সিন্ন্ধ আঁখি অপলক চাহনি

বিন্দু বিন্দু ফোঁটার হয়ে সৃষ্টি জলে টলমল
ব্যস্ত শহর , বন্দী মানুষ
সব যে হারিয়ে স্বরশূন্য হলো

অমূল্য হীন জীবনে
নেই কোন সাফল্য ,
সময়ের স্রোতে ভেসে যায়
আছে তার যতো রত্ন।

ধুলট মেঘে ঢেকেছে আকাশ, বিষাদ নগরী,
এক গ্লাস জল, রূপালী মোড়কে ঘুমের বড়ি,

বিদ্যুৎ তার ছিঁড়েছে কোথাও পাড়ার মোড়ে,
কী যেন ক্ষতি মনের ভেতর আঁধার খোঁড়ে,

দমকা বাতাস ওড়াচ্ছে ঘ্রাণ, আহা চামেলি,
পাশে এলে তুই ভিজে যেত চুল, রেশমি চেলি,

বৃষ্টি তুমি আসতে চাইলে অন্ন নিয়ে এসো,
ধনী - গরীব সবাইকে ভাল তুমি বাস।
বৃষ্টি তুমি আসতে পার ধনীদের ঐ গাঁয়,
অট্টালিকা আর টাকা - পয়সা যাদের শোভা পায় ।

বৃষ্টি স্নাত সেই গোধূলিতে
তোমার দুটি চোখে দেখেছিলাম আমার সর্বনাশ,
সর্বনাশ যেনেও আমার মনের গহীন কোনে
তোমারই আমৃত্যু বসবাস।

ঘন কালো মেঘ
আকাশের পরিধি সংকীর্ণ
মেঘের কোলে বিজলীরা হাসছে
বজ্রধ্বনি ধিরিম ধিরিম ডাকছে
শ্রাবণের বারিধারা রিমঝিম ঝড়ছে
প্রেমের জোয়ারে সৃষ্টিকুল ভাসছে

তুমি প্রেমের শেষ পেরেক

সেজদায় নত হলে মেরাজে

ইচ্ছে করে কান্নার রক্তজলে

ভাসি সলাজে।

আবেগে হৃদয়ের আকুতির করি উদ্গীরন

অনুতাপে শুকরিয়ায় যখন

জাগে শিহরণ।

মেঘলা তোমার কি মনে পড়ে?
সূর্যের সেই লুকুচুরি খেলা।
যেদিন তোমার সাথে আমার প্রথম দেখা,
মনে পড়ে সেদিনের কথা?

শেষের রাতে, বাদল প্রাতে
বকুল গাছের তলে
একলা বধূ ফুল তুলছে
গাথবে মালা বলে ।

বু‌কের মা‌ঝে যে অনুভব
বা‌জে না তো বা‌জে না তার কলরব।

অদৃষ্ট লিখন নীর‌বে উপল‌ব্ধি
হা‌রি‌য়ে যায় ফু‌রি‌য়ে যায় ঘ‌টেনা প্রবৃ‌দ্ধি।