অপেক্ষার প্রহর চোখের পানি শুকিয়ে রক্ত গড়িয়ে পরে।
ভালবাসার কষ্ট কলিজা ছিঁড়ে খায়।
ঝগড়াটে মহিলার কথার কচকচানী
অথবা একাকী রাত্রিযাপনকারী বৃদ্ধের তীব্র শীতের কুকানী।

একদিনের মুখোমুখী মুখ
কেউ কেউ মালা গেঁথে অপেক্ষা করে সারা জীবন
সময়ের স্রোতে নুড়ি গড়িয়ে গড়িয়ে জমতে থাতে আত্ম-দ্বন্দের মোহনায়
গড়ে অবিশ্বাসের ভীত, ভাঙতে থাকে- ভেঙে পড়ে নরম হৃদয়।

তুই বুঝলিনারে মন,
শুধু করলি জ্বালাতন।
যাকে তুই বাসলি ভালো,
নয়সে তোর আপন।।

সুচিন্তা সেই যে চলে গেছো,
সাত সমুদ্র তেরো নদীর ওপারে
এই অব্দি আমার ত্রিশের কোঠায় পা রেখে

তাকে আমি ভালোবেসেছিলাম
হায় মোর চোখ ছিলো অন্ধ।

ভেবেছি এবার স্মৃতিগুলোকে,
আত্মহত্যা করিয়ে নেবো।
ওরা ঠিকই আপত্তি করবে,
কিন্তু এ যাত্রায় এটাই ওদের শ্রেয়।

দুই চোখে এঁকে নিচ্ছি, শুধু তার ভ্রু ভঙ্গিমা;
পাথর ভাঙেনি তাও। নদীও শেখেনি জলসীমা।

মেঘের দেশে ভেসে ভেসে যায় উড়ে
বলাকা পাখায় ভর করে যায় সুদূরে
ভালোবাসার কষ্ট থেকে থেকে যায় হারিয়ে
সমুদ্র সীমানায় পাহা‌ড়ের চূড়ায় যায় পালিয়ে

হঠাৎ মনে প্রশ্ন জাগে, তোমারই অনুরাগে
বেলা ফুরায়ে এল, যখন মুখ ফিরায়ে নিলাম, তখন –
চোখ ভেসেছিল কি?
কান্না এসেছিল কি?

বনে -জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে
তাহারেই করি স্মরণ,
তাহার প্রেমে হলাম বৈরাগী
পথ চলি যেথায় তাহার ছিলো বিচরণ।