শিশিরফোটা আমার শরীর স্পর্শ করে জলন্ত উল্কার মত।
এক পরিত্যক্ত চাটিতে মুড়িয়ে নিই নিজেকে...
কখনও কখনও স্বাধীন কুকুর আমার গা ঘেঁষে শুয়ে পড়ে।

উত্তরীয় হিমেল হাওয়ায় ভেসে ভেসে
বাংলাদেশে শীত এসেছে ,
কুয়াশার চাদরে ডাকা খুব সকালে
সূর্য্যিমামা জেগে উঠেছে ।
চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে সূর্যকিরণ
সোনালী আলোর ঝিকঝিক ,

সারারাত কাদঁলাম ,
আমার অশ্রু ধারন করতে গিয়ে কষ্ট হয়েছে প্রকৃতির পাতা ছাড়া গাছগুলোর,
এক একটা অশ্রুবিন্দু তীরের মত বিধেছে উলঙ্গ গাছগুলোর বুকে
সারা শরীর বেয়ে বেয়ে ওরা সেই অশ্রুকে সযতনে মাটির বুকে পাঠিয়েছে
তবুও অশ্রুকে কষ্ট দেয়নি নষ্ট হতে দেয়নি।

পৌষ পেরিয়ে মাঘ এলে যখন বাংলায় আসে শীত,
উদয় হয় দেশে তখন নানা রকমের পিঠা আর গীত ।
মাঘের শীত মনে করিয়ে দেয় পৌষের হিমেল হাওয়া,
নবান্নের পর পিঠা খেয়ে পরিপূর্ণ হয় তাদের খাওয়া ।

নকনে শীতে ঘাসের উপর শিশির ঝরে,
সূর্যের আলোয় যেন মুক্তার মত ঝলমল করে।
কনকনে শীত সকালে একচুমুক খেজুরের রসে,
ষাট বছরের বুড়োর মতই কাপুনি যেন উঠে!
কনকনে শীতে চিতই-ভাপা ঘ্রাণে,

শীত বসে রয় কোথায় কাহার বাড়িতে –
খুঁজে পেলাম খেজুর গাছের হাঁড়িতে।
শিশিরজলে চুবিয়ে রাতের আদর
সকালবেলার রোদে শুকায় চাদর।

কার কার শীত নেই হাত তুলুন,একটা তালিকা হোক।
পত্রিকার ডান কোণে বিজ্ঞপ্তিতে রাখুন চোখ,
সব ধরণের জনতা আসুক জরীপে এই প্রত্যাশা।

টেবিল চেয়ারের মাচায় বসে বাছাই আজ,
খেরু চাচার প্রথম হাত, হাসে গুলমারা দাঁত
"পাঁচগন্ডা ইট মাথায় নিয়া উইঠ্যা দেইখ্যান দু'তালায়।"

হিম নিশপিশ কিছুটা হালকা অবিরাম বাতাস
বইছে গভীর আবেগে।
শীতের এই সন্ধ্যায় খোলা বারান্দা ঘিরে থাকা গোলাপগুলো
কেমন যেন কাতর হয়ে গেছে।

এ কোন সমাজে বাস করি হায়! শীতে কাঁপে অসহায়
সেই দশা দেখে গাছের পাতা ঝরে ঝরে পড়ে যায়।
গরীবের দিন যেন দুর্দিন, ভোরের কুয়াশা ঢাকা
এদের মননে একটি স্বপ্ন, ধুঁকে ধুঁকে বেচে থাকা।

যার কথাগুলো হবে এক একটি কামানের গোলা;
আর সুর গুলো ধারালো তরবারির মত খাপ খোলা,
যে 'বাংলাদেশী' পরিচয়;
সাহসে দেবে অতিশয়,