নিখাদ জমে থাকা কষ্টগুলো আমাকে দিও, বারণ করবো না-
যে আকাশ কান্না শিখেছে সে কাঁদবেই; কখনো উদ্ভ্রান্ত রাতের নীরবতার সাথে, কখনো শ্রাবণের প্রচণ্ড তুফানের সাথে-
তবুও তার ফেরারি প্রতীক্ষার সমাপ্তি হবে না, দাফন হবে না আনাড়ি স্বপ্নগুলোরও!

ইলশে গুড়ি বৃষ্টি ছিলো সেদিন
যেদিন তোমার সাথে প্রথম দেখা হলো,
সবুজ পাতার ফাঁকে লজ্জামাখা কদম
হেসে হেসে ভালোবেসে উঁকি দিয়েছিলো।

তুমি প্রেমের শেষ পেরেক

সেজদায় নত হলে মেরাজে

ইচ্ছে করে কান্নার রক্তজলে

ভাসি সলাজে।

আবেগে হৃদয়ের আকুতির করি উদ্গীরন

অনুতাপে শুকরিয়ায় যখন

জাগে শিহরণ।

ধুলট মেঘে ঢেকেছে আকাশ, বিষাদ নগরী,
এক গ্লাস জল, রূপালী মোড়কে ঘুমের বড়ি,

বিদ্যুৎ তার ছিঁড়েছে কোথাও পাড়ার মোড়ে,
কী যেন ক্ষতি মনের ভেতর আঁধার খোঁড়ে,

দমকা বাতাস ওড়াচ্ছে ঘ্রাণ, আহা চামেলি,
পাশে এলে তুই ভিজে যেত চুল, রেশমি চেলি,

নিস্তব্দ রাত!
ঘড়ির টিক টিক শব্দ।
জানালাটা খোলা; পুরো ঘর আলোকিত জ্যোৎস্নার আলোয়।
কতো খ্যাতিমান কবিরা অঙ্গন করেছেন তাঁদের কবিতায়;
জ্যোৎস্না, বৃষ্টিস্নাত প্রেমের বাতায়ন !

খোল দরজা
তোর হৃদয়রে
আমি আসবো।
আমি রোদ্দুর হয়ে ভাসবো
তোর তৃষ্ণায়,
ভেসে উঠবই

আষাঢ়ে বাদল নামে,
হেমন্তে আসে ঘরে,
পিঠা-পোলাও'য়ের ধুমা ধুম,
ফাগুনের শিতল হাওয়ায়,
চায় যে এ মন সুখেরেই ফুল,
বিধি, কােথায় পাবো সুখেরেই ফুল?

দু‘নয়নে মেঘ ধরেছে, এক্ষুনি নামবে ঢল
অঝোড়ে পড়বে কিন্তু , টপ টপিয়ে বৃষ্টির জল ।।
বৃষ্টির দিনে, মনে জেগে উঠে অতীতের সব কথা
ভাবতে ভাবতে ভুলে যায় সব ,কষ্টের যত ব্যথা ।।

বৃষ্টিঝরা সন্ধ্যা, ভেজা অলিগলি,
তার গানেতে মুখর, অলস,খেয়ালী।
বৃষ্টির রিমঝিম ছাপিয়ে তার রিকশার টিংটাং,
আর হুডতোলা অন্ধকারে তার -
কপোত কপোতী যাত্রীরা সব, সপ্নে মাখায় রং।

মেঘলা তোমার কি মনে পড়ে?
সূর্যের সেই লুকুচুরি খেলা।
যেদিন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা,
মনে পড়ে সেদিনের কথা?