বিংশ শতাব্দী নয় এই বছর কয়েক আগে,
কোনো অঙ্কের ক্লাস পালিয়ে প্রতিঙ্গা বদ্ধ হয়েছিলাম।
এখনো এক একটা রাত আসে পরিক্লান্ত দিনের শেষে,
তোমার অপূর্ণ প্রেমের স্মৃতি আর তোমার গল্প নিয়ে।

চলেছি যে'পথে একা
সে'পথে পাইনি'তো দেখা
তোমারতো অজানা ছিলনা
সে'পথে হাঁটছি আমি
তোমারই দিকে
তুমি ছিলে মিথ্যে মরীচিকা।।

আমার এ বাড়িতে আসা যাওয়া তোমার হয়ে গেল এখন পর
আপন করিতে আর পারিবে না আমায় থাকবে পরের ঘর।

দৈন্য ঘরে জন্মো তার ,
তার শৈশব শুরু নিবে যাওয়া আলোতে ।
অর্জন করবে সে বেশ কিছু ,
তবে নেই তার বিত্ত কিছু । কি করি কি উপায় ?

তখনও আমি একটি স্বপ্নে বেঁচে থাকতে শিখিনি
তখনও আমার চোখের কোণে প্রেম খোঁজা হয়নি
তখনও আমি আপন করে বিভোর হয়ে
কারোর তরে এই আমাকে সোঁপতে জানিনি।

খর‌রৌ‌দ্রে পু‌ড়ে‌ছে শরীর,
বৃ‌ষ্টির জল আজ ছু‌য়ে দে‌খেনা আমায়।
শ্বশা‌নের চন্দনকা‌ঠের গন্ধ,
তাই আগুনও আজ জ্বালা দেয় না।

পিতামাতা ভুলে গেছে বাবুটা কেমন আছে ঘড়ে
জড়িয়ে ধরে আছে আধুনিকের মুঠোফোন টারে
আদরের পাপ্পিটা সহ ভুলে গেছে মন হতে সবে
মনে মনে বাবু ভাবে সেও আধুনিকের ফোন হবে।।

চোখ ডলতে ডলতে,আড়মোড়া খুলতে খুলতে,
আমি ছুটে চলি স্বপ্নের তালা খুলতে।
বহু দূরের পথ,মেনে চলা শপথ,

বাসে উঠেই মুখে হাসি ফুটে উঠল
যাক বাবা! আজ আর বাঁদরঝোলা হয়ে ঝুলতে হবেনা।
জানালার পাশের একটা খালি সীট দেখে বসে পড়লাম,
চলন্ত গাড়ি থেকে আশেপাশের দৃশ্য যে এতো মজার হয় তা কে জানতো?

ধূধূ প্রান্তরে হেঁটে চলি আমি একা…
ভেঙ্গে যায় আশার বাঁধ
চারপাশ সবই মনে হয় মরীচিকা।

জীবন নদীর আবর্তনে সময়ের টানে
বদলেছে অনেক বদলেছি আমি
শুধু বদলে যাওনি তুমি
চলেছ ছন্দ তালে অনন্ত বিষাদ প্রাণে

গল্পকার,
তোমার ভালোবাসায় বর্ণহীন আমি
হয়ে উঠি প্রদীপ্ত, রঙিন।
বাঙ্ময় হয়ে উঠে নীরব প্রান্তর।
শূন্য, রিক্ত, অপূর্ণ আমি
হয়ে উঠি পরিপূর্ণ।

বাইরের রোদ্দুর নেই,
ভাইরাস জ্বর নেই,
আবেগ আর অস্তিত্ব নেই,
টানাপোড়েন নেই,
মাথা ব্যথা রোগ নেই,

সুখপাঠ্য শান্তির জন্য এসেছ, শান্তি নাও।
বুকে যদি ভুল থাকে—তবুও !
দুহাতে নাও আমার জিন্দেগীর অভিধান !

দিগন্ত জুড়ে ছিল যত বাতায়ন
রুদ্ধশ্বাসে অব্যাক্ত ক্রন্দন ভরা
আমি দিয়েছি খুলে দুহাতে দু কপাট
করে দিতে দুঃখহীন , ব্যাথা বেদনাহীন