তুমি আমার মন আকাশে পায়রা হয়ে উড়েছিলে
স্তব্দ নিশি রাতে তুমি ধ্রুব তারা হয়েছিলে ,
তুমি আমার ভুল করা পথ ,পথিক হয়ে দেখিয়েছিলে।
এই জীবনের অন্ধকারে উর্ষা হয়ে উঠেছিলে।

ফেরার ছিল কথা , আঁধার পেরোতেই
বকুলের গ›ধমাখা এই রাতশেষে,
ঘড়িতে রাত বন্দী হয়ে গেছে হয়তো-

তোমাকে রজনী গন্ধ্যা ফুল ভেবে যদি ভুল করি
তবে তুমি কিছু মনে করনা,
ছোট ছোট আশাগুলো খুঁজে অনন্ত প্রেমের ঠিকানা
আঁধার রজনীর চাঁদ বাড়িয়ে হাত কেন ডাকে ?

সারাটি বুক জুড়ে ক্ষত
কান্নার বসবাস হৃদয়ে সতত।

আঁখিজল ঝরে না কভু
নিদারুণ দহন দেখেন শুধু প্রভু
আমার ভুবনে আমার ই বসবাস
সারাটিক্ষণ জুড়ে দুঃখের চাষবাস।

অন্ধকারের সাথে কেউ আলাপ করেনা
শুধু খোঁচা দেয়।

এদের জন্য কোন আলো নয়
দান অনুদান যতটুকু পেয়েছে পাচ্ছে

আমার সাথে হয়না দেখা তোমার;
পথ গিয়েছে দু'দিক পানে বেঁকে,
মনে আর পড়েনা এখন জানি,
তোমায়-আমায় নিয়েছে আঁধার কিনে।

কোনো কোনো রাত বড্ড বিষণ্ণ হয়ে আসে
চোখের পাতার ঘুম উড়ে যায় কর্পূরের মতন,
শুধু সটান শুয়ে থেকে উপলব্ধি করা একাকিত্ব,
চোখ খুললেই কুহেলিকা, কোথাও কেউ নেই নিস্তব্ধ প্রান্তর।

আকাশে বাতাসে ভয়ের আতঙ্ক
মাটি আজ রক্তে লাল।
নগর নগরী এখন জনশূন্য
চরে বেড়ায় কুকুর শেয়াল।
প্রান ভয়ে ভীত সন্ত্রস্ত মানুষের দল

এই যে এখন আঁধার ধরায় আছি
বলতো এখানে কেমন করে বাঁচি?

অন্ধকারের এই যে প্রবল স্রোত
কেমন করে করবে তুমি এর প্রতিরোধ?

শতে শতে, হাজারে-হাজারে, লাখে লাখ
ধর্ষিতার গুমট নিনাদ- আর্তনাদ,
জাগায় মনে আমার বাদ-প্রতিবাদ।
জমাট ব্যথার মেঘনাদ।