তুমি অপরুপ চিত্র শোভিত মায়াবতী হয়ে যাও,
ছাড়িয়ে নিজের সীমানা,
তোমায় জাদুর পরশ আমায় দাও,
আমি অভাজন, অনেক কথা বলতে মানা-
মুখ কিছু বলে না, আমার চোখ তোমার চোখে ভাসে
আর মন, পলকে রাগ করে, পলকেই ভালোবাসে।

ওগো প্রেয়সী!
যখন আমার কফিন কাধে করে
নিয়ে যাবে সাথীরা,
তখন তুমি এটা ভেবোনা-
আমি এ পৃথিবী থেকে হারিয়ে যাচ্ছি!

ওগো প্রবাসিনী-
আমি তোমারে বহু কাল ধরে চিনি
তুমি যে আমার মনের রানী।

পাগলামীটা বড় বেশীই করে ফেলেছি ,
তোমাকে হঠাৎ জড়িয়ে ধরেছি ;
আদরে সোহাগে চুম্বনে চুম্বনে তোমাকে
লাল গোলাপের মত রাঙ্গিয়ে দিয়েছি !

এসেছো, এলেকি তুমি?
কি ভীষণ দেখতে ইচ্ছে হচ্ছিল তোমায়,
সেই কতো যুগ যুগ ধরে...
এই শুনছো?
পর্দাটা কিছুতেই সরাতে পারছিনা,
একটু বাতাস এসে কি পারেনা সরিয়ে দিতে!
সরায় হয়তো তুমিই দেখোনা!

স্নানের ঘরে বাষ্পেরা আটকে পড়েছিল
দর্পন ঢেকেছিল ধোয়াশায়; আর_
তখন তাপমাত্রা বেশ বাড়িয়ে দিয়েছিল!
এই মহাবিশ্বের বিস্তর রহস্য ভেদিবে কেমনে

রাগ করেছে প্রেয়সী মোর,
মুখটি করে ভার।
বাতায়নে সে চেয়ে আছে,
মনটা যে আধাঁর।

এই কুলেতেই ভাসিয়ে দিলাম
আমার যতো চাওয়া
ফুলকেলিতে রুদ্র জলে
হঠ্যাৎ তোমায় পাওয়া....

জ্যোৎস্না জ্বলে সময় পুড়ে
নীরব মধ্যরাতে
সুখ স্বপ্নের ভ্রান্তি কাটে
স্বর্গ পোড়া প্রাতে।