চারিদিক ঘুম ঘুম, নির্জন নির্ঝুম,
অলস, নিরস পবন নিঃশব্দে বয় ।
হিমালয়ের হিমেল যেন এক কাঁপানো বাণ,
রক্ত না ঝরে থর থর করে গাই কেহ অপূর্ব গান ।

তোমাকে প্রথম পেলাম ঘোলা কুয়াশায়,
টং এর দোকানে এক কাপ রং চায়ে।

সেদিন আসলে খুব ভোরে, ঘাস শিউলির গালিচায়,
ছোট খুকির শিশির ধোয়া পায়ে।

ফুটপাতে শুয়ে থাকা পাগল পাগল মানুষগুলো কুঁকড়ে আছে শীতে,
ধুলোয় মোড়া মাথার চুল, মুখাবয়বে মলিনতার ছাপ
ওদের কপালে বাঁধা যেনো কেবল শোকের কালো ফিতে
কী করে পার করে দেয় ওরা নি:সম্বল অসহায় হয়ে জীবনের ধাপ।

একরাশ ভালোবাসা ছিল বুক জুড়ে
নরম রোদের রেখা দিল সুখ মু‌ড়ে,
তখন হাতে তে হাত চোখ রেখে চোখে
চুপ‌টি দাঁড়ালে তুমি মুখে হাসি মে‌খে।

গ্রাম তবু টানছে যেন এবারের শীতে,
কুয়াশা নামছে রোজই জড়িয়ে নিতে,
এই মাটি চেয়ে আছে ভরিয়ে দিতে,
তাই বুঝি প্রতি দিনে বাড়ছে খিদে।

হিমেল হাওয়া বইছে এখন পাতা ঝরার পালা
শীতের খবর গাছ আগে পায় লোকের কতো জ্বালা।

টাপুর টুপুর শিশির কণা পড়ছে গাছের পাতায়
আসছে শীতে কঠিন কামড় বুকে কাঁপন ধরায়।

শিশিরফোটা আমার শরীর স্পর্শ করে জলন্ত উল্কার মত।
এক পরিত্যক্ত চাটিতে মুড়িয়ে নিই নিজেকে...
কখনও কখনও স্বাধীন কুকুর আমার গা ঘেঁষে শুয়ে পড়ে।

এই মাঘে শীতই আসেনি আমার
মিথ্যাবাদী সময়টার আবোল-তাবোল কপকপানিতে কানটা খুবই উত্তপ্ত হয়ে আছে।
আবেগ, অনুভুতি, প্রত্যাশা সব কিছু বেদখল হয়ে গেছে সেই কবে
অন্তরে যে অনুভবে জ্বলছি সেটা মুখ দিয়ে বের করতে পারিনা একটু্ও
সংসারটার সাথে নিত্যদিন যুদ্ধ করে যায় কর্মস্থলের ছাপোষা পদবি আমার

বস্ত্রহীন রাস্তায় পড়ে, কষ্টের প্রহর গোনে
শীতের হাওয়ায়- গাছের কাঁপুনি শোনে,
শীতের প্রকোপে নিজেকে বস্তায় ভরে
খড়কুটোর আগুনে হাড় গরম করে।

সুনীল আকাশের ক্যানভাসে ন্যাড়া গাছে আঁকে প্রকৃতি
সূর্যের বাদামি কালো রঙে,
কবি ভাবে শীতের এই মন্থর নির্জীব শুস্কতা
ডেকে আনে বসন্ত,