যে যার রাজত্বের রাণী,
স্বাধীনতার দিবস তুমি।
চৌয়াল্লশ বছর আগে,
তোমাকে এনেছিলাম রক্ত দিয়ে।

এখানে আমার বাবার কবর
এখানে পাশের ঘরের মেহের হোচেন
এখানে বাবার বন্ধু কাকা নন্দলাল
এখানে আমাদের স্বপ্ন ধূলিস্মর--

সেদিন কেউ ছিলোনা,
যেদিন মন্বন্তরে কেঁদেছিলো বাংলার আকাশ,
আমি সে বাংলার কথা বলছি যে বাংলায় মৃতদের গন্ধে ভরা ছিলো বাতাস l

বিজয় বিজয় বিজয়
হে দে তোরা বিজয়ের উল্লাস,
মার তোরা চাবুক,
পাক হানাদারকে করে দে লাশ ।
জয় জয় হে বাংলার জয়,

তোমরা ভেবেছ আমি কংক্রিটের জড়
দাঁড়িয়ে আছি ঠাঁই বোবার মত।
আমার পেছনে রয়েছে হাজার বছরের ইতিহাস।

বাঙা‌লি কি কখনও ভুল‌বে
ঊনপঞ্চা‌শের মড়াকা‌হি‌নির বিষাদ,
কথা ব‌লে আজও ম‌নে পড়া‌তে
শিল্পচার্য জয়নু‌লের আকা শিল্পপট।

স্বাধীনতা তুমি
আমার বোনের রঙিণ-চুড়ি,
স্বাধীনতা তুমি
আমার ভাইয়ের নাটাই-ঘুড়ি!

ক্লান্ত কায়ার রগরগে ঘামে, যখন
অস্থিরতা বিক্ষিপ্ত
এক গ্লাস ডাবের জলে, তখন
সিঁড়ি আসে নেমে অমরাবতী ছোঁয়ার।

কিসের এত রব, এত আয়োজন, এত কেন বাধা সোরগোল,
মাগো কেন আজ এত ক্রন্দন, নেই কেন প্রাণ হিল্লোল।
মলিন বসনে ভূমিতে বসিয়া কভু দেখি নাই মুখ লুকাতে,
তোমার কি মাগো দুঃখ অনেক, চাও কি দুঃখ ঢাকিতে?

প্রজন্ম যায় প্রজন্ম আসে
আর আমরা শুনে যাই সেই
ঘ্যানঘ্যানে ভাঙ্গা রেকর্ড-
‘তরুণেরাই পাল্টে দেবে সবকিছুই,’
তবুও এই দেশ থেকে যায় আগের মতই