পিতামাতা ভুলে গেছে বাবুটা কেমন আছে ঘড়ে
জড়িয়ে ধরে আছে আধুনিকের মুঠোফোন টারে
আদরের পাপ্পিটা সহ ভুলে গেছে মন হতে সবে
মনে মনে বাবু ভাবে সেও আধুনিকের ফোন হবে।।

প্রতিটি বরষার রাত এইভাবে আবেগ তাড়িত,
গড়াতে গড়াতে শুধু ভেঙে যেতে থাকি।
চলার পথে দাঁড়িয়ে থাকে স্বপ্ন
চলতে চলতে স্বপ্ন দেখলে হোঁচট খাব পাথরে,

পাহাড় নদী সমুদ্র
জগৎ জুড়ে সর্বত্র,
কোথাও নেই তুমি ।
হৃদয় মাঝে শুধু
তোমার একখানি সোনার ছবি।

রোজকার মতো কাঁচের দরজা ঠেলে
তোমাদের আসা যাওয়া ছিলো,
দিবারাত্র যখন তখন ,বলে না বলে।
শীততাপনিয়ন্ত্রিত ঘরে – একান্তে দুজনে
আমার যুবতী মন কেঁপে ওঠে সেকি শিহরনে ।

ধূধূ প্রান্তরে হেঁটে চলি আমি একা…
ভেঙ্গে যায় আশার বাঁধ
চারপাশ সবই মনে হয় মরীচিকা।

হৃদয়ের অন্তঃ কুঠিরে বহে প্রবল বিক্ষুব্দ ঝঞ্জা ঝড়,
সামলাতে গিয়ে টালমাটাল হয়ে যায় প্রতি মুহুর্ত।
পা হরকে অতল গহবরে হারিয়ে যাওয়ার ভর,
তবুও সাহসি নাবিক পেয়ে যায় বেঁচে থাকার শর্ত।

শ্বাপদ হয়ে মাটিতে সাঁতরে
বালির জলপ্রপাত অতিক্রম করেছি
শুধু তোমার চোখের তীরে বিদ্ধ হতে
আমাকে ভালবাসা দিও না
ঘৃণা দিও!

দৈন্য ঘরে জন্মো তার ,
তার শৈশব শুরু নিবে যাওয়া আলোতে ।
অর্জন করবে সে বেশ কিছু ,
তবে নেই তার বিত্ত কিছু । কি করি কি উপায় ?

আমাকে কষ্ট দেবার মতো
বুলডোজার তোমার কাছে নেই ।
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন পদার্থ হীরকের ন্যায়
আমার মন –

চোখ ডলতে ডলতে,আড়মোড়া খুলতে খুলতে,
আমি ছুটে চলি স্বপ্নের তালা খুলতে।
বহু দূরের পথ,মেনে চলা শপথ,

কোথায় যেন কতকাল
সে ছিল বিহ্বল-বেসামাল,
চোখের সম্মুখে রোদ আসে রোদ যায়
বৃষ্টি এসে যায় ঝড়ে যায়
পাখীরা গান গেয়ে যায়
ফুল গুলো ফুটে যায়

বিংশ শতাব্দী নয় এই বছর কয়েক আগে,
কোনো অঙ্কের ক্লাস পালিয়ে প্রতিঙ্গা বদ্ধ হয়েছিলাম।
এখনো এক একটা রাত আসে পরিক্লান্ত দিনের শেষে,
তোমার অপূর্ণ প্রেমের স্মৃতি আর তোমার গল্প নিয়ে।

আমার বিশালতা তোমাকে স্পর্শ করতে পারেনি; একদম পারেনি
ছুটে চলছো তুমি আমার বুক দাপিয়ে, দেশ থেকে দেশান্তরে
কতো ঘাটে নোঙর যে তুমি ফেলেছো! অসহায় আমি চেয়ে চেয়ে দেখি
কামস্বপ্নগুলো কি সতেজভাবে চকচক করছে তোমার চোখে

সময়ের সন্ধিঃক্ষণে, আমি খুঁজি নিজেকে
হারিয়ে যাই সময়ের অতল গহবরে।
জীবনের বাঁকে বাঁকে ফেলে আশা সময়,

চাঁদ অভিমান করে
মেঘের আড়ালে মুখ ঢেকে নেয়,
কত নিশি জ্যোৎস্না দেখা হয় না।