এমন কি যাদু আছে তোমার ঐ মুখ নিঃসৃত কণ্ঠে-
ধ্বনিত হয় প্রাণের সকল প্রান্তে;
পুলকিত হয় হৃদয়ে হরেক ফুল ফুটে ফুটে।

মেঘের দেশে ভেসে ভেসে যায় উড়ে
বলাকা পাখায় ভর করে যায় সুদূরে
ভালোবাসার কষ্ট থেকে থেকে যায় হারিয়ে
সমুদ্র সীমানায় পাহা‌ড়ের চূড়ায় যায় পালিয়ে

অপেক্ষার প্রহর চোখের পানি শুকিয়ে রক্ত গড়িয়ে পরে।
ভালবাসার কষ্ট কলিজা ছিঁড়ে খায়।
ঝগড়াটে মহিলার কথার কচকচানী
অথবা একাকী রাত্রিযাপনকারী বৃদ্ধের তীব্র শীতের কুকানী।

দুই চোখে এঁকে নিচ্ছি, শুধু তার ভ্রু ভঙ্গিমা;
পাথর ভাঙেনি তাও। নদীও শেখেনি জলসীমা।

“আহা! তুমি কাদছো কেন? সামলাও নিজেকে।”
দূর সম্পর্কের এক চাচা এসে বললো আমায়।

নষ্ট হবার পথে আছি
নষ্টই হতে চাই,
এ পৃথিবী আমার হবে
নষ্ট হলেই ভাই।

ভাল লাগা থেকে ভালবাসা হয়
হোক সে কুৎসিত বা কালো
কথা বলতে বা শুনতে ভাল লাগে
গল্পে গল্পে চলে যায় দিনের আলো।

জীবনভর বয়ে চলা এই মায়াময়ী বিষাদ
সেই হ্যামলকের বিষ ও সত্যের আস্বাদ
শতাধিক পিরামিড জাগে পৃথিবীর বুকে ।

তাকে আমি ভালোবেসেছিলাম
হায় মোর চোখ ছিলো অন্ধ।

একদিনের মুখোমুখী মুখ
কেউ কেউ মালা গেঁথে অপেক্ষা করে সারা জীবন
সময়ের স্রোতে নুড়ি গড়িয়ে গড়িয়ে জমতে থাতে আত্ম-দ্বন্দের মোহনায়
গড়ে অবিশ্বাসের ভীত, ভাঙতে থাকে- ভেঙে পড়ে নরম হৃদয়।