ে দেহে বিষাক্ত কামড়ে
পিকাসোর দগদগে গোয়ার্নিকা আঁকে।

জীবনের সব চাওয়া পাওয়া
সব অপূর্ণতা আমি ভুলে যাই
তোমাকে পাওয়ার পর

এত সহজ নয়, শেষ পথটুকু শেষ হবার আগেই,
গুপ্তচর কিছু নিঃশব্দ তরঙ্গের ফিরে যাওয়া পর্যন্ত,
পড়ন্ত বিকেলে চটজলদি খুশি কিংবা টুকরো বেদনার

শেষমেশ হিজড়ার হাতে তুলে দিলি প্রেম
ভালোবাসা চুমু সঙ্গম ছোঁয়াছুঁয়ির নিরাপত্তা ।
অসুস্থ কন্যা চিৎকার করে বলছে ‘এ আমার বাবা’

অবাক হয়ে তোমার দিকে তাকিয়ে রই -
তুমি কি প্রেমিক, না কোনো দেবতা
যে নিজের ইচ্ছেগুলোকে নিমেষেই বিসর্জন করো প্রিয়ার তরে!

এই দিনটি কবে,
দেখবো আমি হবে?
নারীরা করবে পর্দা, লোকিয়ে থাকবে বাড়ি!
ছেলেরা পড়বে নামাজ, মুখে থাকবে দাড়ি!!

আমাকে নিয়ে যাবে অজানা তলদেশে
অচেনা এক পাখির দল,
আমারে আমি ছেড়ে নিথর দেহের স্বপ্ন ভেঙ্গে
আমি কী থাকবো সেই অবিকল?

কবে থেকে গাছটায় পড়ে নি এক ফোটা জল,
ডালপালা শুকিয়ে খটখটে হয়ে গেছে।
টিকে আছে শুধু নগ্ন দেহখানি কোমল মৃত্তিকায়,
বাঁচায় স্বপ্ন নিয়ে চেয়ে আছে।