ওটাই যে স্বাধীনতার পথ গো
তুমি যাও, এ আধাঁরে বাঁচাও।
জল খাবে?
নোনতা বিস্কুট আছে নেবে?
এটুকুই তো পথ, চল না গো।

সুখের প্রহরগুলো অসুখের দমকা হাওয়া এসে করে দেয় লণ্ডভণ্ড;
কত শত রোগব্যাধী এসে সহসা দেহে বাঁধে বাসা,
এখানে এই শহরে নিত্য রোগের মতই ছড়ানো যেনো কত শত ভন্ড;
খাবারে ভেজাল মিশিয়ে ভণ্ডদের বুক পকেট হয় কড়িতে ঠাসা।

লাখ লাখ মানুষ এবং জনকের বিনিময়ে,
বাঙালিরা আজ স্বপ্নগুলো চলে যাচ্ছে বয়ে;
বাংলা আমার,বাংলা তোমার, বাংলা সবার দেশ,
শত নেতার এই বাংলাদেশে আমিও আছি বেশ।

মা-হারা সেই ছেলেটি আমি নিজে ভাই ,
ত্রিভূবনে মায়ের মতো আপন কেউ নাই !
চাচী আম্মা, খালা আম্মা ,জ্যেঠি আম্মা , শাশুড়ি আম্মা
এতো ডাকাডাকি স্বাদ নাহী পাই ।

বীর বাঙালির বীরত্বের কথা
যখন বিশ্ব কয়
তখন বাংলাদেশকে নিয়ে
আমার গর্ব হয়।

সোনা সোনা ধানে ভরা সোনালি বিকাল
বাঁশি বাজায় ঘরে ফিরে মাটিয়া রাখাল,
মোরগ পাওয়ার আশে দৌঁড়িয়া শিয়াল
বর্ষায় ভরা খাল রজনী ভয়াল।

তুইও তাই হ’ দেশ ! তুই বাংলাদেশ !
বিধ্বস্ত দেহ কাঠামো কম্পমান থরো থরো
পাতকের উল্লাস পতিতার শীৎকার
ডাকাতের হুঙ্কার বেনোজলে ভেসে যায়
মরা চাঁদ , ডাহুক নিরব পাতার ফাঁকে ।

মধুমাস গ্রীষ্ম, অপরুপ দৃশ্য
গাছে গাছে ফল।
মৌ মৌ গন্ধে, ফলের সুগন্ধে
জিভে আসে জল।
সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা
রুপের নাইতো শেষ।
বাংলাদেশ।।

দিনে যদি তাকিয়ে থাক তুমি বহুদূর,
দেখতে পাবে তুমি সেথায় সোনালী রোদ্দুর।
আরো পাবে দেখতে তুমি সবুজ পাতার ঢেঊ,
এমন করে পাবে সুখ যে আর কেউ।

ও স্বাধীনতা তুমি কেনো এলে
মোর ঘরে এলে এত অবহেলায়-
কি হবে তোমার মানচিত্র দিয়ে ?
বিচারও কাঁদে অবলীলায়।।