সে দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশদিয়ে কামাল ও তার বন্ধুরা হেঁটেযাচ্ছিল। সে দিনছিল ছুটিরদিন। এদিন যদি নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে হাঁটা যায় মনে পড়ে সেই ব্যস্ত সময়গুলির কথা।মনে পড়ে তখন নিজেদের যান্ত্রিকতার কথা।

বন্ধু রাকিব এর বাসায় শুক্রবারের এই আড্ডাটা ভারী প্রিয় আমাদের। রাকিবদের বাসাটা বেশ বড়সড়, বাসায় লোকসংখ্যাও কম। রাকিবের কোন ভাইবোন নেই। বাবা-মা দুজনেই ভীষণ ব্যস্ত নিজেদের কাজ নিয়ে। রাকিবের বাবা একজন বড় ইনডাসট্রিয়ালিস্ট,

আজ অনেক বছর পেরিয়ে গেলো, আমার আজও হয়তো জীবনে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
তুমি হয়তোবা অনেক পাল্টে গেছো, যার জন্য আজ তোমার আর আমার মধ্যে এত বড় একটা ব্যবধান তৈরি হল।

সবুজ ঘাসের উপর চুপ করে বসে থাকতে রাশেদার বেশ ভালোই লাগছে। চারিদিক অন্ধকার করে আসছে। সূর্যটা ডুবে গেছে অথচ তার ঘরে ফিরতে মন চায়ছে না ।

অর্পার ফোন গত তিন‌দিন অার খোলা পায়‌নি। অ‌নেক অ‌ভিমান নি‌য়ে রা‌গে ক‌ষ্টে সুমন চ‌লে গে‌লো। অা‌মিও অার খোজ নেবার চেষ্টা করলাম না। কো‌চিং এ যাবার সময় ভুল ক‌রে ফোনটা বাসায় রে‌খে গি‌য়ে‌ছিলাম।

মাঝরা‌তে কখো‌নো আমার ঘুম ভা‌ঙে না; প্র‌য়োজন হয় না। আসলে- প্র‌য়োজন হ‌লেও উ‌ঠি না; আ‌মি একটু বে‌শি .... তো তাই!
কিন্তু গতরা‌তে কেন যেন পেশাবের প্রচন্ড চাপ পড়ল! বাধ্য হ‌য়ে উঠ‌তেই হল! ঘ‌ড়ির দি‌কে তাকি‌য়ে দেখলাম- ঘন্টার কাটা দুই আর মি‌নি‌টের কাটা চারের ঘ‌রে। বাড়ির আঙিনা এবং পরবর্তী বাগান পার হ‌য়ে বাথরু‌ম- ভাবতেই গা শিউরে ও‌ঠে!

চাঁদ দেখতে কার না ভাল লাগে?
তাই এই জাগতিক সংসারে হাজারও ব্যাস্ততার মাঝে একটু সময় করে মাঝে-মাঝে চাঁদ দেখতে চলে আসি আমাদের বাড়ির ছাদে।মাস গেলেই অপেক্ষায় থাকি কবে ভরা পূর্ণিমা আসবে আর

বাইরে দেখ। প্রচন্ড কুয়াশা পড়ছে। কুয়াশা ডাকছে। আমাকে হাটতে হবে অন্ধকারে। সেই ডাক অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা আমার নেই "
"চেয়ারে রাখা কালো চাদর টা নিয়ে যাও। তোমার জন্য কিনেছিলাম। তোমার না চাদর পরতে ইচ্ছে হয়েছিল। "

সে রাতে একটু দেরি হলেও ছেলেটি গাছটার নিচে আসলো। আজ স্বপ্না ঠিকই করে নিয়েছে ছেলেটার সাথে সে কথা বলবে। তার চাপা কষ্টের মূল কাহিনী টা বেশ জানতে ইচ্ছে করছে।

সেই কখন থেকে বাসের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছি, কিন্তু বাসের দেখা নেই।মানুষের ধৈর্যের একটা সীমা আছে।অনেক আগেই সেই সীমা অতিক্রম করে এখন ধৈর্যের বাধে ফাটল ধরেছে।এরকম চলতে থাকলে সেই ফাটল বৃদ্ধিপেয়ে যে কোনো সময় ধৈর্যের বাধ ভেঙে যেতে পারে।

রহিমুদি ছেলের মতো ভাল করে তেলমালিশ করছি। অন্য রকম একটা আনন্দ
ধুলাদিচ্ছে অন্য রকম একটা সুখ এর আগে এরকম সুখ আমি কখনো পাইনি।

পনেরো মিনিট হলো ছেড়েছে ট্রেন। ঝকঝক শব্দটা এখন সয়ে গেছে কানে!
এয়ারফোনটা কানে গুজে দিয়ে প্লে-লিস্টটা অন করে বাইরের দিকে নীরব
দৃষ্টিতে তাকালো আবির।

‘তোরা থাকবি তো কাল?’
‘এইতো, থাকছিই…’ এক স্বরে বলে ওঠে কয়েকজন।
‘আর শ্রুতি, তুই না বললি তোদের জুনিয়র কয়েকটা বেশ আগ্রহী ছিল, ওদের সাথে আর যোগাযোগ করেছিলি পরে?’ বাম পাশের দেয়ালে হেলান দিয়ে বসা রাশেদ নামের একটি ছেলে উল্টা দিকের পিলারের পাশের একটি মেয়েকে লক্ষ্য করে বলে। রাশেদের ডাক নাম রুশো।

রফিক আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচতে পারবোনা।
আমিও জান আমিও, খুব আবেগ দিয়ে মেয়েলি আর আহ্লাদী গলায় একটু জিহ্বায় বাজিয়ে উত্তর দেয় রফিক, আমিও তোমাকে ছাড়া এক মুহূর্ত বাঁচতে পারবোনা জান পাখি।

আপনি যতই ধনবান হোন না কেন তা মুল্যহীন যদি তা মানবতার কল্যাণে ব্যয় না করেন।