অপেক্ষার প্রহর চোখের পানি শুকিয়ে রক্ত গড়িয়ে পরে।
ভালবাসার কষ্ট কলিজা ছিঁড়ে খায়।
ঝগড়াটে মহিলার কথার কচকচানী
অথবা একাকী রাত্রিযাপনকারী বৃদ্ধের তীব্র শীতের কুকানী।

কতটা কষ্ট দিলে কাঁদবে তুমি
চোখেরি নোনাজলে ভাসবে তুমি।

আমি তো বেঁচে আছি কষ্ট সয়ে
তোমাকে ভালোবাসার মাশুল গুণে,

দুই চোখে এঁকে নিচ্ছি, শুধু তার ভ্রু ভঙ্গিমা;
পাথর ভাঙেনি তাও। নদীও শেখেনি জলসীমা।

হঠাৎ মনে প্রশ্ন জাগে, তোমারই অনুরাগে
বেলা ফুরায়ে এল, যখন মুখ ফিরায়ে নিলাম, তখন –
চোখ ভেসেছিল কি?
কান্না এসেছিল কি?

অনেক কিছুই ভোলার করো চেষ্টা
ঢেলে আকুল প্রান ঢেলে তাবৎ নিষ্ঠা
শীতল হাওয়ায় চাদর চাপিয়ে গায়ে

ভেবেছি এবার স্মৃতিগুলোকে,
আত্মহত্যা করিয়ে নেবো।
ওরা ঠিকই আপত্তি করবে,
কিন্তু এ যাত্রায় এটাই ওদের শ্রেয়।

বনে -জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে
তাহারেই করি স্মরণ,
তাহার প্রেমে হলাম বৈরাগী
পথ চলি যেথায় তাহার ছিলো বিচরণ।

এখনও কি মেলো চোখ সূর্যের আগে
পা ধোও শিশির সিঞ্চনে?
এখনও কি চুপি সারে হেঁটে যাও

সুচিন্তা সেই যে চলে গেছো,
সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে
এই অব্দি আমার ত্রিশের কোঠায় পা রেখে

মেঘের দেশে ভেসে ভেসে যায় উড়ে
বলাকা পাখায় ভর করে যায় সুদূরে
ভালোবাসার কষ্ট থেকে থেকে যায় হারিয়ে
সমুদ্র সীমানায় পাহা‌ড়ের চূড়ায় যায় পালিয়ে