চোইত মাসের ঠাডাপড়া রউদে
জমি-জিরাত ফাইড্যা চৌচির।

নাঙ্গল-জোয়াল লইয়া
কাঙ্গাল কিষাণ।
মাডি চেরতে চেরতে
নাঙ্গলের চকচইক্যা ফলায়
বৃষ্টির লাইগ্যা লুকাইয়া থাহে বাসনা, ভাতের স্বপন……

বৃষ্টি ও প্রেমের দিন শেষ হয় !
ভেজা জারুলের গায়ে সোনালী উত্তাপ !
হাওয়ায় হাওয়ায় শুভ্রদিনের গান !
অমরত্বের আশ্বাসে আমরা পান করি নিষিদ্ধ শুরা !

শেষের রাতে, বাদল প্রাতে
বকুল গাছের তলে
একলা বধূ ফুল তুলছে
গাথবে মালা বলে ।

তুমি প্রেমের শেষ পেরেক

সেজদায় নত হলে মেরাজে

ইচ্ছে করে কান্নার রক্তজলে

ভাসি সলাজে।

আবেগে হৃদয়ের আকুতির করি উদ্গীরন

অনুতাপে শুকরিয়ায় যখন

জাগে শিহরণ।

তোমার রক্ত জায়নি বৃথা
আজও তা মোদের রক্তে বহমান ,
তুমি অমর তুমি অম্লান
জয়তু মজিবুর রহমান।

বৃষ্টি তুমি আসতে চাইলে অন্ন নিয়ে এসো,
ধনী - গরীব সবাইকে ভাল তুমি বাস।
বৃষ্টি তুমি আসতে পার ধনীদের ঐ গাঁয়,
অট্টালিকা আর টাকা - পয়সা যাদের শোভা পায় ।

মেঠো পথটার পরে,
শ্রাবণ-জলে মেতেছিলে তুমি আনন্দ জোয়ারে।
আনমনে চেয়ে কাটলো কতক সময়,
তুমি ও বরষা, করেছ সহসা, আমাকেই তন্ময়।

আমরা দুজন এখন সংসার সংসার খেলি
হঠাৎ পাওয়া ছোট্ট একটা পুতুল নিয়ে,
আমাদের প্রেমের অধ্যায় একটু একটু করে
ঢাকা পড়ে যায় জাগতিক ব্যস্ততা দিয়ে..

মায়াবীনি ছাউনিতে আটকে ছিল আমার এ দুটি চোখ।
গোমটার আড়ালে এক জ্বলন্ত হাসি,
ভেঙে যায় অবুঝ হৃদয়ের সব প্রাচীর।

তোমায় আমি বলেইছিলাম, মনে আছে?
ছয় বেহারার পালকি নেই, ময়ূরপঙ্খি নাও নেই
কিংবা কোনো জুড়ি গাড়ি – তবু তুমি এসো;
সপ্তবর্ণের সাঁকোয় চড়ে সাত সমুদ্র তের নদীর
ওপার থেকে এসো।