প্রতিটি বরষার রাত এইভাবে আবেগ তাড়িত,
গড়াতে গড়াতে শুধু ভেঙে যেতে থাকি।
চলার পথে দাঁড়িয়ে থাকে স্বপ্ন
চলতে চলতে স্বপ্ন দেখলে হোঁচট খাব পাথরে,

শূন্যতাই যার জীবন ভরা, পূর্ণতা কি আছে ?
সুখের জন্য হন্য হয়ে যায় যে দুঃখের কাছে।
আমার-আমার করে কাটলো জীবন
আমার বলে নেই তো কিছু, আছে শুধু মরণ।

দৈন্য ঘরে জন্মো তার ,
তার শৈশব শুরু নিবে যাওয়া আলোতে ।
অর্জন করবে সে বেশ কিছু ,
তবে নেই তার বিত্ত কিছু । কি করি কি উপায় ?

শেষ বিকেলের আলোটা বিলিন হতে হতে
ঝুপ করে সন্ধ্যা নেমে আসে।
সন্ধ্যার আয়োজনটা বড় মায়াবী।

আমি একবার কাকতাড়ুয়া হব।
নিশ্চল,নির্ভেজাল কাকতাড়ুয়া।
কৃষক জমিতে ফসলের বীজ
ছিটিয়ে দিয়ে আমাকে রেখে যাবে পাহারায়।

জীবন নদীর আবর্তনে সময়ের টানে
বদলেছে অনেক বদলেছি আমি
শুধু বদলে যাওনি তুমি
চলেছ ছন্দ তালে অনন্ত বিষাদ প্রাণে

শীত বসন্ত সব ছাড়িয়ে
থাকবো আমি নীরব হয়ে।
শত শত বছর ধরে
চাঁই বাধানো শ্বেত পাথরে।

আমি সেদিনও ‍ দাঁড়িয়ে ছিলাম
তুমি দেখে গেলে চলে
আমার ব্যাকুল মনের আকুল চাওয়া
তুমি দেখলে না।

আমার এ বাড়িতে আসা যাওয়া তোমার হয়ে গেল এখন পর
আপন করিতে আর পারিবে না আমায় থাকবে পরের ঘর।

হৃদয় থেকে রক্ত ঝরুক,
হাসবো দুগাল ভরে!
আজ থেকে হোক শুরু নতুন করে।

রোজকার মতো কাঁচের দরজা ঠেলে
তোমাদের আসা যাওয়া ছিলো,
দিবারাত্র যখন তখন ,বলে না বলে।
শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে – একান্তে দুজনে
আমার যুবতী মন কেঁপে ওঠে সেকি শিহরনে ।

ঝরিল অশ্রু গো সখী ঝরাতে ব্যাথা
বাকস্রোতে গাহিল বুকের অঞ্জলি গাথা।
ঝরা অতীত,বিগত অশ্রুতে ভিজে জলাল্পুত
ইতিনিতি শব্দতার হতমর্মে আধিপত্য।

ভালবাসা টা তুলে রেখেছি আমি
তোমার সাথে জ্যোৎস্না রাতে
ছাদের উপর চায়ের সাথে বিস্কিট ভিজিয়ে ভিজিয়ে
রোমান্টিক কবিতা আবৃিতি করব
তুই আর আমি মিলে।

বেঁচে থাকার সংশয়!
যেনো পতঙ্গ প্রেমাবর্তনে
বিরহ; অনন্তকাল অক্ষয়।

বুকের গভীরে যেখানে ভালবাসার দোলাচল, সেখানে
আমার নিত্য চলাচল ভবঘুরে পথিকের মত।
তোমার উদাস চোখ যে পথের দিশা খোঁজে সেখানেই করি বাস।
অথচ কিছুতেই দুজনার হতে পারিনা দুজন কিছুতেই।