হে প্রেয়সী তুমি আসবে বলে-
নিসংঙ্গ বুকের বা-পাশ ক্ষত-বিক্ষত!
অপেক্ষার-প্রহর, মৃত পথের সমতুল্য যাত্রী।
তবু হে প্রেয়সী, তোমারই অপেক্ষাই আছি।

শ্রাবণের বৃষ্টিবিলাসে যখন মনে পড়ে
মেঘলা চাদরে তোমায় খুঁজি অবিরাম।
শিশির ভেজা ঘাস ফুলে খুজি তোমার
অদ্ভুত অমলিন ছবিটা।

রোজ রাতে দ্বিপ্রহরে, কাঁচা ঘুম ভেঙে
জেগে উঠি। তারপর ভূতের মতো একা
নিঃশব্দ হাঁটাহাঁটি, ঘর থেকে ঘর
উল্টানো থালায় জ্বলে সহস্র জোনাকি।

তোমার অশ্রু সিদ্ধ নোনা জলে বিশ্বাস করেছি ,
সেই কি ছিল মোর অপরাধ ।
বিশ্বাস করেছি প্রতিটি শব্দের সমষ্টি ,,
কলংকের কালি মেখে হ্নদয়ে আসন দিয়েছি ,
বিনিময়ে শুধু সন্ধি চেয়েছি ।

সবুজ ছায়া নীড় গাছের আড়ালে
অপেক্ষায় ঘড়ির কাটা শব্দ করে,
কয়েক জনা সাথী বুঝি আসিবে ঐ
তবুও পথ-চাওয়া দেখিব মেঠো পথের তরে।

আমার কাছে প্রেম মানে মায়া,
আর মায়া মানেই তুমি।
হৃদয়পুর জুরে লেপ্টে থাকা,
মায়ার কেন্দ্রবিন্দুই যেখানে তুমি,
তখন সেটাকে কী বলবে বলোতো?
প্রেম?

দু'চোখ দিয়ে যায়না তারে দেখা
সে থাকে আমার অনুভবে
যা মনের গহীনে রাখা
গগনের চেয়েও বড় যার সীমানা
যার জন্য আমায় গড়তে হয় রচনা

তুমি অপরুপ চিত্র শোভিত মায়াবতী হয়ে যাও,
ছাড়িয়ে নিজের সীমানা,
তোমায় জাদুর পরশ আমায় দাও,
আমি অভাজন, অনেক কথা বলতে মানা-
মুখ কিছু বলে না, আমার চোখ তোমার চোখে ভাসে
আর মন, পলকে রাগ করে, পলকেই ভালোবাসে।

রাতের গভীরে
নীরবে
ও এল
পাখিরা ঘুমিয়ে ছিল
বৃক্ষশাখারা নুয়ে ছিল গ্রামের ভেতর।
ও এল
শীতের শেষ রাতে
প্রেমের অনলে পতঙ্গ হতে।

শঙখচিল গুলো বাসা বাঁধে কোথায়?
সে কি ধান সিঁড়ি নদী কিংবা
শঙখ নদীর তীরে ?