সুখপাঠ্য শান্তির জন্য এসেছ, শান্তি নাও।
বুকে যদি ভুল থাকে—তবুও !
দুহাতে নাও আমার জিন্দেগীর অভিধান !

লেগেছে তোমায় অনেক ভালো,
ভালবাসি তোমায়!-কিভাবে বলিব,বলো?
আমার আঁখি দুটি প্রতিনিয়ত থাকে তোমার মুখপানে,
পাব কিনা তোমায তা ঐ আল্লাহ্ জানে ।

বিংশ শতাব্দী নয় এই বছর কয়েক আগে,
কোনো অঙ্কের ক্লাস পালিয়ে প্রতিঙ্গা বদ্ধ হয়েছিলাম।
এখনো এক একটা রাত আসে পরিক্লান্ত দিনের শেষে,
তোমার অপূর্ণ প্রেমের স্মৃতি আর তোমার গল্প নিয়ে।

বাসে উঠেই মুখে হাসি ফুটে উঠল
যাক বাবা! আজ আর বাঁদরঝোলা হয়ে ঝুলতে হবেনা।
জানালার পাশের একটা খালি সীট দেখে বসে পড়লাম,
চলন্ত গাড়ি থেকে আশেপাশের দৃশ্য যে এতো মজার হয় তা কে জানতো?

আমি কিছুটা সময় ধংস হতে চেয়েছি
কিছুটা সময় অন্ধকারে কাটাতে চেয়েছি
আমি কিছুটা সময় তোমাকে ছুয়েঁ দগ্ধ হতে চেয়েছি
কিছুটা সময় তোমাকে হারানোর যন্ত্রণার দীর্ঘশ্বাসে লন্ডভন্ড হতে চেয়েছি

পালটে যাব বলে
বুকের ভিতর একটা পাথর চাপায়,হাজারটা।
পালটে যাব বলে
স্মৃতি গুলো রোজ গলা
টিপে টিপে মারি।

দিগন্ত জুড়ে ছিল যত বাতায়ন
রুদ্ধশ্বাসে অব্যাক্ত ক্রন্দন ভরা
আমি দিয়েছি খুলে দুহাতে দু কপাট
করে দিতে দুঃখহীন , ব্যাথা বেদনাহীন

গল্পকার,
তোমার ভালোবাসায় বর্ণহীন আমি
হয়ে উঠি প্রদীপ্ত, রঙিন।
বাঙ্ময় হয়ে উঠে নীরব প্রান্তর।
শূন্য, রিক্ত, অপূর্ণ আমি
হয়ে উঠি পরিপূর্ণ।

ভালোবাসি বলতেই তোমার যেন চমকপ্রদ হল মুখ!
ফাটল ধরেছে বুঝি জমিয়ে রাখা ভালোবাসায় এক বুক।
বিগত বছরের ভালোবাসা আজ গিয়েছে রসাতলে,
ক্লান্তিহীন ঝরছে দুঃখ; জড়িয়ে পড়ছে আমার অশ্রুজলে।

চলেছি যে'পথে একা
সে'পথে পাইনি'তো দেখা
তোমারতো অজানা ছিলনা
সে'পথে হাঁটছি আমি
তোমারই দিকে
তুমি ছিলে মিথ্যে মরীচিকা।।

টিএসসির কোন এক নবীনবরণের অনুষ্ঠানে
নীল শাড়ি পরা মিষ্টি তরুণীটি
যখন দু’হাত বাড়িয়ে আদর করলো কুকুর ছানাটিকে
আর বেড়ে যেতে লাগলো আমার অন্তর্বেদনা,

আমি সেদিনও ‍ দাঁড়িয়ে ছিলাম
তুমি দেখে গেলে চলে
আমার ব্যাকুল মনের আকুল চাওয়া
তুমি দেখলে না।

কেমন আছো অন্তর! জেগে আছো, নাকি ঘুমিয়ে পড়েছো?
তোমার রাতের আকাশ জুড়ে কী এখনও নীল মুনিয়া উড়ে যায়;
তুমি কি দেখতে পাও সেই মুনিয়া পাখির নির্ঘুম রাতের একাকী কষ্টগুলো;
সেই কষ্ট কী তোমাকে একবারো আলোড়িত করে যায় না?

পরাভূত জীবনে সেই সময় আজও আসেনি
ঘড়ির কাটার ফাঁক গলে সময় গড়ায়, অশ্রুত
সুরের রাগিনি বুঝি বাজে, কঙ্কণ পায়ে সন্তর্পণে
জানালায় উকি দেয় প্রেয়সীর মুখখানি, চাঁদ মুখ।
হাত বাড়ায়ে ছুঁয়ে দেখা হয়নি সেদিন।

শৈশব-কৈশোর পেরিয়ে আজ আমি বাধক্যে উপনীত !
তবুও তোমাকে পাওয়ার সেই অনুসন্ধিৎসু হৃদয়ে
আজও শুন্যতার হাহাকার !