বাংলাদেশ আজ জেগেছে দেখ নতুন মন্ত্রদানে
ঘুচবে তার সকল অপূর্ণতা নব জাগরণে।
জাগুক যত ধূসর চিত্ত শৃংখল বৃত্ত হানি
পরাধীন সব দাস হয়ে পরাক মাল্যখানি।

প্রতিদিন প্রভাত দেখি
প্রতি সূর্যেই অন্ধকার।
আসবে প্রভাদ সুদিন নিয়ে
মুছে যাবে এই অন্ধকার।
ওরাই তখন বলবে আমার
সিটাজেন টা বাংলা থাক।

ওগো আমার সোনা ফলা
শস্য শ্যামলা দেশ
ওগো আমার স্বদেশ তুমি
সোনার বাংলাদেশ।

সবুজ শ্যামল স্নিগ্ধ কোমল, বাংলা মা তোর বদন খানি-
তোর ধূলি কনাই পরশ পাথর, তুই যে আমার জন্মভূমি।

আকাশ বাতাস মুক্ত পাখি, রাখালী বাঁশির সুর-
বক্ষে মা তোর মানিক রতন, পাই যে স্বর্গ সুখ।

তোমার বটের মূলে দাঁড়াই কোথায়, মাগো?
ছায়া নেই, বাতাস বিহ্বল আর আকাশ ধূসর।
জল-ঝিনুকহীন নদীর কূলে শুয়ে আছে
ছিন্নভিন্ন তোমার শাড়ির আঁচল –
ওখানে শকুন নামে দিনের আলোয়
রাতভর জম্পেশ শেয়ালের মেলা।

লাখ লাখ মানুষ এবং জনকের বিনিময়ে,
বাঙালিরা আজ স্বপ্নগুলো চলে যাচ্ছে বয়ে;
বাংলা আমার,বাংলা তোমার, বাংলা সবার দেশ,
শত নেতার এই বাংলাদেশে আমিও আছি বেশ।

ছোটবেলায় দাদীর কাছে শুনতাম নদীর মোহনায় জড়ো হওয়া অসংখ্য গাঙচিল গুলো
তাদের সুমিষ্ট কলরব দিয়ে বন্দরে বরন করে নেয় দুর দুরান্ত থেকে আগত জাহাজগুলোকে।
তোমরা যারা আজ আমাদের বাঁচিয়ে দিলে আপন স্বকীয়তায়,
তোমরা যারা সব কাঁটাগুলে উপড়ে ফেলে, আজ মসৃন করে দিলে আমাদের স্বাধীনতার বন্ধুর গিরিপথ,
তোমরা সবাই শুভ্র গাঙচিল ছিলে।

অংকে পেল জিরো সেভেন
ইংরেজিতে নাইন,
পল্টু মিয়া পড়তে গেলে
হাজারটা হয় আইন।

আমি ফিরে এসেছি, আঁখি তুলো; আমাকে চিনছনা?
কেমন করে চিনাব বলো, সেই যে গেলাম জলির বিলে
এককোচা শাপলা তুলে এনে দেখি
একমুঠো বাংলাদেশ নেবে বলে দৌড়ে এল ছোট বোন
তুমিতো জানো ওকে দিয়েছিলাম ভেজা শাপলা
পরে ওগুলো কিভাবে বাংলাদেশ হয়েছিল তাও তুমি জানো।

আমি আজ গাইবো এমন একটি
স্বাধীন দেশের গান,
যে দেশের নাম লেখাতে লেগেছে
লাখো শহীদের প্রাণ।।