তোমার আয়েশী ঢঙের খায়েশ,
লীলাবতীর নীল পদ্মের ঘ্রাণের নেশা,
দ্বিধাহীন পূরণ করেছি,তাজা রক্তের রঙ মূল্যে।
ধূণিত পশম উড়েছে,তুমিও উড়েছো-

একজন আজন্ম ঋণগ্রস্ত অসহায় কবির কথা বলি
তাঁর ছেঁড়া পকেটের ভাংগা পকেটঘড়িটার কথা বলি
যে কবি জন্মের কাছে চিরঋণী তাঁর কথা বলি
যে কবি সুবেহ সাদিকের কাছে ঋণী, তাঁব কথা বলি!

যখন ছিল মন বড়ই অধীর, উন্মত্ত পাগলা ঘোড়া
তখন তুই কেন ছিলি এত কৃপণা?
যৌবনের ঢেউ দেখিনি কি আমি তোর অঙ্গে
ভেজা পাতার মত তোর গালে জমেনি কি ঘামের শিশির বিন্দু,

জীবনের উত্থানপতনে দেখেছি মানবতার বিশালতা,
দেখেছি ক্ষাধার্থ কীভাবে খাবার খায়, তার প্রাঞ্জলতা।
সেটাই আনন্দ, সেটাই স্বর্গ

কেনো এতো কৃপণ তুমি ? কেনো এতোটা অনুদার ?
আমি চাই বর্ষণ, তুমি মেঘের কানাটুকুও দাও না !
আমি চাই বিধ্বংসী ভালোবাসা, তুমিতো পানিটাও দাও না !

আমরা দাঁড়ালাম যখন মানকচুর ঘাড়বাঁকা
পাতা হয়ে – উল্টোমুখো দুজনেই:
মাথার উপরে বৃষ্টিভেজা জলপাই গাছ
তার উপরে দ্রবীভূত আকাশ।

ছেলেটির হাত মেয়েটির হাত ছুঁয়ে গেলে
হাত সরিয়ে নিয়েছিল মেয়েটি,
তার পায়ের পাতায় ছুঁয়ে গেলে ছেলেটির পা
দিয়েছিল হাই-জাম্প;
ছেলেটি অবাক চোখে মেয়েটির চোখের তারায়
খুঁজেছিল আগুন –

ঘরে ফেরা সুবোধ বালকের কানে তাই ঝংকার বাজে,
খা'রে নাগিন খা,কেপ্পনেরে খা, বখিলারে খা।

কবিতা রোদ এনে দিল
ক্ষেতের আইল মুছে বানাল পিচ ঢালা পথ।
কবিতা জ্যোৎস্নাময় রাতকে আলেয়াতে ভরল
মরুভূমিকে নদীর মাঝির উপযোগী করল।

মধ্যাহ্নের বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়া রাজপথ
অপরাহ্ণে শুকিয়ে যায় তোমার আনাগোনায় ,
সূর্যের কিরণে -
হৃদয় ভিজেছে সেই কবে , বিষাদের ঢলে
আজও আছে স্যাঁতস্যাঁতে -