কোনো কোনো রাত বড্ড বিষণ্ণ হয়ে আসে
চোখের পাতার ঘুম উড়ে যায় কর্পূরের মতন,
শুধু সটান শুয়ে থেকে উপলব্ধি করা একাকিত্ব,
চোখ খুললেই কুহেলিকা, কোথাও কেউ নেই নিস্তব্ধ প্রান্তর।

দুচোখ রগড়ে দেখি বসে আছেন
কিরামান কাতেবীন শিয়রে –
অন্ধকার বলয় ঘিরে স্বর্গীয় দ্যুতি।

তোমাকে রজনী গন্ধ্যা ফুল ভেবে যদি ভুল করি
তবে তুমি কিছু মনে করনা,
ছোট ছোট আশাগুলো খুঁজে অনন্ত প্রেমের ঠিকানা
আঁধার রজনীর চাঁদ বাড়িয়ে হাত কেন ডাকে ?

শেষ রাত্রির অপেক্ষায়,
যে রজনী ছোঁবে না দিনের মায়া
যে রাতের অপেক্ষায় থাকবে না ভোরের আলো,
রাতের মায়া দীর্ঘ হয়ে পরদিনের সকালটা
বিলীন হবে আঁধারের গর্ভে।

রজনীর অপূর্ব শোভার কিরনে মেঠো পথ তেড়ে ।
দারিয়েছিলাম দূর্বাদলের বিমুখ প্রান্তরে ।
পবনের শীতল হাওয়া এসে লাগে গায়ে ।
চাঁদ অপরূপ শুভ্র আলো ঢেলে দেয় ইলার বুকে ।
রঙ্গিন স্বপ্নের দিগন্ত দুল খেলে মনে ।
দু চোখ অবলোকন আঁকাশের পানে ।

ফেরার ছিল কথা , আঁধার পেরোতেই
বকুলের গ›ধমাখা এই রাতশেষে,
ঘড়িতে রাত বন্দী হয়ে গেছে হয়তো-

এই পৃথিবী আলো আঁধারের খেলা ও দিবারাত্রির পর্যায় সারণিতে যার
বিঁধিমালা প্রকাশ্য দিবালোকে আর রাতের কালোতে জীবন রহস্যে ভরা।
রাতের আঁধারে দিনের আলোতে মানব জীবনের সকল ছলাকলা।

অন্ধকারের সাথে কেউ আলাপ করেনা
শুধু খোঁচা দেয়।

এদের জন্য কোন আলো নয়
দান অনুদান যতটুকু পেয়েছে পাচ্ছে

সারাটি বুক জুড়ে ক্ষত
কান্নার বসবাস হৃদয়ে সতত।

আঁখিজল ঝরে না কভু
নিদারুণ দহন দেখেন শুধু প্রভু
আমার ভুবনে আমার ই বসবাস
সারাটিক্ষণ জুড়ে দুঃখের চাষবাস।

নিশাচর প্রাণীদের দিনে যায় না দেখা ,
রাতে থাকে সক্রিয় !
অদ্ভুত তাদের জীবন বৈচিত্র অদ্ভুত কর্ম কান্ড !
দিনের আলোয় লুকিয়ে থাকে ,
নিজেকে আড়াল করে ।