সাব্বির এর ঘুম খুব সকালে ভেঙ্গে গেলো। হাতের পাশে ঘড়ি রাখা কিন্তু তার সময় দেকতে ইচ্ছা করছে না। আজ সে শ্যালী কে সপ্ন দেখেছে।

তুমি কি কোথাও চলে যাচ্ছ?
- হুঁম।
- আর ফিরবে না?
- কী করে বলব? ফেরার কোন পথ নেই।
- আমি কী তাহলে শূণ্য হাতে ফিরে যাব?

জাহিদের মুড টা আজ খুব ভাল । গত মাসের শেষেই অন্য একটা কোম্পানীর জয়েনিং লেটারটা ওর হাতে এসেছে কিন্তু বাসার সবাইকে সারপ্রাইজ দেবার জন্য অনেক কষ্ট করে এ রকম একটা সুখবরকে মনের গভীরে চাপা দিয়ে রেখেছে ।

ছেলেটা নোটগুলোর দিকে তাকিয়ে বলল, এতো টাকা কী জন্য?
- রাখ, তোকে দিলাম।
- কিন্তু আপনার বাজার তো টানলাম না।
- তুই বাচ্চা মানুষ এই ব্যাগ টানবি কি?
- স্যার আমি বাচ্চা না। এই কাম কইরাই আমার সংসার চলে।

হ্যাঁ এটা শুরু করতে হবে বাবা মা আর শিক্ষকদেরকে সন্তানদের ছোট বেলা থেকেই, সুন্দর পৃথিবীতে সুস্থ নাগরিক তৈরির আশায় । সবার আগে ত্যাগী হওয়া লাগবে ” -বলে সাদেক বক্স

ভেতরে উঁকি মারার সময় মর্গের দরজাটায় হাত রেখেছিলাম। সেখান থেকে হাতে রক্ত লেগে গেছে। হাতটা চটচট করছে। অফিসে পৌঁছে ভালো করে হাতটা ধুতে পারলে শান্তি।
হাসপাতালের গেট পার হতেই দুজন ঘিরে ধরলো। এরাও সাংবাদিক- চেহারা দেখে মনে হচ্ছে এরাও ভয় পেয়েছে।

কিরে সাইফ কি করছিস? চল ঘুরে আসি। হঠাৎ বিকেল বেলা কাইফ সাইফের রুমে এসে হাজির।
- তুই এ সময়! কি মনে করে?
- কিছু মনে করে না। হঠাৎ তোর কথা মনে পড়ল তাই চলে আসলাম। ছাড়া অনেকদিন যাবত ভাবছি তোর সাথে একটা কথা শেয়ার করব?
- কি কথা?
- চল এখানে নয় অন্য কোথাও গিয়ে বলব।
- কোথায় যাবি?
- নদীর পাড়ে।

'এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা। জেনে কি করবেন? বাটি চালা দিয়ে চোর ধরবেন?'
'আপনি চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে টাকা বের করে দিতে পারবেন ?'
'আমি তো চুরি করি নাই, আমি চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে কোত্থেকে বের করব? আপনি কি আমার সাথে তামাশা করেন?'
মাকসুদ সাহেব একটু হেসে ব্যাগ থেকে খামটা বের করে কাদের সাহেবের দিতে বাড়িয়ে দিলেন।
'ভাই, টাকা পয়সা একটু সাবধানে রাখবেন। '

নৈহাটি স্টেশনে অনেকক্ষণ ধরে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করে আছি।স্টেশনটা বেশ নির্জন।এই নির্জনতাই এখন আমার কাছে প্রিয়।মনে হয় পৃথিবীর সমস্ত কোলাহোল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে অন্য কোন ভুবনে আছি।

খুঁজতে খুঁজতে একদিন হারিয়ে যাবো ,অন্তর্নিহিত অর্থে
সেদিন, এই চলাফেরা ,শব্দের সুঠাম শরীরে, অথবা
ফুটপাথের পাশে এলুমিনিয়াম বাটিতে ,কাঁদতে থাকা
আমাদের আধুনিক সভ্যতার মিউজিয়াম ,-