সেদিন খুব বৃষ্টি ছিল ,
ঝড় ছিলনা ছিল মূদু হাওয়া ;
আকাশ ছিল কালো মেঘে ছাওয়া ,

বৃষ্টিও নামলো অঝোরে
চারদিক লোকে লোকারণ্য
লুকোনোর স্থানও প্রায় শূন্য।
তাই পুরনো এক বন্ধুকে পেয়ে
ঢুকে গেলাম তার চেম্বারে।

তোমার ইলশেগুঁড়ি প্রেম
কেমনে ভেজাবে বল মরুময় বুক,
কেমনে দমাবে বলীয়ান সাইমুম?

বৃষ্টিরে তুই কাঁদিস কেন,
সকাল দুপুর রাতে??
তোর প্রিয়া কি কয় না কথা,
রাগ করে তোর সাথে??

যত বিতৃষ্ণা এক লহমায় যায় দূরে চলে, বৃষ্টি এলেই,
কী ফুরফুরে হাওয়া বয় দেহ জুড়ে, ভালো লাগে আমার
ভালো লাগে জমানো কর্মে মন দিতে,
দেহ যেন পাখিরর পালক, ছুটোছুটিতে নেই ক্লান্তি;
আমি বৃষ্টি ভালোবাসি তাই!

তোমাকে ছুঁয়ে দেয়া প্রতিটি বৃষ্টি ফোঁটাকে
তুমি মায়াভরে মাখো তোমার শরীরে।
তোমার স্পর্শে বৃষ্টিও যেন প্রাণ পেয়ে উঠে।
অথচ আমি পাই নি এমন স্পর্শ।

বৃষ্টি পরে টাপুর টুপুর
সকাল দুপুর রাতে,
নৃত্য তালে বৃষ্টি নাচে
রং মেহেদী হাতে!

এই মেঘ এই বৃষ্টি,
নিছক কেঁড়েছে দৃষ্টি!
এই প্রেম এই অনাদি সৃষ্টি,
এ যেন যুগল প্রেমের'ই সমষ্টি।

তোমায় কত কত ভালোবাসি
বোঝাতে পারি নাই যে আমি তা
ওগো প্রাণ বঁধুয়া তুমিও তো
বুঝে নিতে পারোনি সে কথা।

বৃষ্টি, ও বৃষ্টি,
তুমি কত মিষ্টি।
এলে মেঘের কোলে চড়ে,
এলো বাতাস রয়ে।
রিম ঝিম্ ঝিম্ বৃষ্টি,
তুমি বড়ো মিষ্টি।