আমার এক টুকরো
খোলামেলা আকাশ থেকে
তোমার দুঃখ মেঘের
উদাসী ঘুমটা খানা সরাও,

এখানেতে আসি প্রায়
এ সবুজ বৃক্ষ ছায়;
যেথায় মুখটি ঢেকে ঘাসের কাঁথায়
মোর বন্ধুরা ঘুমায়।

অতসী ফুলের রঙে রঙে রাঙাবো
তোমার নিভূত নির্জনসকাল।

সোনালী আবেশে মিশে যাবে
দু’জনার অবিমিশ্র ভালবাসার
মমতায় জড়ানো পড়ন্ত বিকেল।

প্রতীক্ষা যদি হয় বিষাক্ত নীল,
যদি টুকরো কাচের উপর পা রেখে এক যুগ
দাঁড়িয়েও থাকি,
নোনা রক্তিম জলে যদি প্লাবন হয় পৃথিবীর বুক,
আমি থাকবো তার জন্য,সে যদি আমার প্রাণের প্রিয়,

চলে গেছে প্রাণপ্রিয় আমার আপন ...,
থেমে গেছে সব হাসি
স্মৃতির মধুসূধা হয়ে যাচ্ছে বাসি ।

জানি একদিন শেষ হবে আমার এ প্রণয়ের প্রতীক্ষা,
যেদিন ধূলিসাৎ হবে পৃথিবীর এ উষ্ণ রঙ্গমঞ্চতা।
সকল কোকিলের মোহনীয় কন্ঠ একই সাথে হবে রুদ্ধ,
কবির মনের কাগজে লেখা হবেনা আর কোন কবিতা আবৃত্য।

একাএকাদিন কেটে যায়
বন্ধু তোমারঅপেক্ষায়
কবেপাবো তোমার দেখা
সেইআশায়দিন যে যায়।

যতদূরে যাই-আত্মার গহীনে
সূক্ষ্ম একটা টান থেকে যায়
মুখোমুখি বসে ইচ্ছেমতো বলি যা মন চায় ।
সহস্র অভিমান, করুন জল,নীলাভ কষ্ট
তারপর বিভাজিত পৃথক দুটি পথ

যতই তোমাকে বোঝাই, এর নাম ‘কষ্ট’ নয়;
এ হলো আনন্দ ভ্রমন – সহজ যাতায়াত শুধু নয়,
এ হলো তোমার কাছে যাওয়া – যাতনা সারানো !
এতো কেবল একটি টিকেট আর চোখ বুজে
জানালার গ্লাস ঠেলে শ্যামলীর সিটে বসা নয় ।

দল ছেড়ে উড়ে আসা
দু-একটি চুলের দুষ্টুমি-
হয়তো মেনেই নেব আমি,
নিচু স্বরে গল্পে মুখর
হবো দুজনেই।

নির্ঘুম কত রাত-
বেঘোরে হারানো প্রভাত গেলো,
গেলো দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা।
দূর আকাশের ঐ হলদেটে চাঁদ গেলো-এলো-বদলালো,

এ ক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
দশ মাস দশ দিন যুদ্ধশেষে
জয় পরাজয়ের টানাপোড়েনে।

তুমিতো কখনো আমাকে একটি চিঠিও লেখোনি
কাঁচুলিতে লুকানো কাঙ্খিত প্রেমপত্র আমাকে ছোড়োনি-
যেখানে থাকে তিনটি শব্দ শিহরণ জাগা কাহিনী
'আমি তোমাকে ভালবাসি'।

বৃক্ষের গভীরে শেকড়
উপরে ডাল পালা
ফুল ও ফল সব সময় তৎপর
কিন্তু শেকড়েই জ্ঞান বুদ্ধি ও বিবেক
শেকড় ছাড়া গাছ ধীরে ধীরে প্রাণহীন হয়ে যায়

এক যে ছিল চিত্রকর আঁকতো ছবি না দেখে
ভাবনায় সে ডুবিয়ে তুলি কল্পনা দে’ ঢাকতো রেখে।
এমনি করে হাওয়ার মাঝে ফেলল এঁকে রাজকুমার
পড়লো প্রেমে, নিত্য দেখে ঢাকনা খুলে শতেক বার
কেউ জানেনি গুপ্ত প্রেম, বলত না তো কাউকে সে