সেদিনের পর আরো একদিন ফিরবো-
আমার ফেলে আসা বেলায় ,
আমার মায়ের কান্নায় বিদায় বেলায়,
অনেকদিন চেনা আদল না ছোঁয়ার সময়টায়।

শরীরের ছিদ্রে তেজস্ক্রিয়তার উপসংহার,
বুকে পা দিয়ে শতাব্দী হেটেছো তুমি,
পাঁজরে রেখে যাওয়া বিলাশবহুল ভালোবাসা,
কোথায়?

নিশীথ গভীরে
আধার ঘনীভূত পথে,
শীতনিদ্রিত শহরে
কুকুরকুন্ডলিত দেহে,
কেউ শুয়ে আছে।

শ্রাবণের মেঘগুলো ঝরছিল অবিরল
বৃষ্টির রিমিঝিমি সুরে বিমোহিত প্রতিটি ক্ষণ,
শ্রাবণের রাতে দাড়িয়েছিলে তুমি মোর পাশে-
স্নিগ্ধ সুরভিত যেন কাঁকন বেজেছিল ঘাসে।

বিধি কেন মানুষ হিসেবে পাঠালে ,
জন্ম থেকে তিলে তিলে জ্বালালে ?
নিঃস্ব জীবন নিঃস্ব গৃহ -
শৈশবে হারালাম মা কে ,
সৎ মা এসে তিলে তিলে মা রে !

অপরাজিত আকাঙ্ক্ষা। নিরুপদ্রব ছুটে চলা।
ঘাসফুল-ফরিং আর হল্লাবাজিতে খেই হারানো
এরই মধ্যে আকাশে নিদাঘ ঘন মেঘ। সেটাও কেটে যায়। রাত্রি নামে।
ঘোর গভীর বর্ষা। এখানেই বুঝি তাকে ধরা যাবে

আমি কেন দৈনন্দিন তোমার চাহিদার শীর্ষ কক্ষে?
উন্মাতাল এই হৃদয় রেণু কাছে টেনে নাও রমণী আপন বক্ষে!
আমিতো নিয়েছি সেই কবে তোমারে নিজের করে,

কেন কাছে এলে ?
কেন প্রত্যাশার আগুন জ্বালালে ?
আমি তো চাইনি তোমায় কাছে টানতে ,
চেয়েছি শুধু ভালবাসতে ;

ডায়রির পাতায় জমিয়ে রাখা অভিমানের ভিড়ে,
অনেক কথা না বলা আজও অভিমানটাকে ঘিরে।
অতীত আমায় পিষ্ট করে জ্বালিয়ে করেছে ছাই,
যায় না বলা কোন কিছু নীরব থেকে যায়।

মনের কূলে চর জেগেছে!
খেয়া ঘাটে বাঁধা!
বন‍্য পশু হন্যে হয়ে
জাগায় মনে ধাঁধা!