হে আমার পরম শ্রদ্ধেয় গুরুজন,
তোমাকে শুধু ধন্যবাদ আর কৃতজ্ঞতা
জানালেও শেষ হওয়ার নয়।

তোমার জন্য তাই শুধুই প্রার্থনা।

শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে আমি দূর করেছি আঁধার,
নতুন করে গড়তে পারি যেন এ পৃথিবী আবার।
শিক্ষার জন্য হতে পেরেছি সভ্য জাতের মানুষ,
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছি উড়িয়ে রঙিন ফানুস।

পৃথিবীর এই মহান শিক্ষকের
নেই কোন তুলনা নেই কোন উপমা
জীবনের প্রথম শিক্ষক সে আমার "মা"|

জোঁক,সাঁপ,কসাই হতে পারিনা,কেন
জানেন?আমরা এ পেশায় আছি বলে ।
সমাজ আজ এত সভ্য ও উন্নত ,কেন জানেন?
আমরা এ পেশায় আছি বলে ।

আম,কাঁঠাল,পাকার মতো মাইনুল অংকে ছিল পাকাপক্ত-
শিখতে গিয়ে হয়েছি কাঁচাশক্ত,ধুমধারাখা মুড়িমাকা খেয়েছি অন্ত ,
গনতন্ত্রের সংঙ্গা না পেয়ে সাইদ স্যারের কঞ্চিচাপটে গা ফেঁটে রক্ত
স্যার রাগেবেগে চলে গেল,উঠল বেজে ছুটির ঘন্টা যেন মুক্ত;

দেশের জন্ন্য করতে কাজ
বলেছিলে তুমি,
মানুষের সেবায় সব সুখ
তা আজ করতে পেরে
তোমার কথার মর্ম টা বুঝি,,,

গুরু প্রনাম রইলো চরণে ।
আজ বিভেদ ভুলেছি
সবাই থাকি মিলেমিশে,
নেই কোনো রেষারেষি
নেই কোনো ঘৃণা

এক ইন্দ্রিয় নিয়ে এগিয়ে চলে...
বাস্তবকে অপমান করে বাস্তবতাকে আঁকড়ে ধরে ,
আপন সত্তাকে ঊর্ধ্বপানে নিয়ে যায় যে ,
সে 'একটি কবিতা' .....

ভাব যদি আছ সুখে
তবেই পাবে সুখ।
দেখবে সারা ধরা জুড়ে
সুখি লোকের মুখ।

ক্লাসটো প্রায় শেষ
আমি ঘুমের দেশ
বন্ধ দুটো চোখ
আর একটু ঘুম হোক
দীক্ষা নেয়ার শিক্ষা
সামনে তাই পরীক্ষা

আখেরাতের বে-খবরদের
যতো শিক্ষাই থাকুক
এসব মানুষ একবার হলেও
শিক্ষা নিয়ে ভাবুক।

প্রয়োজনের তাগিদে ব্যস্ত মানুষ বাড়ছে বিড়ম্বনা,
এত ব্যস্ত থাকে মানুষ,মন সারাক্ষন আনমনা।
দূরে যেতে চড়ে গাড়ি,আর দূরে যেতে বিমান,
আজব এই পৃথিবীতে তৈরী কত যান?

তলানীতে ঠেকেছে গিয়ে সততা যখন
অবক্ষয় প্রকাশিত হয়েছে তখন,
প্রেমে-রণে নেই নাকি কোন সংকোচ !

অভিভাবকের তো নেই কোন চিন্তা
টাকার মেশিন দেখে- আনন্দে ভরে যায় মনটা,
শিক্ষার মহাজনের সাথে চুক্তি হয়েছে একটা বেশ
টাকা দিলেই সব ঝামেলা শেষ ।

অদ্ভুত এক দৃশ্যের ভিতর
অদ্ভুত এক ছবি,
অদ্ভুত এই কবিতার আমি,
অদ্ভুত এক কবি।