আবিদ ও আবীর দুই ভাই । আবিদের বয়স বারো, আর আবীরের দশ । তারা ঢাকার একটা বেসরকারি স্কুলে পড়ে । আবিদ সপ্তম শ্রেণিতে, আবীর পঞ্চম শ্রেণিতে ।
তাদের অনেক দিনের ইচ্ছে নানার বাড়ি যাবে । তাদের নানার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকায় । মা-বাবাকেও একাদিকবার বলেছে তাদের মনের কথা ।

মঙ্গলের দেখা জঙ্গলে পেলাম
শনির দেখা বনে।
দু জনারই বসত বাড়ি
মোদের ঘরের কোনে।

মাটিতে মুখ গুঁজে পড়ে থেকে
যারা আকাশ আঁকে
মুখ তোলার সময় পায় না ,

একাকী পথে দেখিব না আর পথিকের পথচলা,
রাতের মাঝে হারিয়ে যাওয়া মিটিমিটি তারা জ্বলা।
গৌধুলীর আলোয় রাঙাবে না মন প্রকৃতির নীরবতায়,
পুষ্পিত হবে না সেই পুষ্প জীবনের সজীবতায়।

মানুষের মন বলে কথা।
মনের কোন সীমাবদ্ধতা নেই। গতি প্রকৃতি বোঝার সাধ্যও নেই। মন যে কখন কাকে ভালোবাসে, কাকে ভালো লাগে, তা একমাত্র যার মন সেই জানে। যার ভাবনা সেই বলতে পারবে। হাত পা চোখ কান সব কিছুর উপর খবরদারি চলে,

প্রভূর ঘর দেখে আসতে চায় এ মন
অশান্ত হৃদ তার পরশে যাবে কখন?

কতো কথা কতো স্মৃতি
ভালোবাসা প্রেম প্রীতি
সব কিছু আজ যেন মিথ্যে,
পাগল করা হাসি যে তার
দেখতে চাইনা আমি আর
আগুন ধরিয়ে দেয় চিত্তে।

দুঃখ ছাড়া এই জগতে
সুখ না আর মেলে,
খাঁটি মানুষ হয়, দুখের-
আগুনে জ্বলে জ্বলে ।

সারাদিন আমি উদাস বাউল
বুকে বসন্তের ঘ্রাণ,
ভালোবেসে দূরে সরে থাকা
আসলে গোপন অভিমান ।

ভালোবাসা আকাশের শুভ্র মেঘ, তুলার মত ।
ভালোবেসে আপনি আকাশ হতে পারেন,
হতে পারেন শুভ্র মেঘ

তুই কি শুধু আমার হবি।
তুই কি আমার দুঃখ হবি
শুষ্ক চোখে রোদন হয়ে
অশ্রূ কণা পড়বে বয়ে
চোখের জলে নাও ভাসাবি

চুপি-চুপি ঢেউগুলো দেখছিলাম
মিট-মিট করে জ্বলা কুপির আলোতে,
পাজরের হাড়গুলো -ক্ষিধের যাতনায়
মুচকি হেসেছিল নব আশাতে।

কাগজে আঁকা আছে খুচরো স্বপ্নরা
একাকী ভেসে যায় নৌকো- দাঁড়-পাল;
মাঝি তো একলাই, দু'হাত সব জোড়া
বেহাত হবে ঠিক, স্বপ্ন বানচাল!

আহত হই । আহত হোতে থাকি ।
আর কিছু দিয়েছে কি সংবেদন ?

এত যে আঘাত এত ক্ষত ।
এত যে আঘাত এত নুন ।

আশাকরি তুই এখনো আমার প্রতি ক্ষ্যাপে আছিস। জানি তুই ক্ষনেক্ষনে ক্ষ্যাপে যাস। ওই জন্যই তোর নাম দিয়েছি ক্ষ্যাপা।...........................................................................।
ক্ষ্যাপা, ক্ষ্যাপিস না শোন...
ছবিটা মেয়ের, কিন্তু কথা গুলো ছেলের মত? তাহলে কে হতে পারে?