এমন কি যাদু আছে তোমার ঐ মুখ নিঃসৃত কণ্ঠে-
ধ্বনিত হয় প্রাণের সকল প্রান্তে;
পুলকিত হয় হৃদয়ে হরেক ফুল ফুটে ফুটে।

তুই বুঝলিনারে মন,
শুধু করলি জ্বালাতন।
যাকে তুই বাসলি ভালো,
নয়সে তোর আপন।।

একদিনের মুখোমুখী মুখ
কেউ কেউ মালা গেঁথে অপেক্ষা করে সারা জীবন
সময়ের স্রোতে নুড়ি গড়িয়ে গড়িয়ে জমতে থাতে আত্ম-দ্বন্দের মোহনায়
গড়ে অবিশ্বাসের ভীত, ভাঙতে থাকে- ভেঙে পড়ে নরম হৃদয়।

অভিধানে জমেছে অসীম অভিমান
অযুহাতে রুদ্ধ হয়েছে অবচেতনের অনুমান।
ভাবনারা তবু খোঁজে নিরবধি
আমার অভিধানে কবিতার আখ্যান

অপেক্ষার প্রহর চোখের পানি শুকিয়ে রক্ত গড়িয়ে পরে।
ভালবাসার কষ্ট কলিজা ছিঁড়ে খায়।
ঝগড়াটে মহিলার কথার কচকচানী
অথবা একাকী রাত্রিযাপনকারী বৃদ্ধের তীব্র শীতের কুকানী।

কতটা কষ্ট দিলে কাঁদবে তুমি
চোখেরি নোনাজলে ভাসবে তুমি।

আমি তো বেঁচে আছি কষ্ট সয়ে
তোমাকে ভালোবাসার মাশুল গুণে,

স্নিগ্ধ কোমল রাত্রি, কখনো বা নীরব
কখনো ঝিঁঝিঁ কখনো ডাহুকের ডাক।
কভু মনে জাগে চাঁদের আলোর তৃষ্ণা
আলিঙ্গনে চুম্বনে কখনো অভিমানে

দুই চোখে এঁকে নিচ্ছি, শুধু তার ভ্রু ভঙ্গিমা;
পাথর ভাঙেনি তাও। নদীও শেখেনি জলসীমা।

হঠাৎ মনে প্রশ্ন জাগে, তোমারই অনুরাগে
বেলা ফুরায়ে এল, যখন মুখ ফিরায়ে নিলাম, তখন –
চোখ ভেসেছিল কি?
কান্না এসেছিল কি?