বিষ্টি দারুণ মিষ্টি লাগে
গ্রীষ্মকালে হয় যদি
রাষ্ট্রনেতাও ভিজতে আসেন
খালি দিয়ে নিজ গদি!

খোলা খাম হাতে – নীল:
আকাশটা সেঁটে রাখি আধবোজা চোখে।
বিষাদের রং বড় কাল,
প্রতীক্ষা তসবিহ টেপে শামুকের খোলে –

হ্নদয়ে আজ মেঘ করেছে ,
হাওয় বইছে জোরে ,
একটু পরে বৃষ্টি নামবে ,
আমার দু’চোখ বেয়ে !

গ্রীষ্ম ফিরে চলিল
বর্ষা আবার আসিল।
আকাশে মেঘের ভেলা
করিতেছে যে খেলা।
আষাঢ়ে নামিল ঢল
কোথা থেকে আসিল এতো জল?

সারা দিনমান আষাঢ়ে বৃষ্টির গান মনের মাঝে বেজে উঠে বিরহ
ব্যাথার টান ।
বৃষ্টি আর বিরহের মাঝে যখন দেখা যায় এক আধ্যাত্মিক ঐক্যতান

টুপুর টাপুর বৃষ্টি হাওয়া
নদের তীরে তীরে,
টিনের চালে বৃষ্টি পড়ে
ঝুমুর ঝুমুর ধীরে।

বিরহ সব- রন্ধ্রে রন্ধ্রে !
কোথাও নেই খালি- বিরহ পূরণে'র জমি ৷
চাষা-বাদে বন্ধ্যা বন্ধ্যা !
কে দেখে- ভেতর-টা ?

আকাশে যতোই থাকুক মেঘ মেঘ ভাব,
তুমি নেই পাশে, তাই বৃষ্টির অভাব!

মুমূর্ষ আকাশ নিঃসঙ্গ কেঁদে চলে অবিরত।
একটু বেহিসাবি হাওয়ায় ঝরে যায় কৃষ্ণচুড়া;
আমের কুড়ি ঝরে যায় শ্রাবণের ধারায়।
ধানের শীষ হতে বেরিয়ে আসে মাতাল গন্ধ;

তোমার উদ্দাম ছেঁড়া-পালের হাওয়া,
আমার জাহাজ-ডুবি গোন……
অজান্তেই ভিজে দাঁড়কাক আমি
আমার বর্ষণ-ভীতু মন……