ধ্বংস-সৃাষ্ট, আলো-আঁধার, ভালবাসা আর নিষ্ঠুরতার
মাঝে আমি উৎকর্ষতা আর শান্তির হাজার স্বপ্ন বুনি;
প্রকৃতির সকল সুন্দর, সকল মমতা, সকল উদারতা
হউক সবার শিক্ষা, হউক সবার প্রিয় প্রার্থনা।

একাত্তরের ছাত্র সমাজ
সাম্য গড়ে তারা,
তাড়িয়ে ছিল ভিন দেশীদের
শত্রু ছিল যারা।

বাঁচার সুযোগ একটা যখন,
চাই যে শিক্ষা শ্বাস যতক্ষণ।
তাই সবার সেরা শিক্ষা পেতে,
সময় পানে চাই সারাক্ষণ।

মা আমাকে সারাটা দিন কানের কাছে ভ্যানর ভ্যানর
ভাল্লাগে না জানো?
আকাশ যদি দু-নম্বর বেশিই পেলো আমার চেয়ে
টম অ্যান্ড জেরি দেখা আমার বন্ধ হবে কেন?

অদ্ভুত এক দৃশ্যের ভিতর
অদ্ভুত এক ছবি,
অদ্ভুত এই কবিতার আমি,
অদ্ভুত এক কবি।

অভিভাবকের তো নেই কোন চিন্তা
টাকার মেশিন দেখে- আনন্দে ভরে যায় মনটা,
শিক্ষার মহাজনের সাথে চুক্তি হয়েছে একটা বেশ
টাকা দিলেই সব ঝামেলা শেষ ।

প্রয়োজনের তাগিদে ব্যস্ত মানুষ বাড়ছে বিড়ম্বনা,
এত ব্যস্ত থাকে মানুষ,মন সারাক্ষন আনমনা।
দূরে যেতে চড়ে গাড়ি,আর দূরে যেতে বিমান,
আজব এই পৃথিবীতে তৈরী কত যান?

ওরে বোকা কেন বুজিস না,
-পাশ করা বিদ্যা মানেই নয় সুশিক্ষা।
সার্টিফিকেট আর GPA-5 এর সমুদ্রে
সুশিক্ষা যে তালিয়ে যাচ্ছে।
মেধা শুন্যতা দেখা দিচ্ছে।
সে দিকে তোর খেয়াল আছে?

তুমিই শিক্ষার জনক,তোমায় সালাম হে গুরু,
শ্রদ্ধা,সালাম করিব আমি,দেহে রবে যতদিন বায়ু |

আম,কাঁঠাল,পাকার মতো মাইনুল অংকে ছিল পাকাপক্ত-
শিখতে গিয়ে হয়েছি কাঁচাশক্ত,ধুমধারাখা মুড়িমাকা খেয়েছি অন্ত ,
গনতন্ত্রের সংঙ্গা না পেয়ে সাইদ স্যারের কঞ্চিচাপটে গা ফেঁটে রক্ত
স্যার রাগেবেগে চলে গেল,উঠল বেজে ছুটির ঘন্টা যেন মুক্ত;

আসল প্রশ্ন না পেয়ে কচি পরীক্ষার্থী হল বোকা।
সবাই মিলে ধরতে গেল সেই আসল কালপ্রিট,
শিক্ষার সাথে করেছে সে প্রতারণা,
সইতে হবে তাকে সকল মারপিট।

মানুষ গড়ার কারিগর
পান না প্রতিদান
তবুও তিনি অবিরাম
মানুষ গড়ে যান।

শিক্ষক আমাদের মেরুদণ্ড
শিক্ষা মানব জনমের প্রাণ ।
এসো প্রাণে প্রাণ মিশাই
গাই জীবনের জয় গান ।

তাঁদের চরণে শত সালাম-নমস্কার
যত শিক্ষক আমায় করেছেন শিক্ষাদান
ভুলতে পারি না তাঁদের কথা

ওই দেখ অনাগত মহাঐক্যের পূর্বাভাস
ওই শোন মহাবিপ্লবের অগ্নিঝরা বাঁশি
নির্বোধ আঁধারকে ভেঙে দিচ্ছে দীপ্তমান তরুণ যুবক,
নিপুন প্রজ্ঞায় জেগে উঠছে দেশ ও জাতি।