অনেক ভাবনার পর আমি বুঝলাম
আর যাই হোক, এ আমার মোহ না,
তাকে নিয়ে আমার যত আল্পনা কল্পনা
আর ছন্দহীন ভাবে লিখে যাওয়া কবিতা।

বৃষ্টি এলো মুসলধারে -
প্রেমের উষ্ণতার ধোঁয়া ছড়িয়ে,
মজিলে প্রেমের রুপে, তবেই দেখা মিলে।

সেই বৃষ্টিতে
কেউ আর মনে রাখেনি
না জানাজায়
না কবরে
না স্মরণে
কিংবা সন্ধ্যার আড্ডায় ।

চারদিকে ঝুপ ঝুপ ঝিক ঝিক বৃষ্টি
ধুলো মাখা কাদা-জল ইচ্ছের সৃষ্টি
টোল পড়া এতটুকু জলের গোল্লা
শালিক আর শালিকিনীর ভিজবার পাল্লা

তোমার আর আমার মিলন বেলায়
অপেক্ষায় ছিল সমস্ত শ্রাবণ মেঘের দিন
বৃষ্টি ঝড়ে ঝড়ে বর্ষা এল যে,
গাঢ় আধার মিশে নিশুতি রাতে
ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাক শোনে কে ?

তোমাকে ছুঁয়ে দেয়া প্রতিটি বৃষ্টি ফোঁটাকে
তুমি মায়াভরে মাখো তোমার শরীরে।
তোমার স্পর্শে বৃষ্টিও যেন প্রাণ পেয়ে উঠে।
অথচ আমি পাই নি এমন স্পর্শ।

যত বিতৃষ্ণা এক লহমায় যায় দূরে চলে, বৃষ্টি এলেই,
কী ফুরফুরে হাওয়া বয় দেহ জুড়ে, ভালো লাগে আমার
ভালো লাগে জমানো কর্মে মন দিতে,
দেহ যেন পাখিরর পালক, ছুটোছুটিতে নেই ক্লান্তি;
আমি বৃষ্টি ভালোবাসি তাই!