মা-হারা সেই ছেলেটি আমি নিজে ভাই ,
ত্রিভূবনে মায়ের মতো আপন কেউ নাই !
চাচী আম্মা, খালা আম্মা ,জ্যেঠি আম্মা , শাশুড়ি আম্মা
এতো ডাকাডাকি স্বাদ নাহী পাই ।

আজও তোমার দু’চোখের কোণে
কষ্টের করুণ অশ্রুপাত দেখি,
তোমার সে অশ্রুকে কালি করেই
আজও প্রতিবাদী কবিতা লিখি।

ওগো আমার সোনা ফলা
শস্য শ্যামলা দেশ
ওগো আমার স্বদেশ তুমি
সোনার বাংলাদেশ।

সুপ্রিয় সুধাকর আমার,
সব চাই; যা আছে তোমার।
'স্রোতস্বীনি নদী চাই, গাং চাই,
ভাঁটার পর যৌবনবতী জোয়ার চাই।
চাই কুয়াশা ভেদ করে পাহাড়ের স্তব্ধতা,

যদি মৃত্যুর পরও আমি
আবার জন্ম নিতে পারি,
মা আমি পুনঃ জন্ম নেব
বাংলাদেশের গ্রামে-
তোর কোন এক বাড়ি।

ও স্বাধীনতা তুমি কেনো এলে
মোর ঘরে এলে এত অবহেলায়-
কি হবে তোমার মানচিত্র দিয়ে ?
বিচারও কাঁদে অবলীলায়।।

সোনা সোনা ধানে ভরা সোনালি বিকাল
বাঁশি বাজায় ঘরে ফিরে মাটিয়া রাখাল,
মোরগ পাওয়ার আশে দৌঁড়িয়া শিয়াল
বর্ষায় ভরা খাল রজনী ভয়াল।

বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে থাক,
আরো হাজার বছর বাংলার ধারা;
প্রতিটি মানুষ শিকড়ের টান পাক-
এদেশের; ছিল, আছে বা আসবে যারা।

সোনার বাংলা দেশ আমার
সোনার মত খাঁটি।
সকল দেশের চাইতে সেরা আমার
এই বাংলা দেশের মাটি।

যৌবন ভরা রুপ রসেতে মায়ের মাথার কেশে
সবল দেহে হাটি আমি শিশু কালের বেশে
পাহাড় বুকে ঝর্না দেখে
পথের ধূলো মাটি মেখে
হেলেদুলে চলি আমি সোনার বাংলাদেশে।