যে যার রাজত্বের রাণী,
স্বাধীনতার দিবস তুমি।
চৌয়াল্লশ বছর আগে,
তোমাকে এনেছিলাম রক্ত দিয়ে।

প্রজন্ম যায় প্রজন্ম আসে
আর আমরা শুনে যাই সেই
ঘ্যানঘ্যানে ভাঙ্গা রেকর্ড-
‘তরুণেরাই পাল্টে দেবে সবকিছুই,’
তবুও এই দেশ থেকে যায় আগের মতই

স্বাধীনতা !
পেয়েছো কি তুমি পূর্ণতা
নাকি আজো সংবিধানেই আটকা ৷
কোথায় তুমি স্বাধীনতা ?

এখানে আমার বাবার কবর
এখানে পাশের ঘরের মেহের হোচেন
এখানে বাবার বন্ধু কাকা নন্দলাল
এখানে আমাদের স্বপ্ন ধূলিস্মর--

মা তুমি আছ কেমন?
ভাল নেই একটু খানি।

আমি তোমার মানিক রতন,
এটাই শুধু জানি।

বিজয় বিজয় বিজয়
হে দে তোরা বিজয়ের উল্লাস,
মার তোরা চাবুক,
পাক হানাদারকে করে দে লাশ ।
জয় জয় হে বাংলার জয়,

“আমার ভাষা মধুর ভাষা
এ আমার মাতৃভাষা,
এ আমার প্রানের ভাষা
এ এক যাদুর ভাষা,
শহীদের রক্তে গড়া
যুদ্ধ করে ছিনিয়ে আনা
এ আমার বাংলা ভাষা ।

স্বাধীনতার পেরিয়ে গেল আটষট্টি বছর,
স্বাধীন হবার নানা রঙ্গে মেতে ওঠে শহর।
এখানে-ওখানে উড়ছে পতাকা সেও স্বাধীন হবে;
স্কুলের থেকে ছেলেরা সব ফিরছে লাড্ডু হাতে,

মানিনে তোর বদ্ধ ঘরে
রুদ্ধ হয়ে থাকা,
মানিনে তোর আঁচল তলে
মুখ লুকিয়ে রাখা।

মানুষের রক্ত মানুষের খাদ্য এখন
রোজ রোজ দিকে দিকে রক্ত ক্ষরণ
ফিলিস্তিন, ইরাক , কিম্বা আফগানিস্তান
হায়নার ছোবলে উড়ছে মরণ নিশান।