স্বর্গের মাঝে বসবাস করে,
স্বর্গ সুখগুলি আজ পানসে,
অনুভূতির রংগুলি হয়ে গেছে ফ্যাকাশে ।

কতদিন দেখিনা যে, তোমাকে এ পথে-
ওগো নীলাম্বরী! বর্ষা চলে গেছে আজ
অনেকদিন; পথেতে শরতের রাজ
সেও গেছে একদিন শিউলির সাথে;

তুমি কি নীল নয়না ?
নাকি, বাংলার ঘরের জতিষ্ক ?
তুমি কি সেই মায়াবী রুপের মহিমা।
যে যন্ত্রণা কাতর স্বামীর বুকে-
কথা কাটি দেয় ছুড়িয়া।

চায়ের কাপে ভেসে উঠা ধোঁয়া সেই কবে
কুণ্ডলী পাকিয়ে মিলিয়ে গেছে শূন্যে
তোমার গাল এখনো ফুলে আছে অনাকাঙ্ক্ষিত কথার ফাঁপে
ঠোঁটের দোয়ারে বাসা বেধেছে রাজ্যের নীরবতা...

আমি পরিবার চিনি,সমাজ চিনি, দেশ চিনি,বিশ্ব চিনি
কোন্ কঠিন বাহু আমার পথকে আগলে দাড়ায়?
আমার উদ্যম গতিকে যারা গতিময় করে
আমি তাদেরই একজন।

সিঁড়ির শেষ ধাপে,উঠে আসা মহিয়সী মা,
দুধার কাটো যেনো শাখের করাত।
বিনাশ সে দুগ্ধপোষ্য জগৎ ও জাতির,সে সন্তানের,
যে গর্ভ যাতনার রাজ সাক্ষি হয়ে,নেমে এসেছিলো,
কায়া বেয়ে যদি গড়িয়ে পড়ে,অভিশাপের কালো ছায়া।

প্রিয় রমনী, তোমার প্রেমিক হওয়ার যোগ্য আমি নই।
তাই পূজারী হতে চাইছি তোমার।
প্রেমিকের অনেক চাওয়া পাওয়া থাকে,
দাবী দওয়া থাকে।

রমণীর সুখ বিলিয়ে দিয়ে পুরুষ করেছে মহান
রমণীর প্রেমে ছন্দ পেয়েছে কবি, সুর পেয়েছে গান।
রমণীর আদর সোহাগে এ সংসার ভরে গেছে সুখে
রমণীর ভালোবাসায় পুরুষ কষ্ট ভুলে যায় দুখে!

সেজেছে আজ স্বাধীনতা জমকালো এক সাজে,
নয়া খদ্দের পাবে বলে ।

পড়নে তার লাল জামা ;
খোপায় সবুজ ফিতে ।

যখন চারিদিক ডুবে ছিল সার্বভৌম অন্ধকারে,
তুমি হঠাৎ উদয় হলে এক বিন্দু আলো হয়ে,
তারপর দিগন্ত জুড়ে ক্রমশ বিকশিত হয়ে উঠলে ,
ভাববাদিতার অন্ধকারের ঘুম থেকে জেগে উঠলাম আমি পুরুষ,
আমি উত্তম পুরুষ , আমি মধ্যম পুরুষ , আমি অধম পুরুষ ।।

তুমি এসো হে রমণী
তুমি এসো হে রমণী
এসো মোর হৃদয় কাননে
প্রেমের ফুল ফোটাতে এ মনে।

তোমায় নিয়ে কবিরা লিখে কত কবিতার শব্দের মালা
তোমায় দেখে কেউ বা আবার প্রেমের গান গেয়ে যায়,
তোমায় ভেবে কেউ বা বানায় তাজঁ মহলের ঘর
তেমনি নেপোলিয়ন জ্বালিয়ে দিয়েছিলো পুরো ট্রয় শহর।

নারী অমৃত নারী অতৃপ্ত নারী বসন্ত সারা অনন্ত
নারী আশ্রম এক জীবন্ত।
নারী কাঙ্ক্ষিত-অনাকাঙ্ক্ষিত ভুলের সংমিশ্রণ,
নারী দেবী নারী সরস্বতী নারী সমস্ত পুরুষের
প্রীতি হারা জীবনের শ্রেষ্ঠ আনন্দ ক্ষণ।

তুই কি জানিস তোর আগমনে
নহলী স্বপ্ন সাজলো নয়নে,
ঘুমহীন হয়ে দিবানিশি তাই
মানসনেত্র জাগে ...

এস অন্তঃপুরবাসিনী
এস মহাকাল বিচূর্ণ করে
দুর্ভেদ্য ঐ কাল মেঘ সরিয়ে।
যাও আকাশ যাও আজ বরণ করো
সাজিয়ে আনো আশ্বিনের ডালা-