তুমি দুঃখ দিলে, কষ্ট দিলে,
অশ্রু ঝরাবার হাজারটা কারণ দিলে,
জল মুছবার রুমাল হবে বলেও আর হলে না,
একটা সময় কোথায় যেন লুকিয়ে গেলে।

এইখানে এই তরু ছায় বসেছিলাম
বহুদিন বহুবছর আগে
এখনো সবকিছু আগের মতো আছে
দেখতে কত যে মধুর লাগে।

শীত এলে ক্ষেতে ক্ষেতে ফলে
ফুলকপি ওলকপি গাজর টমেটো শিম ।
ঢেঁকি পালং মুলা আর লাল শাকে,
ভেজা শীতে জমে ওঠে স্বাদের হিম।

উত্তরের হাওয়ায় শরীরে কাপন লাগিয়ে,
যখন শীত আসে।
প্রকৃতিতে চলে ভিন্ন রুপে সাজার প্রস্তুতি।

কুয়াশার গান তোমরা কি শোনো?
আমি শুনি যখন মগ্ন হই নিজস্ব
বিচ্ছিন্নতায়, ছন্নছাড়া কবি।
ঝিমধরা মাঠের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত
সঙ্গী খুঁজে ফেরা খেকশেয়াল
আমায় শোনায় সেই গান।

সারারাত কাদঁলাম ,
আমার অশ্রু ধারন করতে গিয়ে কষ্ট হয়েছে প্রকৃতির পাতা ছাড়া গাছগুলোর,
এক একটা অশ্রুবিন্দু তীরের মত বিধেছে উলঙ্গ গাছগুলোর বুকে
সারা শরীর বেয়ে বেয়ে ওরা সেই অশ্রুকে সযতনে মাটির বুকে পাঠিয়েছে
তবুও অশ্রুকে কষ্ট দেয়নি নষ্ট হতে দেয়নি।

সুনীল আকাশের ক্যানভাসে ন্যাড়া গাছে আঁকে প্রকৃতি
সূর্যের বাদামি কালো রঙে,
কবি ভাবে শীতের এই মন্থর নির্জীব শুস্কতা
ডেকে আনে বসন্ত,

হঠাৎ, হঠাৎ মনে পড়ে, স্মৃতিতে ভীষণ ভাসে
কিশোর বেলার সে আড্ডার সময়টুকু হাসে ।
যখন এমন শীতে হতো মধ্যরাত -
কি যে মজা ছিলো- ডানপিঠি বন্ধুদের উৎপাত !

শান্ত পারাবার পাড়ি দিয়ে
উত্তরী হওয়ায় অতিথি বেশে।
পউষ রোদের ডাক দিয়েছে
মিষ্টি ভোরের দোলায় বসে,
ওম নেবে গো ওম;
কুশলী রোদের দেয়াল ঘেষে।

সূর্যিমামার অট্টহাসি,
গা পুড়বে রোদে-
ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি এলে
আকাশ তখন কাঁদে।
শিউলি ঝরা সকাল বেলায়
দেবীর বন্দনা-
সবুজ ঘাসের মাথায় মাথায়
শিশির আল্পনা।
হিমেল হাওয়ার মিষ্টি ছোঁয়ায়
লেপের নিমন্ত্রণ-
কচিপাতার দুলকি চালে
ফাগের আয়োজন।