চোখের মাঝে ডুবে যায় রাত-
স্বপ্ন জুড়ে সুনসান পথের প্রতিচ্ছবি;
ভালোবাসার দুয়ার জুড়ে এলোমেলো সমীরণ
হৃদ মাঝারে এক চিলতে আলো তৃষিত ভাবনায়;

স্বর্গ থেকে আসে প্রেম এই জীবনে !
প্রেম যদি স্বর্গীয় হয় ! স্বর্গে তো দুঃখ থাকার কথা নয় !
প্রেম যদি স্বর্গীয় হয়, সেখানে তো মনস্তাপ থাকার কথা নয় !

রাত্রি দ্বি-প্রহর। ডেকে ডেকে ঝিঝিরা ক্লান্ত।
থেকে থেকে থেমে যাচ্ছে সময়ও, যা প্রচন্ড শীত। যতদূর অনুভব হয় কেবলই নিস্তব্ধ।
এসময়েই প্রচণ্ড আবেগ অবশ করে ফেলছে সব। ঠান্ডা হাওয়ায় কেঁপে কেঁপে ওঠে দৈববাণী,
এক কাপ স্পর্শ পেলে বাঁচা যেত এবারের মত।

উড়ে গেছে যে পাখি
কি হবে আর সযতনে
হৃদয়ে তারে রাখি।

সব পাওয়ার আনন্দ নিয়ে-
সুখের ভেলা ভাসিয়ে দাও,
জীবন কে সাজাও রঙ্গিন প্রজাপ্রতির পাখায়।
সবটুকু সুখলতা আষ্টে-পৃষ্টে বাঁধে নাও
নিত্যনতুন জনম নিয়ে দুঃখ আহুতি দাও।

তোমার প্রতিটা নিঃশ্বাসের ভাঁজে জানি আমি ভালবাসা আছে।
আমার অসুস্থতায় তোমার উদ্বিগ্নতার মাঝে-
জানি আমি ভালবাসা আছে।
আমি যখন রান্নায় লবণ দিতে ভুলে যাই-
অথবা ঝাল দিয়ে ফেলি বেশি
তখনও তুমি তৃপ্তি নিয়ে খেয়ে যাও!

হে প্রেয়সী তুমি আসবে বলে-
নিসংঙ্গ বুকের বা-পাশ ক্ষত-বিক্ষত!
অপেক্ষার-প্রহর, মৃত পথের সমতুল্য যাত্রী।
তবু হে প্রেয়সী, তোমারই অপেক্ষাই আছি।

সেতার আমার জানা ছিল না—তবে সেতারের সঙ্গে আমার জানাশোনা ছিল।
সত্যি বলতে, তোমার কণ্ঠের চেয়ে মিষ্টি কোনও সেতার এখনও শোনা হয়ে ওঠেনি আমার!
এমনকি এই মিউজিক-বহুল বেতারের যুগেও!

না হয় মিথ্যে হয়েই তোমার কাছে থাকি
কোনো এক দেশে তোমার ঠোঁটে আমি
ঘুম ভাঙলে নিখোঁজ সব জোনাকি
আমার শহরে অনেক দূরে তুমি।

তোমার প্রেমের গুপ্তচোখে আমার হৃদয় আবর্তায়
পরম নিয়ম নির্বিকারে ভাঙবে হৃদয় নির্দ্বিধায়
পেলাম না হয় বিশ্ব থেকে নিয়ম ভাঙায় নির্বাসন
তোমার প্রেমের গুপ্তচোখে করবো প্রেমের অন্বেষণ