এই কবিতাটি আমার ব্যাক্তিগত জীবন প্রবাহের উপর ভিত্তি করে লেখা।অনেক গুলো প্রশ্নের জওয়াব যা আমার নিজেকে করা, এসবের উত্তর খুঁজতে গিয়ে লিখেছি।

চাই না আমি এমনতরো কল্পগাঁথা বিজ্ঞান
যে বিজ্ঞানের কল্পকথা পড়লেই হতে হয় অজ্ঞান ।

অপ্রকাশিত সহজ গল্পের শিরোনামে এসেছ তুমি
উদ্ভাস্তু চাঁদের মায়াবী হাসি হয়ে।

অনেকদিন আগেই হারিয়ে ফেলা পৃথিবী
এখনো তাই খুঁজতে থাকি ছায়াপথের জঞ্জালে..

এমন যদি হতো একদিন, রিক্সা উড়তো শূন্যে, সহজ হতো পথ চলাতে জ্যামে আমার জন্যে, এমন যদি হতো আহা, বিমান হতো ছোটো আমায় নিয়ে উড়তো নীলে, মানুষ হতাম দুটো

ক্রমেই পৃথিবী ছোট হয়ে আসছে
বৈজ্ঞানিক যন্ত্রদানবের হিংস্রতায়,

তোমার মত অপূর্ব দ্যুতির দৃষ্টি আমার নেই
সূর্যের রঙিন আলো ঢেউ তোলে না আঁখি পল্লবে

আধুনিক মানুষগুলো গণ্ডগোলের হোতা
কুসংস্কারে ভরা ছিল ওদের সবার মাথা

ইছামতির শিতল জলের বুকে ঘুরপাক খায় উষ্ণ বাষ্প
রিক্ততার বাণী লেগে থাকে কুয়াশার মুখে

বিজ্ঞানের সাধনা আমায় করেছে উন্নত,
দেশের কল্যানে মন চলমান ব্রত।

এক ঢোক পানিরই সাথে....

বিমল বাবু ফিজিক্স পড়ান শিমুলতলী স্কুলে
নুন আনতে পান্তা ফুরায়, কস্টে জীবন চলে ।।

যুগে যুগে শুনছি কত দেখবো কত আর,
গাড়ী বাড়ি হাওয়াই জাহাজ কতো আবিষ্কার!

বিশ্ব সভ্যতার আদি থেকে সাম্প্রতিক অবধি
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের দাবিদার হে মানবজাতি!

বজ্রস্বন স্বনিলে নভে গুঞ্জরে অলি
কাঁটার নিকুঞ্জতে, গোলাপকর্ণরন্ধ্রে