প্রিয়তমা তোমার সংজ্ঞা কি?
অথবা তোমার ঠিকানা?
জানি না; হয়তো তুমি
যেমন ভাবছো অথবা আমাকে ভাবাচ্ছ!

মেয়েরা সুন্দরগুলো আঁচলে নিত;আর ছেলেরা রাখত বুক পকেটে
শীতের সকালে আড্ডা চলতো পিঠা উৎসবে,নরম রোদে অথবা
সুন্দর গায়ে মাখতো বিকেলে গোল হয়ে বসা আড্ডার মাঝে আগুনের হল্কায়।

কে রয় প্রতীক্ষায় পাহাড়ের গায়
আকাঙ্ক্ষিত একটি সোনালী সকালের তরে
মেঘে ঢাকা রয় লালচে আভায় সোনালী স্বপ্ন বাসরে
সাঁঝের ক্লান্ত তারা দেয় আশা – ওরে দাড়া !

কোথায় ছিলে এতদিন জ্ঞাননন্দিনী
কত খুঁজেছি তোমায়,
হাত ধরে হারিয়ে যাওয়া কাঁশবনে;
লাল পদ্ম ফুটে থাকা লেকের ধারে।

এ ক্ষণে দাঁড়িয়ে আছি
জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে
দশ মাস দশ দিন যুদ্ধশেষে
জয় পরাজয়ের টানাপোড়েনে।

সারাটি দিন গেল চলে
আসবে কখন বাবা?
সেই যে গেছে সকাল বেলায়
আর হয়নিতো দেখা!
সন্ধ্যা হলে আসবে যখন

গঙ্গায় ভাঙন
খবরের শিরোনামে এবার বর্ষায় ।
কুলিন ব্রাহ্মণ ভেসে যায়
মকবুল চাচার সাথে বিসমিল্লা করে ।

আজ আকাঙ্খায় বসতি আমার
স্মৃতিগুলো করছে খালি নড়াচড়া
প্রতীক্ষার প্রহর বাড়ছে তো বাড়ছেই
জীবনটা কি শুধু অতৃপ্তিতে ভরা।

ব্যাস্ত সকাল ব্যাস্ত দুপুর ব্যাস্ত সারাদিন
সন্ধ্যা বেলা বেরিয়ে দেখি বিকেলটা প্রাচীন
রাত্রি হল, ভোর হল, সকাল হল কই?
অন্ধকারেই ব্যাস্ত নগর করছে হই চই।

প্রতীক্ষায় আছি খোলা রেখেছি জানালা
তুমি কোন ফাঁকে দেবে টোকা মৃদু পায়
কান পেতে থাকি ওই আশায় আশায়
হা করা দুয়ারে নাই অর্গল বা তালা

পাগলা কুকুর করছে তাড়া
গ্রাম ধরেছে ঘিরে
পাচ্ছে যাকে কামড়ে দিয়ে
রক্ত ঝরায় চিরে

সূর্যোদয়ও দেখব, সূর্যাস্তও দেখবো
দারুচিনি মিশিয়ে চা খাবো বীচে বসে ।
হাওয়ার সাথে তাল মিলিয়ে আসবে ঢেউ
দুদ্দারভাবে নাড়িয়ে দিয়ে যাবে আমাকে ।

কাচের ঢিঁবির মতো পরাগের রেণু। ভ্রমর ছোঁবে সে ফুল বেশেখের বেণু
সেদিন ঘরের পাশে বসে আছে মেঘবতি আকাশের কেশ। জলের আদলে রেখে
কুহুকর্ণ চোখ,
বিভ্রমে নদী ভাঙে, জেলেপাড়া মেতে ওঠে আশ্বিনের দেশ।

এই প্রতীক্ষা শুধুই কি প্রতীক্ষা?
ব্যস্ত সড়কে চলন্ত ট্রেনে জানালার পাশে বসে থাকার প্রতীক্ষা,
লেপটে যাওয়া এক জোঁড়া কাজল কালো বাকাঁ চোখের চাওয়ার প্রতীক্ষা।
কাধেঁ মাথাঁ রেখে অচেনা জোছনা পথে চলার প্রতীক্ষা,

বাউল মনের বাউলানী হারিয়ে গেছে অনেক দূরে।
ঠিকানা পেলে বিরহি বেহাগ?
ভোরের ভৈরব মন কেন উদাস?
ইমন তুলেছে পাল।