মানুষের মান নির্ধারন মাপকাঠিতে আমার অবস্থান নিচের দিকে নির্দেশ করবে হয়ত শূণ্যের কাছাকাছি। প্রচন্ড আবেগ আমাকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করে। প্রচ্ছন্ন চাওয়াগুলো এত বেশী ভিত-সন্ত্রস্থ ওষ্ঠোযুগোলের ভেতরেই তারা যেন স্বচ্ছন্দ, স্বতঃস্ফুর্ত।

কপাল আর নাকের ডগার ঘাম মুছে মবিনের দিকে এগিয়ে আসে নিকোবার-টেন। খেলতে খেলতে ঘেমে গেছে। যদিও ঘামগুলো কৃত্রিম। মানুষের সবকিছু নকল করার প্রয়াস আর কী!

"ঘুষি মারছে না। ওরা স্লোগান দিচ্ছে। হাত তুলে স্লোগান দিচ্ছে।"

"স্লোগান দিচ্ছে কেমন করে? শব্দই তো বের হচ্ছে না।"

ধুর এমন একটা নাম যার কোন মানে নেই। কি লাভ এইসব বাহারি নাম রেখে? আজকালকার দিনে এইসব নাম রাখাটা একটা ফ্যাশান হয়েছে বটে। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি।

শুনেছি প্রাচীনকালে কেউ তার বাবা-মাকে ওল্ড হাউসে রেখে আসলে সবাই সেটাকে খারাপ চোখে দেখত। যে সন্তান তার বাবা-মাকে ওল্ডহাউস বা বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসত, সবাই তাকে ধিক্কার জানাত-অভিশাপ দিত। প্রাচীনযুগের ঈশপের গল্পটিও আমি পড়েছি ই-লাইব্রেরি থেকে।

আমার কাছেতো স্যার এসব সাইন্স ফিকশন এর মত মনে হচ্ছে'।
শাহিন সাহেব আবার হেসে বললেন,'দুনিয়ার এক প্রান্তে যেটা সাইন্স ফিকশন অন্যপ্রান্তে সেটা সুধুই সাইন্স'।
আমরা পরের স্টলে চলে গেলাম সেখানে নাকি কৃত্তিম পাহাড় বানিয়ে মেঘকে বাধা দিয়ে বৃষ্টি নামানো দেখাচ্ছে।

সন্ধ্যা হয়ে এলে মা বলল , আসল রজণীগন্ধার সেন্টযুক্ত ধূপকাঠির ব্যবস্থা করতে বল মিশিকাকে । আর সন্ধ্যা মুখার্জির ‘এসো মা লক্ষ্মী - -‘গানটা দিয়ে দে । মুহূর্তেই ওয়েভ পর্দায় রজণীগন্ধার তাজা ফুলের ছবি আর একপাশে সন্ধামূখার্জির ছবি ফুটে উঠল আর ঘরটা ভরে গেল রজণীগন্ধার সুবাসে আর সন্ধ্যার গানে ।