সদা হাস্যোজ্বল মুখখানি
হাসিতে আগুন ঝরে
ৰাদামি রঙের এলো কেশে
ঢেউ খেলিয়ে যায় বুকে
এক চিলতে কালো তিলে
ঠোঁটের ভাজে প্রেম খেলা করে

তুমি চাইলে-
আনবো তুলে হাসনা-
বকুল।
খোঁপায় জড়াবো দুধ-সাদা
লাউফুল।

কতদিন দেখিনা যে, তোমাকে এ পথে-
ওগো নীলাম্বরী! বর্ষা চলে গেছে আজ
অনেকদিন; পথেতে শরতের রাজ
সেও গেছে একদিন শিউলির সাথে;

শ্যাউলাধরা পুরনো গোরস্থানে তোমার প্রিয় এপিটাফ টা-
করেছো বক্ষে ধারণ যেন ইহলোকের দেহত্যাগে-
শরীরী আত্মার পুরোটা জুড়ে শতাব্দীর পর শতাব্দী।
টী- শার্ট ,কফির পেয়ালা, পুরনো কবিতা কিংবা সিগারেটের এশট্রে-তে,
রেখে যাওয়া স্পর্শগুলো কেবলি এখন মরীচিকা ।

রমণী,
তুমিই গড়ে তোল জগৎ সৃষ্টি,
আবার তুমিই করো ধবংসের ইতি।
এই পৃথিবীতে যা কিছু সুন্দর-
তুমিই গড়ে তুলেছ কল্যাণময়,
তুমিই আবার করেছ বিষাদময়!

সন্ধ্যা হবে হবে দুলছিলো বনের পাতা ,
মনের আনন্দে হাসছিলো গাছের পাতা!
পাখিরা যেন সব করছিলো মাতামাতি,
সবাই খুঁজছিলো মনের মতো সাথী।

আজিকের এই রাত আমার,তোমার দেয়া দান,
তোমার দিবা,আমার নিশি,তোমার উপাখ্যান।
তোমার ছন্দ,আমার মন্দ,
আমার তরে সুখ দ্বন্দ।
আমার তরে শত সমাজ শৃঙ্খল উত্থান।
আজিকের এই রাত আমার,তোমার দেয়া দান।

তোমরা কেউ নক্ষত্ররাতের স্বর্গ দেখেছ-
তারা ঝিলমিল, নীহারিকা-আলোক গঙ্গা-দূর বহুদুর;
আমি দেখেছি; কারন-
আমিতো স্বর্গ থেকে পতিত
আমিতো সেই-যার অসীম মায়াবী ছলনায় প্রলুব্ধ হয়েছিল অ্যাডাম।

হঠাৎ দেখা গাঁয়ের পথে
সুন্দরী এক রমণী
মনটা আমার কেড়ে নিয়ে
হারিয়ে গেল তখনি।

তুমি সন্ধ্যা প্রদীপ নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকো

ক্লান্ত আকাশের নীচে

আমায় আলো দেখাবে বলে

দিনের গুণ টেনে ক্লান্ত দিনের পর

গোধূলির আলোয় মায়াময় ছায়াময় তোমার মুখে

অন্য দেশের নিমন্ত্রণ ।

তোমায় নিয়ে কবিরা লিখে কত কবিতার শব্দের মালা
তোমায় দেখে কেউ বা আবার প্রেমের গান গেয়ে যায়,
তোমায় ভেবে কেউ বা বানায় তাজঁ মহলের ঘর
তেমনি নেপোলিয়ন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো পুরো ট্রয় শহর।

ঘর সাজানো ঘরের মতো মন সাজে আর
শাড়ীর মতো পড়ে নেয়া সকল ব্যথা,
চুলের ঘ্রাণে খসে পড়ে বিলোল হাসি-
যেমন খসে কিশোর মাখা চুলের কাঁটা।

মন জুড়ানো দুই চোখে তার শিশুর সরল পাঠ!
নীল দিগন্তের সেই কোটরে, শীতল ঝর্ণা নামে
কুসুম রঙের দেহাবরণ, ভাসছে সোনা খামে!

একুশের শ্লোগানে, আটই ফাল্গুনে-
কবিতার সনে হয়নি পড়া-অভিমানী প্রিয়ার প্রিয় কবিতাখানি;
ছেষট্টি ফাগুনে কত পুষ্প ফুলবনে-তুমি একবারও আসোনি।

চায়ের কাপে ভেসে উঠা ধোঁয়া সেই কবে
কুণ্ডলী পাকিয়ে মিলিয়ে গেছে শূন্যে
তোমার গাল এখনো ফুলে আছে অনাকাঙ্ক্ষিত কথার ফাঁপে
ঠোঁটের দোয়ারে বাসা বেধেছে রাজ্যের নীরবতা...