বৃষ্টির ছন্দময়তায় অভিভূত হয়ে
বৃষ্টির ব্যাপকতায় অবাক হয়ে
বৃষ্টির রুপালি আলোয় মুগ্ধ হয়ে
আমি পড়ি আকুল হয়ে মাথা নুঁয়ে।

তোমায় আমি বলেইছিলাম, মনে আছে?
ছয় বেহারার পালকি নেই, ময়ূরপঙ্খি নাও নেই
কিংবা কোনো জুড়ি গাড়ি – তবু তুমি এসো;
সপ্তবর্ণের সাঁকোয় চড়ে সাত সমুদ্র তের নদীর
ওপার থেকে এসো।

সাদা মনের মানুষ চাই

নিরাপদ সড়ক চাই

সন্ত্রাস মুক্ত সমাজ চাই

স্বাভাবিক মৃত্যু চাই।

সকালের মিষ্টি রোদে শাপলারা যেমন দেয় দোলা
তোমার ওই পদ্ম ফুলের হাসি যায় কি কভু ভোলা।
বর্ষার অঝোরধারা যেমন ছুঁয়ে যায় আমার এই তপ্ত মন
তোমার ওই ঠোঁটের কোণের যাদুর হাসিতে হারাই সারাক্ষণ।

সে আমার জন্য অপেক্ষা করে।
প্রতিদিন বিকেলে, সূর্য ডোবার আগে...
শত নিষেধ, অনুরোধ, মিনতি উপেক্ষা করে
সে ঠিকই অপেক্ষা করে।

মায়াবীনি ছাউনিতে আটকে ছিল আমার এ দুটি চোখ।
গোমটার আড়ালে এক জ্বলন্ত হাসি,
ভেঙে যায় অবুঝ হৃদয়ের সব প্রাচীর।

ক্ষুধায় কাতর ছোট্ট শিশু,
বলে ওগো মা।
কখন তুমি খাবার দিবে,
আমায় বলো না?

সাতসকালে বৃষ্টি শুরু আকাশ ঘোলা ঘোর,
অদূরে ওই গাছের মাথায় উড়ছে পায়োধর।
কালো গম্ভীর মেঘের ঘটা অবিরাম গুড়গুড়,
বজ্র জিগির কানে ফাটে ভয়েতে বুক দুরদুর।

নিখাদ জমে থাকা কষ্টগুলো আমাকে দিও, বারণ করবো না-
যে আকাশ কান্না শিখেছে সে কাঁদবেই; কখনো উদ্ভ্রান্ত রাতের নীরবতার সাথে, কখনো শ্রাবণের প্রচণ্ড তুফানের সাথে-
তবুও তার ফেরারি প্রতীক্ষার সমাপ্তি হবে না, দাফন হবে না আনাড়ি স্বপ্নগুলোরও!

তুমি প্রেমের শেষ পেরেক

সেজদায় নত হলে মেরাজে

ইচ্ছে করে কান্নার রক্তজলে

ভাসি সলাজে।

আবেগে হৃদয়ের আকুতির করি উদ্গীরন

অনুতাপে শুকরিয়ায় যখন

জাগে শিহরণ।